ফাগুন লেগেছে বনে বনে
পড়ার টেবিলটাকে টেনেটুনে জানলার সামনে রাখাতে কাজের কতটা সুবিধা হয়েছে বলতে পারি না, তবে চোখ সার্থক হয়েছে। দুচোখ ভরে দেখে নিয়েছি বছরের চারটে ঋতুর পরিপূর্ণ রূপকে। নিউ জার্সিতে থাকার একটা মস্ত বড় সুবিধা, আমেরিকার বার্ষিক ঋতুচক্রকে ভালো করে উপলব্ধি করা যায়। মাসখানেক হল এখানে অটাম শুরু হয়েছে। আর অটাম মানেই হ্যালোইন (অনেকটা আমাদের দীপাবলির মতো), থ্যাঙ্কসগিভিং আর পাতাদের রঙীন সাজে সাজার সময়।
যুক্তরাষ্ট্রে যেটাকে ফল কালার বলা হয়, সেই সময়টা এলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ফাগুন লেগেছে বনে বনে’ গানটাই সবার আগে গুনগুনিয়ে ওঠে আমার মনে। যদিও সেটা বসন্তের গান কিন্তু না হয় শরতেই (অটাম) গাইলাম, ক্ষতি কি। অ্যালবেয়ার কামু তো বলেই দিয়েছেন “Autumn is a second spring when every leaf is a flower.” পাতাদের এই কাণ্ডকারখানা সরজমিনে তদন্ত করার ইচ্ছেটা দমন তো করিই না বরং চুটিয়ে ঘুরে নিই প্রত্যেকবার।
আমার এবারের গন্তব্য ছিল নিউ ইংল্যান্ড আর অ্যাডিরন্ড্যাক পাহাড়। শুনেছি, আমেরিকার উত্তর পূর্বাঞ্চলের থেকে ভালো ফল কালার পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। এর মধ্যে আবার প্রকৃতি অকৃপণ হাতে সাজিয়ে দেয় নিউ ইংল্যান্ড, অ্যাডিরন্ড্যাক মাউন্টেন সংলগ্ন এলাকাকে। হাডসন ভ্যালি আশপাশটা এবং নিউ জার্সিতে একটু দেরীতে হলেও গাছেরা সেজে ওঠে অক্টোবর মাসটা জুড়ে।
আরও পড়ুন: নজরুল স্মরণে সাম্যের গানে মিলল দুই বাংলা
গ্রীষ্ম থেকে শীত পড়ার আগে, অর্থাৎ সেপ্টম্বরের শেষ এবং অক্টোবরের প্রথম দিকের মাঝামাঝি কিছু সময়ে বনে বনে কানাকানি শুরু হয়ে যায়। সবার মধ্যে কেমন একটা সাজো সাজো রব পরে যায়। গাছেরা সেজে ওঠে রঙিন সাজে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখলাম, কিছু পোকামাকড়ের কাণ্ডকারখানা, আবহাওয়া আর গাছেদের কিছু নিজস্ব রাসায়নিক বিক্রিয়া এই কীর্তি ঘটায়। রাসায়নিক বিক্রিয়া মানে সালোকসংশ্লেষ। ওরে বাবা রে, আবার সেই পড়াশোনা। সে তো বিশাল একটা সংজ্ঞা ছিল ক্লাস নাইনের জীবনবিজ্ঞানের বইতে। গাছের পাতায় থাকে বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ, যার মধ্যে আধিক্য থাকে ক্লোরোফিলের যার রং সবুজ। এছাড়াও থাকে হলুদ বা কমলা রঙের ক্যারোটিন, জ্যান্থোফিল এবং আরও অনেক রঞ্জক। কিন্তু সবুজের আধিক্যে অন্য রংগুলিকে দেখা যায় না। সারা বছর সূর্য রশ্মি শোষণ করে উদ্দীপ্ত ক্লোরোফিল বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্পের বিক্রিয়ায় তৈরী করে শর্করা যা হলো গাছের খাদ্য। অটাম শুরু হলে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে থাকে, আর দিনের আলোর পরিমাণ কমে যাওয়ায় ক্লোরোফিল ভাঙতে শুরু করে। এর ফলে একদিকে যেমন অন্যান্য পদার্থগুলোকে দেখা যেতে শুরু করে, তেমনই ক্লোরোফিল ভেঙে তৈরী হওয়া রাসায়নিক পদার্থগুলোর সাথে অন্য রঞ্জকগুলির বিক্রিয়ায় উজ্জ্বল কমলা, লাল অথবা খয়েরী রঙের সৃষ্টি হয়। গ্রীষ্মের শেষটা শুষ্ক হলে, শরতের