গার্হস্থ্য হিংসার শিকার, তবুও ঔজ্জ্বল্যে অম্লান
৪ অসফল প্রথম বিয়ে
একটার পর একটা ছবি করে দর্শকদের চোখের মণি হয়ে উঠলেও জ়িনাতের ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা কোনওদিনই তাঁকে শান্তি দেয়নি। ১৯৭৮-এ ‘আবদুল্লা’ ছবির শুটিং করতে জয়সলমের গিয়ে পরিচালক-অভিনেতা সঞ্জয় খানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জ়িনাত। সঞ্জয় ছিলেন বিবাহিত ও তিন সন্তানের বাবা। তা সত্বেও ওই বছর ৩০ ডিসেম্বর দুজনে লুকিয়ে বিয়ে করেন। জ়িনাত পরে বলেছেন সেটা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সঞ্জয় অস্বীকার করলেও মিডিয়া এই বিয়ের খবর প্রকাশ করে দেয়। জ়িনাতকে প্রবল সন্দেহ করতেন সঞ্জয়। সেই নিয়ে অশান্তির জেরে এক বছর পরেই বিয়ে ভেঙে যায়। কিন্তু জ়িনাত তখনও সঞ্জয়কে ভুলতে পারেননি। ১৯৮০ সালে একদিন মুম্বইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলের পার্টি থেকে প্রায় জোর করে জ়িনাতকে একটি আলাদা ঘরে নিয়ে যান সঞ্জয়। জ়িনাত ভেবেছিলেন সঞ্জয় হয়ত নিজের ভুল বুঝে মিটমাট করতে চাইছেন। কিন্তু কী ঘটতে চলেছে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। সেই ঘরে নিজের স্ত্রী ও আরো কিছু লোকের উপস্থিতিতে জ়িনাতকে প্রচন্ড মারধোর করেন মদ্যপ সঞ্জয়। নানাভাবে তাঁকে হেনস্থা ও দোষারোপ করার পাশাপাশি সঞ্জয় সেদিন জ়িনাতকে মেরে প্রায় আধমরা করে দেন। জ়িনাতের চিৎকার শুনে হোটেল কর্তৃপক্ষ ঘরে ঢুকে তাঁকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় জ়িনাতকে। একটি চোখে চিরকালের মতো দৃষ্টিশক্তি কমে যায় জিনাতের। তবে একাধিকবার গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েও তিনি সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে পুলিশে কোনও অভিযোগ করেননি।
<—৩. এবার নায়িকার বোন | ৫. আবারও ভুল সিদ্ধান্ত—>