বাংলা ছবিতে হিন্দী ঠুমরি নিয়ে আসছে কুয়াশা যখন
কলকাতা: ইদানিং কালে একেবারেই নতুন বলা যায়। বাংলা ছবির গানে হিন্দী কথা ব্যবহার হলেও, সেই ভাষায় একটা গোটা গান হাল আমলে অন্তত শোনা যায়নি। ঠুমরি তো আরোই বিরল। তাই ‘সজনা আয়ো’কেই তুরূপের তাস মনে করছেন কুয়াশা যখন ছবির সঙ্গীত পরিচালক চিরন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু বাংলা ছবিতে হিন্দী গান কতটা যুক্তিসঙ্গত?
“এই ছবির প্রেক্ষাপট ১৯৫০-৬০ দশকের মধ্যবর্তী একটা সময়। সেই সময়টা বোঝানোর জন্য চিত্রনাট্যে একটা ঠুমরির প্রয়োজন ছিল। বাংলায় ঠুমরির সংখ্যা খুবই কম। তাই হিন্দী গানটি ব্যবহার করি আমরা। তবে গল্পের সময়টার সাথে সজনা আয়ো ভীষণভাবে মিশে গেছে,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন চিরন্তন।
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
মীনাক্ষী ভরদ্বাজের কথায় গানটি গেয়েছেন চিরন্তন নিজেই।
চিরন্তন ছাড়াও গতকাল শহরে কুয়াশা যখন-এর মিউজ়িক লঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক অভিষেক রায় ও মীনাক্ষী (গানের কথক নন)। তাদের প্রথম ছবি এটি। সঙ্গে ছিলেন গায়ক রূপঙ্কর এবং ছবির অভিনেতারা, যাদের মধ্যে ঋষভ বসু, মানালী দে, শতফ ফিগর, সুদেষ্ণা রায়, অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, শাঁওন দে অন্যতম। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন গার্গী রায়চৌধুরী।
রক্তবরণ মুগ্ধকরণ
কেমন হয়েছে কুয়াশা যখন-এর সঙ্গীত?
রূপঙ্করের কথায়, “আমার গাওয়া গানটা আজই প্রথম শুনলাম আমি। কথা, সুর, সঙ্গীত আয়োজন, একই গানে এই সবকটাই ভালো, এরকম বড় একটা হয় না। আমার গানটায় সেটা হয়েছে। সেই অর্থে এটা একটা ব্যতিক্রমী গান এটুকুই বলতে পারি।”
তাশি গাঁওয়ে একদিন
সব মিলিয়ে চারটি গান থাকছে এই ছবিতে। মীনাক্ষী ভরদ্বাজ ছাড়াও গানের কথা লিখেছেন রাজীব দত্ত। অন্বেষা দত্তগুপ্ত ও রাজ বর্মণের কণ্ঠে শোনা যাবে অন্য দুটি গান।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মুক্তি পাবে কুয়াশা যখন।