ছোট প্রযোজক, পরিচালকদের একাই ছবি টেনে নিয়ে যেতে হয়: ইন্দ্রাশিস
কলকাতা: তাঁদের মতো ছোট প্রযোজক, পরিচালকদের একাই ছবি টেনে নিয়ে নিয়ে যেতে হয়, বললেন ইন্দ্রাশিস আচার্য। নেটওয়ার্ক ফর দ্য প্রমোশন অফ এশিয়ান সিনেমা, সংক্ষেপে নেটপ্যাক-এর অন্তর্গত চতুর্দশ জোগযা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেয়ে ইন্দোনেশিয়া পাড়ি দিচ্ছে ইন্দ্রাশিসের পরবর্তী ছবি ‘পার্সেল’। এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলা মজুমদার, অম্বরীশ ভট্টাচার্য ও দামিনী বসু।
রেডিওবাংলানেট-কে ইন্দ্রাশিস জানালেন, “’পার্সেল’কে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বলা যেতে পারে। আমার নিজের মতো করে বাংলা ছবিকে একটা আলাদা ভাষা দেওয়ার কথা ভেবে এসেছি বরাবরই। তবে আমাদের মতো প্রযোজক, পরিচালকদের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো পুরোটাই একা টানতে হয়। খুব একটা সাপোর্ট তো পাওয়া যায় না। তার মধ্যে থেকেই আমরা চেষ্টা করছি ভালো কিছু করার। বিদেশে বাংলা ছবির বাজার খুব একটা ভালো নয়। সেখান থেকে ফেস্টিভ্যালে মাত্র সাত-আটটা ছবির মধ্যে নির্বাচিত হওয়া বেশ কঠিন কাজ। দেখা যাক, আশা করছি আরও কিছু জায়গা থেকে যদি ডাক আসে। আমি আশাবাদী।”
আরও পড়ুন: যে জন থাকে মাঝখানে
ছবির কাহিনী এক চিকিৎসক দম্পতিকে ঘিরে। এই দম্পতির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাশ্বত ও ঋতুপর্ণা। তাঁদের মেয়ের গভর্নেসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রীলা। একসময়ে কর্মরতা হলেও বর্তমানে ডাক্তারি ছেড়ে একজন গৃহবধূ হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন ঋতুপর্ণা। হঠাৎ একদিন তার কাছে একটি পার্সেলে কিছু পুরোনো ছবি আসে। সেই ছবিগুলি তাকে অতীতের নানা কথা মনে করায়। কিন্তু প্রায়ই অকারণে কোনও এক অজানা ঠিকানা থেকে এরকম কিছু পুরোনো ছবি আসতে থাকার ফলে ঋতুপর্ণা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ক্রমে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে সে। অন্যদিকে শাশ্বত যে হাসপাতালে চিকিৎসা করেন সেখানে এক রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই রোগীটির মৃত্যুর দায় ক্রমশই এসে পড়তে থাকে শাশ্বতর ওপরে। সামাজিকভাবে কোণঠাসা হয়ে সেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হতে থাকে। এই দুই ক্রাইসিসকে পাশাপাশি রেখে এগিয়ে চলে ছবির কাহিনী।
ডিসেম্বরে দিল্লীতে ডায়োরামা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হবে ‘পার্সেল’।
আগামী বছরের শুরুর দিকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে ছবিটি।