আমার মাতৃভাব দেখে অবাক হয়েছিলেন উত্তমকুমার: চপল ভাদুড়ি
RBN Web Desk: চপলরাণী। বাংলা থিয়েটার ও যাত্রার দর্শকের কাছে এই নামেই বেশি পরিচিত তিনি। পোশাকী নাম চপলকুমার ভাদুড়ি। নারী চরিত্রে অভিনয় করা শেষ বাঙালি পুরুষ শিল্পী।
“যখন যাত্রা বা নাটক করেছি, নিজ নিজ ক্ষেত্রে বহু প্রতিষ্ঠিত মানুষ আমার অভিনয়ের প্রশংসা করে গেছেন। তাদেরই মধ্যে একজন ছিলেন উত্তমকুমার,” নিজের অভিনয় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে বললেন চপল ভাদুড়ি ।
যে মৃত্যু আজও রহস্য
“রবীন্দ্রসদনে মাইকেল মধুসূদন পালা। দর্শক আসনে উপস্থিত উত্তমকুমার, সুপ্রিয়া দেবী, উৎপল দত্ত এবং আরও অন্যান্য বিশিষ্টজন। অভিনয় শেষ হওয়ার পর সোজা গ্রিনরুমে উপস্থিত উত্তমকুমার। বললেন, জাহ্নবীর চরিত্র যে অভিনয় করেছেন, তার সঙ্গে একবার কথা বলতে চান। আমি ততক্ষণে মহিলা-সাজ ছেড়ে ফেলেছি, তাই পুরুষ পোশাক পরেই হাজির হলাম তাঁর সামনে। উত্তমবাবু বললেন, আরে না না, আমি মাইকেলের মা-এর রোলটা যে করেছেন তার সাথে একবার কথা বলতে চাই। দলের একজন তখন আমাকে দেখিয়ে হেসে বললেন, দাদা, ইনিই সেই অভিনেতা,” স্মৃতি রোমন্থন করলেন চপল ভাদুড়ি।
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
অবাক হয়েছিলেন উত্তমকুমার। চপলবাবুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন বিয়ে করেছেন কি না। হয়নি জেনে প্রশ্ন করেছিলেন, বিয়ে না করেও এমন মাতৃভাব কি করে আনা সম্ভব? তারপর অভিনেতাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
এত বছর পেরিয়ে সেই স্মৃতি আজও অমলিন অশিতিপর বৃদ্ধের। কাজের মানুষ, তাই কাজ ছেড়ে থাকতে পারেন না। শেখর সমাদ্দারের পরিচালনায় সুন্দরবিবির পালা নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।
“ইন্টারেস্টিং কোনও চরিত্র পেলে আজও আমি খুব এক্সাইটেড হয়ে পড়ি,” অকপটে বললেন বর্তমানে এক বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক চপল ভাদুড়ি।