টাইম মেশিনে সওয়ার টিম শঙ্কু, উড়ল ফানুসও
কলকাতা: ভারচুয়াল রিয়্যালিটির পর এবার টাইম মেশিন। সন্দীপ রায়ের ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’ ছবির প্রচারে প্রায় প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে অভিনব নানা বিষয়। গতকাল এই উপলক্ষে সায়েন্স সিটিতে নতুন টাইম মেশিনের উদ্বোধনে পরিচালক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, শুভ্রজিৎ দত্ত ও এডুয়ার্ডো মুনিজ়। ছিলেন ছবির ডিরেক্টর অফ ফোটোগ্রাফি সৌমিক হালদার।
কয়েক বছর আগেও এই টাইম মেশিন ছিল সায়েন্স সিটির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। মাঝে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল এই রাইডটি। গতকাল ফিতে কেটে নতুন টাইম মেশিনটির উদ্বোধন করলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় ও শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। ছবিতে শঙ্কু ও নকুড়বাবুর চরিত্রে অভিনয় করছেন ধৃতিমান ও শুভাশিস। ওড়ানো হলো শঙ্কুর নামাঙ্কিত ফানুসও, যা বাংলা ছবির প্রচারের ক্ষেত্রে অভিনব। পরে সায়েন্স সিটি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে অভিনেতারা টাইম মেশিনের অভিজ্ঞতাও উপভোগ করলেন।
আরও পড়ুন: তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
“সত্যিই যদি টাইম মেশিনে ওঠার সুযোগ পেতাম তাহলে ভবিষ্যৎ বা অতীত দেখার চেয়ে আমি বর্তমানটাকে একটু পরিষ্কারভাবে দেখতে চাইতাম। এই মুহূর্তে চারদিকে যা অবস্থা, তাতে আমরা ঠিক কি অবস্থায় আছি সেটাই দেখতে পাচ্ছি না,” বললেন ধৃতিমান।
ছবি প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, “এই ছবিটা যেমন শুধু ছোটদের নয় তেমন শুধু বড়দেরও নয়। বরং বলা যেতে পারে ছবিটা আট থেকে আশি সকলের কথা ভেবে বানানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন: টেলিভিশনে ফিরছেন পার্নো মিত্র
‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’তে থাকছে শঙ্কুর আবিষ্কৃত জিনিসও। “শঙ্কুর সবকটা আবিষ্কারই যুগান্তকারী তাতে সন্দেহ নেই,” বললেন সন্দীপ। “তবে এই ছবিতে শুধু অ্যানাইহিলিন পিস্তল আর মিরাকিউরল বড়িটাই রাখা হয়েছে। ভাগ্যিস এগুলো সত্যি এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। জিনিসগুলো বাজারে চলে এলে ছবিটা করার আর কোনও মানে থাকত না।”
বিভিন্ন গল্পে শঙ্কুর মানবিক দিক এবং চরিত্রটির ঋষিসুলভ ব্যাপারটি ছবিতে উঠে আসবে বলে জানালেন পরিচালক। ছবির গল্পকে বর্তমান সময়কালে এনে ফেলা হয়েছে, না হলে বিদেশে শুটিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারতো বলে জানালেন পরিচালক।
আরও পড়ুন: সিনেমার মতোই ছিল যে জীবন
“ছবিতে ভিএফএক্স থাকলেও সেটা গল্পের শর্ত মেনেই রয়েছে,” জানালেন সন্দীপ। “যাঁরা এই কাজটা করেছেন তাঁরা সারাক্ষণ শুটিংয়ে ছিলেন। আমি কিছু একটা বানিয়ে দিলাম তারপর পোস্ট-প্রোডাকশনে ওঁরা বিপদে পড়লেন, এমন যেন না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হয়েছিল। ব্রাজ়িল ছাড়া পুরো শুটিংই কলকাতায় হয়েছে।”
এই প্রথম শঙ্কু আসছে বড় পর্দায়। দর্শকদের প্রত্যাশাও আকাশছোঁয়া। তাই নিয়ে তিনি যে বেশ টেনশনে আছেন সেটা মেনে নিলেন সন্দীপ। “যেভাবে ছবিটার প্রচার চলছে তাতে এবার আমার একটু চিন্তাই হচ্ছে। শঙ্কু কিন্তু অতিমানবিক কেউ নয়, খুব সাধারণ একজন মানুষ। আশা করি সেই দিকগুলো বিচার করেই দর্শকরা ছবিটা দেখবেন এবং তাঁদের ভালো লাগবে,” বললেন তিনি।
আগামীকাল মুক্তি পেতে চলেছে ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল্ ডোরাডো’।
ছবি: অর্ক গোস্বামী