পরকীয়া খ্যাত ১১টি বাংলা ছবি
অভিযোগ ছিল পুরুষের প্রতি বৈষম্যের। তার বিচার করতে গিয়ে জানা গেল আইনটি নারীর প্রতিই বৈষম্যমূলক ছিল। ২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বেঞ্চ এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দিল, এখন থেকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়া আর ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না। সঙ্গে এও বলা হলো, স্বাধীনতার আগে থেকে চলে আসা আইনটি শুরু থেকেই ছিল অস্বচ্ছ।
আগের আইন অনুযায়ী স্ত্রী কোনওভাবেই স্বামীর পরকীয়া নিয়ে অভিযোগ করতে পারতেন না। অবিবাহিত নারীর সঙ্গে পুরুষের পরকীয়া ঘটলে তাকে অপরাধ বলে ধরা হতো না। শুধুমাত্র অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে সেক্ষেত্রেই তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ ছিল। তবে এই শাস্তি শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতো। সেই শাস্তি দেওয়া হতো তখনই যখন আর একজন স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর অধিকার লঙ্ঘিত হতো। অর্থাৎ স্ত্রীর ইচ্ছা, অনিচ্ছা বা মতামতের কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি ওই আইনে।
ভাওয়াল সন্ন্যাসীর মামলা নিয়ে কিছুই জানতাম না: অনির্বাণ
বিষয় হিসেবে পরকীয়া চিরকালই মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থেকেছে। সাহিত্য, সিনেমায়, শিল্পে, সর্বত্রই পরকীয়ার আবেদন অনস্বীকার্য। বাংলা ছবিও এর ব্যতিক্রম নয়। বহুবছর ধরে সাহিত্যনির্ভর ও বাংলা মূলধারার ছবির বিষয় হিসেবে সমাদৃত হয়ে এসেছে বিবাহ বহির্ভূত প্রেম। তেমনই কিছু বিখ্যাত বাংলা ছবির নাম মনে করিয়ে দেওয়া যাক।
১. চারুলতা (১৯৬৪)
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত জনপ্রিয় ছবি চারুলতা, যার কাহিনী নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত গল্প নষ্টনীড় থেকে। ভূপতি ও চারুর নিস্তরঙ্গ জীবনে ঝড় তুলতে আসে ভূপতির ভাই অমল। তাকে ঘিরে চারুলতার জীবন পাল্টে যায় অনেকটাই।