যে মৃত্যু আজও রহস্য
ছোট্ট এক জীবনপঞ্জীতে নিহিত রয়েছে কতই না ওঠাপড়ার কাহিনী। জন্ম: ২৪ সেপ্টম্বর ১৯৫৮, মৃত্যু: ২২ জুলাই ১৯৮৬। দুইয়ের ব্যবধান মাত্র ২৭ বছর। মৃত্যু তো জীবনের সবথেকে কঠিন বাস্তব। কিন্তু তা যদি ঘটে অসময়ে, অস্বাভাবিক ভাবে, তবে তা তো ট্রাজেডিরই নামান্তর। আত্মহত্যা নাকি হত্যা? নাকি নিছকই দুর্ঘটনা? অমীমাংসিত এই প্রশ্নজালে আটকে আছে একসময়ের ব্যস্ততম এই অভিনেত্রীর মৃত্যু অধ্যায়টি। যে মৃত্যুরহস্য আস্তরণ ফেলে দিয়েছে তার তেরো বছরের অসম্ভব সফল অভিনয় জীবনের ওপর।
নীলাঞ্জন রায়চৌধুরীর কন্যা, তিলক চক্রবর্তীর স্ত্রী, তমালের মা। এই ছিল মহুয়া রায়চৌধুরীর সমাজ নির্দিষ্ট পরিচয়। কিন্তু এই পরিচয়গুলি ছাপিয়ে নিম্নমধ্যবিত্ত সংসারে বেড়ে ওঠা এই মেয়ে যে একক পরিচিতি নির্মাণ করেছিল তা হল ‘অভিনেত্রী’, ‘লিট্ল গ্লোরিয়াস টুইলাইট’, ‘জাত শিল্পী’ এবং আরও অনেক সম্মানীয় বিশেষণে। তার অভিনয় জীবনের সবথেকে বড় প্রাপ্তি ছিল প্রায় নব্বইটিরও বেশি ছবি থেকে সঞ্চয় করা দর্শকানুকল্য, দাদার কীর্তি-তে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার এবং দামাস্কাস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ওই একই সম্মান।
যে জন থাকে মাঝখানে
আশির দশকে বাংলা ছবির জগতে নায়িকাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের দাবিদার ছিল মহুয়া। শোনা যায়, ছবি প্রতি মোটামুটি এক লাখের ওপরে পারিশ্রমিক নিত এই নায়িকা, যা সমকালীন নায়ক-নায়িকাদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। আর হবে নাই বা কেন? সিনেমার পোস্টারে তার নাম বা ছবি যে অসংখ্য দর্শক টানতো, এমনকি চিত্রনাট্যও লেখা হতো তাকে মাথায় রেখেই। অগ্রগামী থেকে নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় থেকে তপন সিংহ, সকলেরই নজর তাই সেসময় ছিল মহুয়ার ওপর।
এক উপরি পাওনা, তারপর নিকষ কালো অন্ধকার
অতি স্বল্প সময়ে গড়ে ওঠা মহুয়ার এই চরম সাফল্যের কারণগুলি কিছুটা ছিল তার সহজাত এবং বাকিটা অভ্যাসের দ্বারা অর্জিত। ধ্রুপদী বা আধুনিক, সমস্ত ধরণের নৃত্যেই সে যে শুধু পারদর্শী ছিল তাই নয়, সেই পারদর্শিতাকে নিখুঁতভাবে সফলতার সঙ্গে অভিনয়ের কাজে লাগিয়েছিল মহুয়া, যা তার সমসাময়িক অন্য নায়িকারা প্রায় কেউই পারেননি। এছাড়া মারাত্মক স্ক্রিন প্রেজ়েন্স ছিল তার, যার মরমি অভিনয় দেখলে মনে হয় পাশের বাড়ির আটপৌরে মেয়েটি যেন, অথচ সেই আটপৌরতার মধ্যেও কোথাও যেন রয়ে গেছে অনন্যতার ছাপ। আর এ সব গুণের মধ্যে আলাদা মাত্রা যোগ করেছিল তার তুখোড় সৌন্দর্য—এক ঢাল কালো চুল, পানপাতা মুখ, মায়াময় দুটি চোখ—আর সর্বোপরি তার প্রাণখোলা হাসি।
