বিশ্বকাপ ফাইনালের মাঝেই জমজমাট চলচ্চিত্র উৎসব
কলকাতা: তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে জমে গেল ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবের শুরুর দিনগুলো বিশ্বকাপ ফুটবলময় হলেও তার জের খুব একটা ছাপ ফেলতে পারেনি নন্দন-রবীন্দ্র সদন চত্বরে। উদ্বোধনের পরের দিন থেকেই ভিড় ও ছবি দেখার লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। অবশ্য তার জন্য অনেকটাই দায়ী ‘হাওয়া’র দাপট। বাংলাদেশের প্রবল জনপ্রিয় ছবি ‘হাওয়া’ নন্দনে দেখানো হলো উৎসবের দ্বিতীয় দিনেই। উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন ও মুখ্য অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
গতকাল ছিল চতুর্থ দিন। একই সঙ্গে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলাও ছিল কাল। তবু ভিড়ের কোনও অভাব দেখা যায়নি নন্দনে। গতকাল বিকেলে পরিচালক সুব্রত সেনের ছবি ‘সমরেশ বসুর প্রজাপতি’ দেখানো হলো নন্দনে। সেই নিয়ে দর্শকদের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও বহু দর্শক সিটের খোঁজ করেছেন। জায়গা না পেয়ে কয়েকজন প্রায় গোটা ছবিটাই দাঁড়িয়ে দেখলেন।
আরও পড়ুন: ‘স্মার্ট’ হচ্ছে ফেলুদা
হাওড়ার শালকিয়া থেকে এসেছেন সুপ্রতিম দে। তিনি জানালেন, “১৬ ডিসেম্বর একঘণ্টার ওপর লাইন দিয়ে ‘হাওয়া’ দেখেছি। ভেবেছিলাম জায়গা পাব না। আজ সকালে এসে ‘উত্তর ফাল্গুনী’ হচ্ছে দেখে ঢুকে পড়লাম। টিভিতে দেখেছি আগে। তবু বড়পর্দায় দেখার মজাই আলাদা। আজ ‘সমরেশ বসুর প্রজাপতি’ও দেখলাম। কাল থেকে অনেকগুলো শর্ট ফিল্ম দেখাবে। ওগুলো দেখার ইচ্ছে আছে।”
এন্টালিতে থাকেন মনিদীপা বসু। জানালেন, ফিল্ম স্টাডিজ়ের ছাত্রী হওয়ার দরুণ প্রতিবছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। “তিনদিনে-চারটে সিনেমা দেখা হয়ে গেছে। আরও অনেকগুলো দেখব। বিদেশি সিনেমা দেখার পাশাপাশি পুরনো বাংলা সিনেমা যেমন ‘গণদেবতা’ দেখার ইচ্ছে আছে। আগেরবার গরমকালে হওয়ায় খুব কষ্ট হয়েছিল। এবছর সব বন্ধুরা মিলে সারাদিন সিনেমা দেখছি, আড্ডা দিচ্ছি। এটাই আমাদের উৎসব,” বললেন মনিদীপা।
আরও পড়ুন: লাল স্যুটকেস নিয়ে বিপাকে সোহম, সায়নী
তবে ছবি না দেখলেও অনেকেই আসছেন গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালায় আয়োজিত অমিতাভ বচ্চনের প্রদর্শনী দেখতে এবং নন্দন চত্বরে উৎসবের আমেজে গা সেঁকতে। একতারা মঞ্চের সিনে আড্ডার আসনেও বেশ উৎসাহ দেখা গেল।
বিশ্বকাপ শেষ, তাই আজ থেকে আশা করা যায় উৎসব ঘিরে মানুষের উৎসাহ ও উন্মাদনা আরও বেশি করে দেখা যাবে।
ছবি: গার্গী মজুমদার