চোদ্দ বছর পর কথা, মুক্তি পেল ‘দূরে থাকা কাছের মানুষ’
RBN Web Desk: লন্ডন থেকে একমাস হলো কলকাতায় এসেছে দীপ্ত। ওর গবেষণার বিষয় ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। গোটা পৃথিবী যখন করোনার মারণকোপ থেকে বাঁচার পথ খুঁজছে, তখন কলকাতায় বসে বন্যার কথা মনে পড়ে দীপ্তর। কেমন আছে বন্যা? পেশায় সাংবাদিক বন্যা ঢাকায় কর্মরত। গাইয়ে হিসেবেও নাম করেছে একটু আধটু। বন্যার কথা ভাবতে ভাবতেই মোবাইল ফোনটা হাতে তুলে নেয় দীপ্ত।
চোদ্দ বছর পর দুই বন্ধুর কথোপকথনকে কেন্দ্র করেই গতকাল মুক্তি পেল পরিচালক শাহরিয়ার পলকের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘দূরে থাকা কাছের মানুষ’। ছবির কাহিনীকার অভ্র চক্রবর্তী। দীপ্ত ও বন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। লকডাউনের সমস্ত রীতি মেনে নিজেদের বাড়িতেই শুটিং করেছেন তাঁরা।
“এই ছবিতে দুই বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিটা আমরা তুলে ধরেছি.” জানালেন পলক। “ছবির গোটা কাজটা বাড়িতে বসেই হয়েছে। আসলে এভাবে ছবি শুট করার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। তাই শুরুতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল। বিক্রম, মিথিলা ও অন্যান্য সবার সহযোগিতা না পেলে ছবিটা সম্ভব হতো না।”
আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ
বিক্রম ও মিথিলার সঙ্গে দুদিন আলাদাভাবে শুটিং করেছেন পলক।
“এটা একেবারেই অন্যরকম অভিজ্ঞতা,” জানালেন বিক্রম। “ছবির গল্পটা ভীষণ সেনিসিটিভ। বহু বছর পর দুজন মানুষ একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছ। একটা গভীর বন্ধুত্বের সুবাস ছড়িয়ে ছিল গোটা চিত্রনাট্য জুড়ে।”
মিথিলা জানালেন, “প্রথমে মনে হচ্ছিল কাজটা বেশ কঠিন হবে কারণ হাতে ধরা মোবাইল ক্যামেরায় যে যার নিজের অংশটুকু শুট করেছি। তবে সেই জড়তাটা কাটতে সময় লাগেনি। কাজটা খুবই উপভোগ করেছি। আশা করি ছবিটা সবার ভালো লাগবে।”
করোনার প্রকোপে দীর্ঘায়িত হচ্ছে লকডাউন। সবাই গৃহবন্দী। যানবাহন, কলকারখানা সবই বন্ধ। ভারত ও বাংলাদেশে বন্ধ রয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পও। এমতাবস্থায় আর্থিক সংকটের সম্মুখীন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা। তাঁর ছবি থেকে সংগৃহীত সমস্ত অর্থ ঢাকা ও কলকাতার সিনে শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলে দান করা হবে বলে জানালেন পলক।