উচ্চাকাঙ্খী বাবার হাত ধরেই মহুয়ার সিনেমায় প্রবেশ। নীলাঞ্জন এক সময় উদয় শঙ্করের দলে নাচতেন। যশের আশায়, অর্থের সন্ধানে তিনি মুম্বই (তখন বম্বে) পাড়ি দেন। নামী এডিটরের শাগরেদি এবং আরও অনেক টুকটাক কাজ, এসব কোনও কিছুই যখন তাকে সফলতার আলো দেখাতে পারল না, তখন কতকটা বাধ্য হয়েই নীলাঞ্জন ফিরে এলেন কলকাতায়। আর ফিরেই অসফল পিতা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন কন্যার মাধ্যমে সফলতা ছোঁয়ার, ঠিক যেমনটাতে অভ্যস্ত আমাদের সমাজের অধিকাংশ পিতামাতাই। চৌধুরীপাড়ার জলসায়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সুচিত্রা সেন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মত তাবড় শিল্পীরা, সেখানে ‘দিল ভিল প্যার ভ্যার ম্যায় ক্যয়া জানুরে’র তালে তাল মিলিয়ে মাত্র সাত বছর বয়সে শিল্পী জীবন শুরু মহুয়ার।
জলপাই থেকে জলপাইগুড়ি
আর ঠিক এই সময় থেকেই হারিয়ে যেতে লাগল সাধারণ মেয়েটা। হারিয়ে গেল শিপ্রা, জন্ম নিল সোনালী রায়। মাতিয়ে দিল কলকাতা ও আশেপাশের অস্থায়ী স্টেজ, যা বাংলায় মাচা নামেই বেশি পরিচিত। নৃত্যশিল্পী পিতার সহজাত তালজ্ঞানে সমৃদ্ধ শিশুকন্যার তখন থেকেই স্টেজ পারফরম্যান্সের সূত্রপাত। নাচের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ এবং কিছুটা আর্থিক অসঙ্গতি ছেদ টেনে দেয় তার পড়াশোনায়। দমদমের রত্নাগর বিদ্যামন্দির–এর ক্লাস এইটের পড়ুয়া মহুয়ার স্কুলজীবনের সেখানেই ইতি।
সত্তরের দশকে মাত্র তেরো বছর বয়সে তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় শ্রীমাণ পৃথ্বীরাজ ছবিতে কিশোরী বধূর বেশে নাচের জগত থেকে সিনেমার জগতে পদার্পণ মহুয়ার। রোগাসোগা চেহারার কারণে নয়া মিছিল ছবি থেকে বাদ পড়ার পর, সুচিত্রা সেনের ব্যক্তিগত মেক-আপ ম্যান জামালভাইয়ের কাছে পাওয়া খবরই মহুয়ার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর আরও কিছু ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেলেও খ্যাতি সেরকম আসেনি।
রক্তবরণ মুগ্ধকরণ
এর কয়েক বছর পর, তরুণবাবুর ছবি দাদার কীর্তি (১৯৮০) তাকে এনে দিয়েছিল প্রতিপত্তি। প্রায় ৫০ সপ্তাহেরও বেশি চলা মহুয়া-তাপস পাল অভিনীত এই ছবি বাংলা সিনেমা জগতকেও সমৃদ্ধ করেছিল। তরুণবাবুই সোনালী নাম বদলে রাখেন মহুয়া। সার্থক ছিল সে নামকরণ। আজও আপামর বাঙালি মহুয়াতে মাতাল।