দিনগুলো উষ্ণ আর রাতের তাপমাত্রা যদি সাধারণত পাঁচ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছকাছি ঘোরাফেরা করে, তাহলেই গাছের পাতা বেশি উজ্জ্বল রঙে পরিবর্তিত হয়। এক একটা গাছ এক এক রকম রং ধারণ করে, যেমন ওক লাল ও খয়েরী, ডগউড হাল্কা গোলাপি, পপলার সোনালী হলুদ। এর মধ্যে ম্যাপেলের আবার বিভিন্ন ধরণ আছে, বাহারী অনেক নাম নিয়ে। এদের রঙের বৈচিত্র্যটাও বেশি। যেমন সুগার ম্যাপেলের রঙ কমলা, ব্ল্যাক ম্যাপেল উজ্জ্বল হলুদ, আর লাল ম্যাপেল আগুনে লাল। জগদীশ বসু তো কবেই প্রমাণ করে দিয়েছেন গাছেরাও রান্না করে। খাবার তৈরীর অধিকাংশ কাজটাই হয় পাতা নামক রান্নাঘরে।
মাউন্ট ওয়াশিংটনে ওঠার পথে
তাপমাত্রা এবং দিনের আলোর দৈর্ঘ্য কমার সঙ্গে সঙ্গে গাছের পাতাগুলো ধর্মঘট জুড়ে দেয়। বন্ধ করে দেয় খাবার বানানো, তালা ঝুলিয়ে দেয় রান্নাঘরে। ওদের দেখাদেখি এইরকম সময়ে বাড়িতে তালা লাগিয়ে তল্পিতল্পাসহ আমরা কয়েকজনও বেড়িয়ে পড়লাম। এখানে সময় সুযোগ মতো হুটহাট বেড়িয়ে পড়াটা খুব কিছু কঠিন কাজ নয়। গাড়িতে নিউ জার্সি থেকে নিউ ইংল্যান্ড যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। হাতে সময় মাত্র দুদিন, অথচ বেড়ানোর যে তালিকা তৈরী করেছিলাম আর তাতে জায়গার নামের যা সংখ্যা ছিল, তা পূরণ করার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ বেড়িয়ে কিছুটা রাস্তা কমিয়ে রাখাটাই শ্রেয় মনে হল। রাতের অন্ধকারে কিছু বুঝতে পারিনি, শুধু হোটেলের রিসেপশন ও ঘরের সাজসজ্জা বুঝিয়ে দিচ্ছিল ফল কালার এসে গেছে। কিন্তু সকালে নিউ ইংল্যান্ডের নিউ হ্যাম্পশায়রের পথে রওনা দেওয়ার সময় বুঝতে পারলাম, সবাই কেন উৎসাহিত থাকে এখানে আসার জন্য। তখন আর কে জানত, বিশ্ব প্রকৃতি মনে মনে হাসছে আর বলছে ‘পিকচার আভি বাকি হ্যা মেরে দোস্ত।’
আরও পড়ুন: আবারও একসঙ্গে সৃজিত-অনির্বাণ
তবে পিকচার যে সত্যিই বাকি ছিল, এবং সেটাও যে বেশ রোমাঞ্চকর, পরে বুঝতে পারলাম নিউ হ্যাম্পশায়রে পৌঁছে। নিউ হ্যাম্পশায়রে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিজেরাই গাড়ি চালিয়ে মাউন্ট ওয়াশিংটনের (৬,২৮৮ ফিট) উপরে ওঠা এবং সেখান থেকে ফল কালার দেখা। নিউ হ্যাম্পশায়রে এই নিয়ে আমার দ্বিতীয়বার যাওয়া। প্রথমবারের যে অভিজ্ঞতা ঝুলিতে ভরেছিলাম, সেটা খুব একটা সুখকর ছিল না এবং সেবারও আমরা তিনজন অভিযাত্রীই ছিলাম। ঘন কুয়াশার আবরণ ভেদ করে সেবার আর পিক পর্যন্ত পৌঁছতে পারিনি। একটা সময় সামনের একহাত দূরের গাড়িও দেখা যাচ্ছিল না। কোনওক্রমে মাঝপাহাড় থেকে বেঁচেবর্তে নেমে এসে তিনজনেই ঠিক করেছিলাম এরকম অভিযান আর ‘নৈব নৈব চ’। কিন্তু আমরা যাকে বলে রহস্য রোমাঞ্চ প্রিয় ভ্রমণপিপাসু বাঙালি জাতির প্রতিনিধি, ভয়কে আমারা জয় করেই ছাড়ি। সেই জয়ের নেশাতেই এবারে আরেকবার নতুন করে পিক পর্যন্ত ওঠার চেষ্টা।
