বাইপোলার ডিসঅর্ডার থেকে চরম অবসাদ, হোমসে ‘ডুবে’ গিয়েছিলেন জেরেমি

১৯৯৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। খবরের কাগজের পাতায় বেরোলো বেশ বড় একটা শিরোনাম: ‘৫৯ বছর বয়সে চলে গেলেন শার্লক হোমস’। সেই সঙ্গে ছবি দেওয়া হলো সেই মানুষটার, যাকে টেলিভিশনের পর্দায় প্রথমবার দেখে সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট ফেলুদার মতো খুঁতখুঁতে চরিত্রও ‘অপ্সরা থিয়েটারের মামলা’য় বলেছিল: ‘একেবারে বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছে হোমস আর ওয়াটসন।’

তিনি পিটার জেরেমি হাগিন্স, ওরফে জেরেমি ব্রেট। জন্ম ১৯৩৩ সালের ৩ নভেম্বর। ছোট থেকেই তাঁর অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক। টেলিভিশনে শেক্সপীয়র, জোসেফ কনরাড ও বার্নার্ড শ-এর বিভিন্ন নাটকের নানা চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। তার ফাঁকেই ১৯৮০ সালে ‘দ্য ক্রুসিফিক্স অফ ব্লাড’ ছবিতে শার্লক হোমসের ভূমিকায় শার্লটন হেস্টনের বিপরীতে ডঃ ওয়াটসনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জেরেমি। সেই তাঁর হোমসের দুনিয়ায় পদার্পণ।




এর চারবছর পর যখন গ্রানাডা টেলিভিশন শার্লক হোমসকে নিয়ে সিরিজ় করবে বলে চিন্তাভাবনা করছে, তখন নামভূমিকার জন্য প্রথমেই উঠে এসেছিলেন জেরেমি। তারপর টানা এক দশক ধরে কনান ডয়েলের তৈরি পৃথিবীর সবথেকে জনপ্রিয় গোয়েন্দার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রথমদিকে  এই সিরিজ়ে ডঃ ওয়াটসনের চরিত্রে অভিনয় করতেন ডেভিড বার্ক। ‘দ্য রিটার্ন অফ শার্লক হোমস’ থেকে সেই ভূমিকায় এলেন এডওয়ার্ড হার্ডওয়েক।

হোমসের ভূমিকায় হয়ত আরও অনেকদিন অভিনয় করতেন জেরেমি, কিন্তু বাদ সেধেছিল ম্যানিক ডিপ্রেশন। ১৯৮৬ সাল নাগাদ তাঁর এই ভয়ঙ্কর রোগটা ধরা পড়ে। দেখা দেয় বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মত মানসিক রোগও। হোমসের চরিত্রে অভিনয় করতে-করতে একটা সময় নিজেকে হোমস ভাবতে শুরু করেন জেরেমি। প্রথমবার এই রোগ ধরা পড়ার পর তিনি ভেবেছিলেন যে আর কোনওদিনই সুস্থ হতে পারবেন না। পরবর্তীকালে সেই অবসাদ কাটিয়ে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত পর্দায় ও বাস্তবে সমানভাবে শার্লক হোমসের ভূমিকায় অভিনয় করে গিয়েছিলেন জেরেমি।

আরও পড়ুন: তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে

ডিপ্রেশনের সঙ্গে ক্রমাগত লড়তে থাকা জেরেমি ১৯৮৭ সালে পূর্ণদৈর্ঘ্যের টেলিভিশন ছবি ‘দ্য সাইন অফ ফোর’-এর মাধ্যমে আবার হোমসের ভূমিকায় ফেরেন। তখনও তাঁর ওষুধ চলছে। সেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল মারাত্মক। ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছিল তাঁর ওজন। চাঁটাচলা হয়ে গিয়েছিল স্লথ, হৃদপিণ্ডের আকার হয়েছিল স্বাভাবিকের থেকে প্রায় দ্বিগুণ। সেই সঙ্গে শুরু হলো প্রবল শ্বাসকষ্ট। ছবির সেটেই রাখা থাকত অক্সিজেনের ব্যবস্থা। এতটা অসুস্থ হওয়া সত্বেও অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবতেই পারতেন না জেরেমি।

ওয়াটসনরূপী এডওয়ার্ড একবার এক সাক্ষাৎকারে জানান যে জেরেমি নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য দিনে ষাটটা সিগারেট খেতেন। কিন্তু নিকোটিনের প্রভাবেও ওঁর মধ্যে সেই চনমনে ভাবটা ফিরত না। জেরেমির নিজের মনে হত যে এই শার্লক হোমস চরিত্রটা তাঁকে ক্রমে একটা জন্তুতে পরিণত করেছে, জানিয়েছিলেন সিরিজ়ের প্রযোজক জেন উইন্ডহ্যাম ডেভিস।