সন্ধ্যা রায়, মাধুমা’র (মাধবী মুখোপাধ্যায়) তালিমে মহুয়াকে দাদার কীর্তি’র পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মুক্তি পেয়েছে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি। ১৯৮৩ তে মুক্তি পাওয়া লাল গোলাপ প্রায় একা হাতেই ঘুরিয়ে দিয়েছিল বাংলা সিনেমার মোড়। ঠিক পরের বছরই মুক্তি পেল অঞ্জন চৌধুরীর ছবি শত্রু। মারকাটারি হিট। ছয় লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছবিটির মোট আয় ছিল নব্বই লক্ষ। তৎকালীন বাংলা সিনেমার ‘গুরু’ উত্তম কুমারের সাথেও মহুয়া কাজ করে সেই চোখ এবং বাঘবন্দী খেলা ছবিতে।
তাশি গাঁওয়ে একদিন
অভিনয় জীবনের প্রথম পর্বে, ১৯৭৬-এর ২ মে, বাবার মতের বিরুদ্ধে মহুয়া গাঁটছড়া বাঁধে বাল্যবন্ধু, ব্যাঙ্কে কর্মরত কিশোরকণ্ঠী তিলক চক্রবর্তীর সাথে, যে নিজেও স্বপ্ন দেখত অভিনেতা হবার। তিলকের দাদা অলোক চক্রবর্তী দুজনকে নিয়ে প্রযোজনা করেন আনন্দমেলা ছবিটি, কিন্তু তা সফল হয়নি। অবশ্য তাতে অল্পবয়সী এই দম্পতির সংসার জীবনে প্রেমের ঘাটতি হয়নি। বেপরোয়া প্রেমে মাঝরাতে বাইক ভ্রমণ, মদ্যপান, সে যেন এক ফুর্তির ফোয়ারা।
Advertisement
এর মধ্যে তাদের জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তনও ঘটে যায়। হেদুয়ার বাড়ি থেকে তারা উঠে আসে টালিগঞ্জে আর জন্ম হয় পুত্র তমালের। মহুয়ার সাংঘাতিক ফুটবলপ্রীতি থেকে মায়ের জন্মদিনেই জন্ম নেওয়া নবজাতকের ডাকনাম রাখা হয় গোলা।
খেলাধুলার প্রতি মহুয়ার প্রেম ছিল ছোটবেলা থেকেই। দাদার পিছুপিছু মাঠে গিয়ে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সে যে শুধু মন দিয়ে খেলা দেখত তাই নয়, খেলোয়াড় কম পড়লে মাঠে নেমেও পড়ত গোলরক্ষকের ভূমিকায়। প্রীতি শুধু তার ফুটবলের প্রতিই ছিল না। স্টুডিয়োর কুকুরগুলো পর্যন্ত ছিল মহুয়ার ভক্ত। একবার ঢুকতে দেখলেই হল। সার বেঁধে পেছন পেছন ফ্লোর পর্যন্ত চলে আসত। সকলকে ভালবাসতে পারার মতো একটা বড়সড় মায়াবী হৃদয় ছিল তার। ইণ্ডাস্ট্রির অসহায় মানুষগুলোর জন্য মহুয়ার সাহায্যের হাতটা বাড়ানোই থাকত। নবাগত শিল্পীদের সাহস যোগানোর মতো মনের ক্ষমতাও কম ছিল না। ‘প্রথম প্রথম সকলেরই একটু অমন হয়। পরে সব ঠিক হয়ে যায়,’ বলত তৎকালীন বাংলা ছবির এক নম্বর নায়িকা।
প্রেমের পাপে
অভিনয় জীবনের সফলতার মধ্যগগনেই একদিন ঘটে গেল চরম বিপত্তি। ১২/১৩ জুলাই ১৯৮৬-এর মাঝরাতে আকণ্ঠ মদ্যপ অবস্থায়, পার্টি থেকে বাড়ি ফেরার পরেই থার্ড ডিগ্রী বার্ন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় মহুয়াকে। দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত নার্সিং হোমে টানা দশদিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে হার মানতে হয় এই দাপুটে অভিনেত্রীকে।
সেই মৃত্যুকে ঘিরে জমাট বাঁধতে থাকে রহস্য। হত্যা, না আত্মহত্যা? নাকি নিছকই দুর্ঘটনা?
