অল্প চরিত্র নিয়ে অর্ঘ্যদীপের নতুন হুডানইট
কলকাতা: নিখোঁজ এক ব্যক্তিকে খুঁজে বেড়ানোর জার্নিকে কেন্দ্র করে আসছে পরিচালক অর্ঘ্যদীপ চট্টোপাধ্যায়ে নতুন থ্রিলার ‘মুখোশ’। এই ছবিতে অভিনয় করছেন পায়েল সরকার, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় ও অমৃতা হালদার।
সেই ছবিরই সেটে সম্প্রতি হাজির হয়েছিল টিম রেডিওবাংলানেট। শ্যুটিং চলছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি অফিসের গ্যারেজের খোলা অংশে। এই বাড়ির চারতলায় রয়েছে রণজয় সান্যালের (রজতাভ) অফিস। সেখান থেকে নেমে এসে একরকম দৌড়ে নিজের বাইকে স্টার্ট দেয় সাম্য (প্রান্তিক)। নীচেই অপেক্ষা করছিল তার বান্ধবী অন্তরা (অমৃতা)। দুজনে বাইকে উঠতে যাবে এমন সময় অন্তরার মোবাইলে সব্যসাচীর (শান্তিলাল) ফোন আসে। দুজনে বাইকে উঠে বেরিয়ে যায় ওই বাড়ি থেকে। দু-তিনবারের চেষ্টায় শট ওকে করে ‘কাট’ বললেন পরিচালক।
আরও পড়ুন: তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
পরের শট শুরু হতে তখনও দেরী থাকায় রজতাভকে পাওয়া গেল রণজয়ের অফিসের সেটেই। ছবিতে তাঁর চরিত্রটি একজন সফল ব্যবসায়ীর যে তার শ্বশুরকে অবলম্বন করে বেড়ে উঠেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতেও রণজয়ের উত্থান চোখে পড়ার মতো। তবে তার একটু চারিত্রিক দোষও রয়েছে।
“আমার নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে বরাবরই ভালো লাগে,” অর্ঘ্যদীপের ছবিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে বললেন রজতাভ। “আমার মনে হয় আগে যা কাজ করে এসেছি সেটা দিয়ে এখন আর বিচার করা যায় না। এখন প্রতিদিন নিজেকে আপডেট করে যেতে হয়, নতুন প্রজন্মের কাছে পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়।”
আরও পড়ুন: ঝান্ডি অভিযান
ছবিতে পায়েলের অভিনীত চরিত্রটির নাম পামেলা। তবে সেই চরিত্রটি সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে নারাজ পরিচালক। “‘মুখোশ’ একেবারেই একটি ক্লাসিক হুডানইট গোত্রের থ্রিলার,” বললেন অর্ঘ্যদীপ। “তাই গল্পের কিছুই প্রায় এখন বলা সম্ভব নয়। অন্তরার দিদির নিরুদ্দেশ হওয়া দিয়ে গল্প শুরু হচ্ছে। তাকে খোঁজার জার্নিটা থাকবে গোটা ছবিটা জুড়ে। অল্প কয়েকটি চরিত্র নিয়ে ছবিটা করছি।”
কলকাতা পুলিশের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের এক ইন্টার্নের চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রান্তিক। শান্তিলাল রয়েছেন পুলিশের বড়কর্তা সব্যসাচী ব্যানার্জীর চরিত্রে। “একটি মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আমি জড়িয়ে পড়ি ঘটনার সঙ্গে,” জানালেন শান্তিলাল। “ছবির চিত্রনাট্যটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ঠিক চেনা ধাঁচের থ্রিলার মনে হয়নি আমার, সেইজন্যই এই ছবিতে কাজ করা। এমনিতেও থ্রিলার ছবিতে অভিনয়ের অনেক সুযোগ থাকে।”
আরও পড়ুন: তাশি গাঁওয়ে একদিন
ছবির কাহিনী অর্ঘ্যদীপেরই লেখা। চিত্রনাট্য করেছেন অভীক রায় ও সুজয়নীল বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালক জানালেন থ্রিলারের প্রতি বরাবরই তাঁর দুর্বলতা রয়েছে। তাই ‘জোজো’ ও ‘রডোডেনড্রন’-এর পরে ‘মুখোশ’ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ছবিতে ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক মধুরা পালিত। সঙ্গীতের দায়িত্বে নীলাঞ্জন ঘোষ ও সম্পাদনা অনির্বাণ মাইতির।
নভেম্বরের শেষদিকে মুক্তি পেতে চলেছে ‘মুখোশ’।
ছবি: সবুজ দাস