আরও পড়ুন: যন্তর মন্তর কক্ষের নেপথ্যে

জেরেমি তাঁর এই দ্বৈত সত্বার ব্যাপারে বলতে গিয়ে নিজেকে ‘হৃদয়হীন’, ‘রঙিন জগতে ঘুরে বেড়ানো এক সাদাকালো ছায়ামূর্তি’র মতো নানারকম বিশেষণ ব্যবহার করতেন। এই চরিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন, ‘হোমসকে ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে আমাকে যতটা বেগ পেতে হয়েছিল, ততটা আমার হ্যামলেট বা ম্যাকবেথের মতো বহুমাত্রিক চরিত্রের ক্ষেত্রেও হয়নি।’

কেন এভাবে হোমসের মধ্যে ডুবে গিয়েছিলেন জেরেমি যার পরিণতি হয়েছিল এই বাইপোলার ডিসঅর্ডার? উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে আসছে নানা তথ্য। উচ্চমানের অভিনেতা ছিলেন জেরেমি। কোনও চরিত্রে অভিনয় করার আগে তিনি সেটি সম্পর্কে ভালো করে পড়াশোনা করে নিতেন। হোমসের চরিত্রে কাজ করার পূর্বে তিনি মূল গল্পগুলি প্রায় মুখস্থ করে ফেলেছিলেন। পড়াশোনা করেছিলেন কোনান ডয়েলকে নিয়েও। স্ট্র্যান্ড পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হোমসের প্রতিটা গল্পের অলঙ্করণগুলিও নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন জেরেমি। সিডনি প্যাগেট যেভাবে এঁকেছিলেন, হোমসের ভূমিকায় অভিনয়ের সময় ঠিক সেরকম ভঙ্গিই রাখার চেষ্টা করতেন। শুধু তাই নয়, বইতে বর্ণিত নানা খুঁটিনাটি জিনিস ফুটিয়ে তোলার জন্য কোনও কিছুরই পরোয়া করতেন না জাতশিল্পী জেরেমি। কখনও পায়ের ছাপ দেখার জন্য সটান মাটিতে শুয়ে পড়তেন, তো কখনও আলমারির মাথায় কী রাখা আছে, তা খোঁজার জন্য অত্যন্ত বেপরোয়াভাবে লাফালাফি করে শট দিতেন। এমনকি সিরিজ়ের প্রতিটা সংলাপ খুঁটিয়ে পড়ে দেখতেন বইয়ের সঙ্গে মিলছে কি না।

আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ

এই প্রসঙ্গে ডেভিস বলেছিলেন, ‘আমরা মূল কাহিনীটাই চিত্রায়িত করার চেষ্টা করতাম। তবে অনেক সময় ছবির খাতিরে গল্পে সামান্য পরিবর্তন আনতে হতো। সেই দায়িত্ব পড়েছিল চিত্রনাট্যকার জন হকসওয়ার্থের ওপর। সেই সব পরিবর্তন দেখলে খুব চটে যেত জেরেমি। নিজেই নিজের প্রশংসা করতে ভালোবাসত। এমনও হয়েছে যে কোনও একটা পর্বে অভিনয় করে ও খুব তৃপ্তি পেয়েছে। সেটা আমাকে জানাতেই আমি টুক করে বলতাম যে ওই গল্পের বেশিরভাগটাই হকসওয়ার্থের লেখা। শুনেই হো-হো করে হেসে ফেলত জেরেমি।’

শুধু তাই নয়, হোমস সম্পর্কে পড়াশোনা করতে-করতে জেরেমি একই সঙ্গে চরিত্রটাকে ভয়ও পেতে শুরু করেন। ক্যামেরার বাইরেও হোমসের নানা দৈনন্দিন অভ্যেস, আচার-আচরণ অনুসরণ করতেন তিনি। অন্য সময় চুপ করে বসে থাকলেও, ক্যামেরা চালু হলেই তিনি সাংঘাতিক রকমের উদ্যমী হয়ে উঠতেন। জেরেমি মনে করতেন যে টাইপকাস্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক অভিনেতাই হোমসের ভূমিকায় বেশিদিন অভিনয় করতে ভয় পান। কিন্তু হোমস জাঁকিয়ে বসেছিল জেরেমির মধ্যে। তাঁর অনেক ভক্ত এবং শুভাকাঙ্খী মনে করেন যে জেরেমির মৃত্যুর জন্য হোমসই দায়ী।