তবে ভয় যে তিনজনেই পাচ্ছিলাম, সেটা উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গলার স্বর, কথা বলার ভঙ্গীই জানান দিচ্ছিল । গতবার কুয়াশা থাকায় পাশের ভয়ানক খাদটার অস্তিত্ব বুঝতে পারা যায়নি। কিন্তু এবারে সেটা ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছিল এবং সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই কোনওরকমে জায়গা করে দিতে হচ্ছিল উল্টো দিকের গাড়িকেও। আগেরবারের মতো এবারে সাংঘাতিক কুয়াশা না থাকলেও, পিকের কাছাকাছি কয়েকশো ফিট আগে হঠাৎ করেই কুয়াশা আর মেঘ এসে মোটামুটি ষড়যন্ত্র করে ওঠার রাস্তাটাই অন্ধকারে মুড়ে দিল। যেটা ভয় পাচ্ছিলাম সেটাই হল, দেখা গেল না কিছুই। কে বলবে কিছুক্ষণ আগেও ঝলমল করছিল রোদ।
আরও পড়ুন: ‘সিনেমার গল্প লেখকদের নাম কেউ জানতে চান না’
সেদিন আসলে আকাশে মেঘ-রোদের খেলা চলছিল। পিক থেকে উপত্যকা দেখার তাড়াতে পাহাড়ের ওপরে ওঠার সময় আর কোনও ভিউ পয়েন্টে দাঁড়াইনি। ওঠার সময় ঝকঝকে রোদে চারদিকটা যেমন লাগছিল, পাহাড় থেকে নামার সময় সেটা অন্যরূপ নিল। বেলা পড়ে যাওয়ায় রোদ্দুর কমতে শুরু করেছিল, তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল খামখেয়ালি পাহাড়ি আবহাওয়া। মেঘ আর কুয়াশার চাদর সরিয়ে নামার সময় খুব সাবধানে নিচু গিয়ারে গাড়ি চালিয়ে মাঝপথের এক ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে, শান্ত স্নিগ্ধ বিস্তৃত উপত্যকার দিকে তাকাতেই চোখ যেন জুড়িয়ে গেল। এক লহমায় সমস্ত ভয় যেন মিলিয়ে গেল, ভুলে গেলাম কিছুক্ষণ আগের কিছু না দেখতে পাওয়ার কষ্টটাও। সবুজ ক্যানভাসের উপর কোনও এক সুদক্ষ শিল্পী যেন লাল, হলুদ, কমলা রং দিয়ে এক স্বপ্নের ল্যান্ডস্কেপ নির্মাণ করেছে, যার দিকে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে শুধু তাকিয়ে থাকতে হয় আর সমস্ত সত্বা দিয়ে সেই ভালোলাগাটাকে অনুভব করতে হয়। হঠাৎ করে ভেসে আসা মেঘের আস্তরণ ল্যান্ডস্কেপের সৌন্দর্যের মাত্রাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছিল। এই বিপদসংকুল পাহাড়ি অভিযানে সফল হবার জন্য আমাদের গাড়ির একটা পুরষ্কারও বরাদ্দ ছিল, ‘This car summited Mt Washington’ ক্যাপশন দেওয়া একটা ট্যাগ।
নিউ হ্যাম্পশায়র থেকে অ্যাডিরন্ড্যাক পাহাড়ের পথে, চলন্ত গাড়ির সানরুফ থেকে উঁচু গাছের রঙিন পাতার ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকাতেই অবাক হওয়ার পালা। আবার সেই রবি ঠাকুরের লাইনই মনে পড়ছিল, ‘নীল দিগন্তে ঐ ফুলের আগুন লাগল।’
পরের দিন অ্যাডিরন্ড্যাক পাহাড়ের কোল ঘেঁসে, রঙিন গাছের চাঁদোয়া ঘেরা আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে আমরা চলতে শুরু করলাম শারানাক লেকের দিকে। রাস্তায় পরপর কয়েকটা সাজানো-গোছানো ছোটছোট স্থানীয় রেস্তোরাঁ পড়ে। ‘লি’ল ননি’স বেকারি’ নামক একটি ছোট রেস্তোরাঁয় ঢুকে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম যেটা সচারচর যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যায় না। স্থানীয় বহু প্রবীণ এখানে এসে বৈঠকি মেজাজে ব্রাঞ্চ (ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মধ্যবর্তী খাবার) সারেন এবং