বন্ধুত্বে অমিলের গল্প বলবে ‘রং নাম্বার’
কলকাতা: দুই বন্ধু স্যান্ডি ও জয়ের মধ্যে প্রায় কোনও ব্যাপারেই মিল নেই। স্যান্ডি বিরাট বড়লোকের ছেলে। পরিবারের প্রচুর সম্পত্তি থাকা সত্বেও সে আলাদা ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকে। সে শখের একটি ব্যান্ডে গান গায় ও গিটার বাজায়। রোজগারের চিন্তা তাকে করতে হয় না। খেয়াল খুশি মত লোকের সঙ্গে মজা করে বেড়ায় স্যান্ডি।
অন্যদিকে মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে জয়। সে একটি স্কুলে পার্টটাইমে বাংলা পড়ায় আর স্বপ্ন দেখে নামকরা লেখক হওয়ার। জয়কে বাড়িতে নিয়মিত টাকা পাঠাতে হয়। একদিন জয়ের লেখা একটি গান গেয়ে ইন্টারনেটে প্রকাশ করে স্যান্ডি এবং সেটি খুবই জনপ্রিয় হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, বাংলা সাহিত্যের ভক্ত দিয়া মিত্র যেচে আলাপ করে স্যান্ডির সঙ্গে। স্যন্ডি তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরলেও তাদের মধ্যে যে কোনও মিলই নেই তা অল্পদিনেই বুঝতে পারে। কিন্তু জয়ের সাহায্য নিয়ে সে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখে।
দোলের দিন আর নয় বসন্ত উৎসব, সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর
এদিকে দিয়ার বন্ধু শ্রুতি অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করতে ভালবাসে। ড্রাগস নেওয়া থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছুই করে শ্রুতি। বাড়ির অশান্ত পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা শ্রুতি তাই কোনওরকম সম্পর্কে বিশ্বাস করে না। জয় শ্রুতিকে সাহায্য করতে চায়, ফিরিয়ে আনতে চায় তাকে জীবনের মূল স্রোতে।
ওদিকে দিয়ার কারণে নিজেকে পাল্টাতে চায় স্যান্ডি। এইভাবে চারটি চরিত্রের মধ্যে বয়ে চলে অস্তিত্বের সঙ্কট।
খেল দিখা সকোগে না?
সৌরভ মালাকার ও বিস্বজিৎ হালদারের গল্প অবলম্বনে পরিচালক পণ্ডিত শুভেন্দু নিয়ে আসছেন তাঁর নতুন ছবি ‘রং নাম্বার’। সম্প্রতি শহরে মুক্তি পেল এই ছবির ট্রেলার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই ছবির শিল্পীরা। ‘রং নাম্বার’-এ বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সমদর্শী দত্ত, সৌরভ দাস, সায়নী ঘোষ, দুর্গা সাঁতরা, বিশ্বজিত চক্রবর্তী ও অন্যানরা। ছবির সঙ্গীত হেঁসেল সামলেছেন রাহুল মজুমদার।
কেন এমন গল্প বেছে নিলেন পরিচালক?
রেডিওবাংলানেট-কে শুভেন্দু জানালেন, “ছোটবেলায় স্কুলে পড়াকালীন আমি যে ধরণের ছবি দেখতাম, সেগুলো মনে হত এটা একেবারই আমার জীবনের গল্প। ‘রং নাম্বার’-এর গল্পটা ভীষণভাবে সমসামায়িক। এখনকার অনেক ছেলেমেয়েরাই জোর করে একটা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। সেটাই বলতে চেয়েছি আমি একটা রোম্যান্টিক কমেডির মধ্য দিয়ে।”
১০ মে মুক্তি পাচ্ছে ‘রং নাম্বার’।