শব্দ যখন ছবি আঁকে
পুলিশের কাছে দেওয়া তিলকের জবানবন্দী অনুযায়ী, সেটি ছিল দুর্ঘটনা। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, স্টোভ ফেটে দুর্ঘটনার কথা বলা হলেও, সেই স্টোভে কোনও কেরোসিন ছিল না। স্টোভটিও ছিল অক্ষত। অথচ চিকিৎসকের দাবী, হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় মহুয়ার শরীরে ছিল ভরপুর কেরোসিনের গন্ধ। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে যায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে, মহুয়ার চোখের কোনে ছিল কালশিটে। আবার তিলকের পায়ের গোড়ালিতে ছিল মচকানোর দাগ। তিলক অবশ্য তার বয়ানে বলেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়েই পায়ে চোট লাগে তার।
মহুয়ার বাবাও একই বাড়িতে থাকতেন মেয়ে-জামাইয়ের সাথে। মহুয়ার ম্যানেজার ছিলেন তিনি। টাকা পয়সার হিসেব রাখতেন। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে, তিলক এবং নীলাঞ্জনের সাথে মহুয়ার যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলো তার মৃত্যুর ঠিক চার দিন আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতি সাধারণ ব্যাঙ্ক কর্মচারী তিলক এবং ব্যর্থ অভিনেতা নীলাঞ্জনের, মহুয়ার টাকা থেকে লাভের সম্ভাবনা থেকেই যায়, আর তাই এই মৃত্যুর পিছনে খুনের মোটিভ একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়নি।
আত্মহত্যার সম্ভাবনাও পুলিশকে ধন্দে ফেলে দেয়, কারণ এর আগেও মহুয়া একবার সেই চেষ্টা করেছিল। এও জানা যায় সে দীর্ঘদিন অবসাদে ভুগছিল এবং সেই থেকেই আসে সুরাসক্তি যা হয়ে দাঁড়ায় তার সুস্থ জীবনের প্রধান অন্তরায়। কিন্তু কেন এই অবসাদ? কেন আশ্রয়হীনতার ভীতি? বঞ্চিত ছেলেবেলার যন্ত্রণাবোধ, শৈশবে বিকৃত লালসার শিকার হওয়া সংবেদনশীল রক্তাক্ত মন, তীব্র আবেগের ভার, ঈপ্সিত আশ্রয়ের বাসনা, অতি সাধারণ পরিবার থেকে হঠাৎ পাওয়া যশ-প্রতিপত্তি, বাবা এবং স্বামীর সাথে প্রত্যহিক বোঝাপড়ার অভাব, নাকি অসংযমী জীবনযাপন? এ সব প্রশ্নের উত্তর সেদিন ৭৭২ নম্বর ঘরের বেডে পড়ে থাকা ভয়ঙ্করভাবে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহটির নিথর মন বা মস্তিষ্কের কাছ থেকে পাওয়া যায় নি। ‘আমার গোলা রইল, ওকে দেখিস,’ যন্ত্রণাদগ্ধ কণ্ঠে প্রাণের বন্ধু অভিনেত্রী রত্না ঘোষালকে বলেছিলেন মহুয়া। তার কিছুক্ষণ পরেই সব শেষ। পুলিশের কাছে জবানবন্দীতেও একই কথা উল্লেখ করেন রত্না।
এ কেমন জীবন
প্রতিদিনের বাঁচাটা কি এতটাই দুঃসহ হয়ে উঠেছিল তার পক্ষে যে নিজেকে দাদার কীর্তি ছবির সরস্বতীর মতো ব্যক্তিত্বময়ী রূপে গড়ে নেওয়া সম্ভবপর হচ্ছিল না মহুয়ার, যে ব্যক্তিত্বের সামনে সকলে খড়কুটোর মত ভেসে যায়? হতে পারে তা ছিল সিনেমার জগত। কিন্তু বাস্তবের মহুয়াও তো কম লড়াকু ছিল না। কম জেদী নয়। তপন সিংহের আদমি ঔর ঔরত ছবিতে পৃথুলতার কারণে বাদ পড়ে যেতে যেতে মাত্র তিন সপ্তাহে নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছিল মহুয়া। স্বচ্ছন্দভাবে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারার ক্ষমতাসম্পন্ন মেয়েটির একবারে প্রাত্যহিক সমস্যাগুলোকে গলার শিরা ফুলিয়ে বলা সম্ভব ছিল না, ‘খবরদার! যদি আমাকে গোল দিয়েছিস, দেখে নেব পরে।’ যেমনটা সে বলত ফুটবল মাঠে অন্য দলের প্লেয়ারদের এগিয়ে আসতে দেখে।
আমার মুক্তি আলোয় আলোয়
মহুয়ার মৃত্যুকালীন জবানবন্দী, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বয়ান, তুলে রাখা তদন্ত, সবই এই মৃত্যুকে নিছক দুর্ঘটনারই তকমা দিয়েছে। পরে মিডিয়ার চাপে নতুন করে তদন্ত শুরু হলেও তার ফরেনসিক রিপোর্ট অপ্রকাশিতই রয়ে গেছে।
সত্য একটাই। আপন মহিমা নিয়ে সেদিন নায়িকা হয়েও কোথাও যেন পাশের বাড়ির মেয়েটির মতো আপন ছিল মহুয়া। তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে, সে স্থান আজও অটুট।