প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কমবেশি পরিচিত। ফল কালার শেষ হলেই এই রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ হয়ে যায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার জন্য। হাল্কা শীতের সকালে নরম গরম প্যানকেক, সানিসাইড আপ ডিমপোচ, মৌরীর সুগন্ধে ভরপুর টার্কি সসেজ, চিলিফ্লেক্স পেঁয়াজে ভাজা মুচমুচে আলু (হোম ফ্রাইজ়) দিয়ে বানানো ‘নেটিভ অ্যাডিরন্ড্যাক ব্রেকফাস্ট’ আর তার সঙ্গে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ কফি দিয়ে সকালের আহার পর্ব সারা গেল। শুনেছি না কি মোঘল বাদশাহরা অত্যন্ত ভোজনরসিক ছিলেন। এদিন সকালে আমাদের নিজেদেরও ওদেরই সমগোত্রীয় মনে হচ্ছিল। পরিপূর্ণ উদরে হোমমেড অরেঞ্জ জুস সহ বাদশাহী মনোভাব নিয়ে আমরা আবার চলতে শুরু করলাম।
পাহাড়ে ঘেরা নিউ ইংল্যান্ড
বলা হয় রোদ ঝলমলে দিন ফল কালার দেখার জন্য আদর্শ। হবে হয়তো। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা রোদ্দুরমাখা এবং বৃষ্টিস্নাত গাছদের রংবেরঙের খেলা, দুটোই দেখেছি এবং তিনজনে মিলে বারংবার বিচার সভা বসিয়েও সিদ্ধন্তে আসতে পারিনি কোনটা বেশি সুন্দর। তবে তিনজনেরই একটা বিষয়ে মতৈক্য ছিল। অ্যাডিরন্ড্যাক থেকে শারানাক লেক পর্যন্ত রাস্তাতেই রঙের খেলা ছিল সব থেকে বেশি। আর শারানাক লেকের সৌন্দর্যে অতি বড় বেরসিকও মুগ্ধ হতে বাধ্য। লেকের বিস্তীর্ণ পার জুড়ে লাল, হলুদ, কমলা, সবুজের মেলা। সাদা সিগাল, জলে বড় বড় হাঁসের চড়ে বেরানো, সব মিলিয়ে যেন একটা অসাধারণ ছবি বানিয়ে রাখা হয়েছে। আজকাল খুব স্লিপ মেডিটেশনের কথা শোনা যায়। এটুকু বলতে পারি বিছানায় শুয়ে স্নিগ্ধ এই লেকের ছবিটা মনে করলে ধ্যাননিমগ্ন হতে বেশি সময় লাগবে না।
আরও পড়ুন: মন নিয়ে (পর্ব ১): মধ্যবিত্তের লাইফস্টাইল সমস্যার সমাধানের খোঁজে অনুত্তমা
ফল কালার মানে পর্ণমোচী বৃক্ষের পাতা ঝরার সময়। কি অদ্ভুত! সম্পূর্ণ রূপে শেষ হয়ে যাওয়ার আগে নিজেকে কিভাবে রাঙিয়ে নেওয়া যায়, অন্যকে আনন্দে রাখা যায়, প্রকৃতিই সেটা দেখিয়ে দেয়। বিশ্বের কোনও ক্যামেরাই বিশ্বপ্রকৃতির এই বৃহত কাণ্ডকারখানাকে ফ্রেমবন্দী করে রাখতে পারে না। এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে ভাষায় প্রকাশ করে ছবি বানানো আমার মতো এলেবেলে লোকের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। পুনরুক্তি যদিও, তাও না বলে পারছি না, এই অবর্ণনীয় সৌন্দর্যের দিকে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে শুধু তাকিয়েই থাকা যায় আর সমস্ত সত্বা দিয়ে সেই ভালোলাগাটাকে অনুভব করতে হয়।
বিশ্ব উষ্ণায়ন নাকি ফল কালারেও থাবা বসিয়েছে। সেটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয় কারণ আবহাওয়ার সঙ্গে পাতার এই রং পরিবর্তন যুক্ত। বহুদিন আগে কোনও একটা পত্রিকায় পড়েছিলাম, এই উষ্ণায়ন কমাতে বাড়ির টবের গাছটার অবদানও কম নয়। তাই নিজের ছোটখাটো বারান্দাটাকে সাজিয়ে ফেলেছি টবে গাছ লাগিয়ে।
শীর্ষচিত্র: মাউন্ট ওয়াশিংটন থেকে নামার পথে
ছবি: লেখক