আরও পড়ুন: সিনেমার মতোই ছিল যে জীবন

টেলিভিশন সিরিজ়টি চলাকালীন বার্মিংহ্যামের আলেকজ়ান্দ্রা থিয়েটারে জেরেমি পলের লেখা নাটক ‘দ্য সিক্রেট অফ শার্লক হোমস’-এ অভিনয় করেছিলেন জেরেমি ব্রেট। কনান ডয়েলের ঘরানা ভেঙে হোমসকে এক নিষ্ঠুর হৃদয়ের চরিত্র হিসেবে তুলে ধরেছিলেন পল। ওয়াটসনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এডওয়ার্ড। একে হোমস, তায় আবার টিভির পর্দার বদলে একেবারে দর্শকদের সামনে সেই চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ, আর যায় কোথায়! তাছাড়া বার্মিংহ্যামের স্থানমাহাত্ম্যও ছিল সাংঘাতিক।

উল্লেখ্য, হোমস চরিত্রটি সৃষ্টির ক্ষেত্রে কনান ডয়েলের ওপর নানাভাবে প্রভাব ফেলেছিল বার্মিংহ্যাম। ১৮৭৯ থেকে ১৮৮২ পর্যন্ত এই শহরের অ্যাস্টনে এক ওষুধের দোকানে সহকারীর কাজ করতেন পেশায় চিকিৎসক ডয়েল। এই অভিজ্ঞতা থেকে নানা প্রকারে বিষের নাড়িনক্ষত্র জানতে পেরেছিলেন তিনি। সেই বিশদ বিষজ্ঞান পরবর্তীকালে তাঁর গল্প লেখার ক্ষেত্রে কাজে লাগে। শোনা যায়, বার্মিংহ্যাম থেকে তিনি একটি স্ট্রাডিভোরাস বেহালা কিনেছিলেন। বেকার স্ট্রিটের সেই অগোছালো অপরাধ বিশেষজ্ঞটিও স্ট্রাডিভোরাস বেহালা বাজাতেন। আরও অবাক করা তথ্য হলো, যে রাস্তা থেকে ডয়েল এই বেহালাটি কেনেন, তার নাম  শার্লক স্ট্রিট। অনেকের মতে টাইপফেসের আবিষ্কারক বার্মিংহ্যামের ব্যবসায়ী জন বাস্কারভিলই ছিলেন ডয়েলের ‘দ্য হাউন্ড অফ বাস্কারভিলস’ লেখার অনুপ্রেরণা। এই অ্যাস্টনে থাকাকালীনই ডয়েলের প্রথম গল্প ‘দ্য মিস্ট্রি অফ সারগ্যাসা ভ্যালি’ ও প্রথম প্রবন্ধ ‘গেলসেমিনাম অ্যাস এ পয়জ়ন’ প্রকাশিত হয়। তবে ডয়েলের মাথায় মাঝেমাঝে দুষ্টুবুদ্ধিও ভর করত। একবার নিছকই মজার ছলে মেয়রের বাড়িতে একটি বল নাচের ভুয়ো নিমন্ত্রণপত্র ছড়ানোর জন্য অ্যাস্টন পুলিশ তাঁকে সাবধানও করে।

এহেন বার্মিংহ্যামে হোমসের ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়ে সেই চরিত্র পাকাপাকিভাবে গ্রাস করল জেরেমি ব্রেটকে। সেদিনের সেই নাটক দেখার পর জনৈক সমালোচক লিখেছিলেন: ‘বাইরে বেরোনোর সময় শুনতে পেলাম কে একজন বলছেন, আসলে এই জেরেমি ব্রেটই হল শার্লক হোমস। একজন শিল্পীর এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কীই বা হতে পারে?’

বাইপোলার ডিসঅর্ডারএডওয়ার্ড হার্ডওয়েকের সঙ্গে, ‘দ্য এম্পটি হাউজ়’ পর্বে

টেলিভিশন সিরিজ়ে অভিনয় চলাকালীন মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন জেরেমি। শুটিং বন্ধ রেখে তাঁর চিকিৎসা চলত। চূড়ান্ত অসুস্থতার সময় তাঁর শুশ্রূষা করতেন সেবিকা লিন্ডা প্রাইটহার্ড। একটি সাক্ষাৎকারে লিন্ডা বলেছিলেন: ‘জেরেমি হল স্পঞ্জের মত। নিজের চরিত্রটাকে যেন শুষে নেয় নিজের মধ্যে।’ এরই মাঝে জেরেমির এক সহঅভিনেতা একদিন তাঁকে একপাশে সরিয়ে নিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘মনে রেখো, যে চরিত্রে অভিনয় করছ, বাস্তবে তুমি সেটা নও।’

আরও পড়ুন: যে মৃত্যু আজও রহস্য

এরকম ভয়ঙ্কর বাইপোলার ডিসঅর্ডারের শিকার হওয়ার পরেও ম্যানিক ডিপ্রেশন সংক্রান্ত একটি রেডিও অনুষ্ঠানে জেরেমি বলেছিলেন: ‘একবারও ভাববেন না যে এই রোগ হওয়া মানে জীবনটা শেষ হয়ে গেল। আপনারা হয়ত জানেন যে আমি নিজেও ম্যানিক ডিপ্রেশন ও বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগের শিকার। তা সত্বেও আমি একজন সফল পেশাদার অভিনেতা।’ জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই আত্মবিশ্বাসটাই বাঁচিয়ে রেখেছিল জেরেমিকে।

তাঁর মৃত্যুর পরে কেটে গেছে পঁচিশ বছর। শার্লক হোমস চরিত্রে অভিনয় করেছেন একাধিক অভিনেতা। বিবিসি-এর ‘শার্লক’ সিরিজ়ের নামভূমিকার অভিনেতা বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ জেরেমি ব্রেট সম্পর্কে বলেছেন, ‘ছোটবেলায় ঠাকুমার বাড়িতে গিয়ে টেলিভিশনে দেখতাম গ্রানাডা সিরিজ়। জেরেমির ওই বাঁকানো নাক, ব্যাকব্রাশ করে আঁচড়ানো চুল, সরু ঠোঁট আর চোখের হালকা উন্মাদনা দেখলে গায়ে কাঁটা দিত। ওই উন্মাদনাই ক্রমশ গ্রাস করল মানুষটাকে। দুঃখজনক।’




তবে সবথেকে চমকপ্রদ ঘটনা বোধহয় জেরেমির নিজেকে লেখা এক ফ্যান মেল। কী ছিল সেই চিঠিতে?

‘প্রিয় জেরেমি, আমি তোমার এক গুণমুগ্ধ ভক্ত। সেই কথা জানাতেই এই চিঠির অবতারণা। হোমসরূপে তোমাকে দেখার পর এই চরিত্রে অন্য সব অভিনেতার কাজ ফ্যাকাশে লাগে। বেসিল রাথবোন তো তোমার জুতো পালিশ করারও যোগ্য নয়। আর ডগলাস উইলমার, রবার্ট স্টিফেনসদের তোমার কাছে অভিনয়টা শেখা উচিৎ। এরা অভিনয়ের ‘অ’ অবধি জানে না। আর তুমি! শুরু থেকেই সবাইকে মাতিয়ে রেখেছ। তুমি যাদুকর। তোমার সই করা একটা ছবি পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। ইতি, তোমারই জো ব্লগস। পুনশ্চ: শুনেছি তুমি নাকি মানুষটাও খুব ভালো!’

ডেভিড বার্ক এই চিঠির কথা শুনে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি এটা পোস্টঅফিস থেকে পাঠিয়েছিলে?’

‘হ্যাঁ,’ উত্তরে বলেছিলেন জেরেমি। ‘ফার্স্ট ক্লাস স্ট্যাম্প লাগিয়ে পাঠিয়েছিলাম যাতে তাড়াতাড়ি পাই। পরের দিন সকালে এসেছিল।’

‘বা-বা! তারপর সেটা পড়েওছিলে?’

‘হ্যাঁ, অনেকবার পড়েছিলাম। নিজের প্রশংসা পড়ে হতাশার ভাবটা ক্রমশ কমছিল।’

‘তার মানে নিজেকে নিজের সই করা একটা ছবিও পাঠিয়েছিলে নিশ্চয়ই?’

বার্কের প্রশ্ন শুনে অট্টহাস্য করে উঠেছিলেন জেরেমি। সেই হাসি যা বারবার দেখা গেছে টেলিভিশনের পর্দায়। বলেছিলেন, ‘দেখো, আমার মাথাটা খারাপ হতে পারে কিন্তু আমি বদ্ধ পাগল নই। তবে সত্যি বলতে কী, পাঠাতে চাইলেও পারতাম না। ওই হতভাগা জো নিজের ঠিকানাটাই দেয়নি!’

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Diptajit

An avid reader and a passionate writer of crime fiction. Poems and verses are his second calling. Diptajit is the editor of a Bengali magazine. Nothing makes him weaker than books, films and food

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *