আর ক’টা রহস্যের সমাধান করতে হবে বলো, আমি তৈরি: নুসরত
রুদ্রাণী চরিত্রে অভিনয় করার পর অন্তত ছবির পর্দায় রহস্যের সমাধান করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অভিনেত্রী নুসরত জাহান। দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘নরক সংকেত’ অবলম্বনে সায়ন্তন ঘোষালের পরবর্তী ছবি ‘স্বস্তিক সংকেত’-এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
কীভাবে বর্ণনা করবেন তিনি রুদ্রাণীকে?
“রুদ্রাণীকে আমার বাঘিনী মনে হয়েছে,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন নুসরত। “অসম্ভব স্মার্ট এবং আত্মবিশ্বাসী রুদ্রাণী। সে খুব সাধারণ একটি মেয়ে যে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসে, রান্নাবান্না করতে তেমন পছন্দ করে না, একটু অগোছালো ধরনের। আবার সেই কিন্তু ব্যাঙ্কে চাকরি করে। পাশাপাশি সে একজন ক্রিপ্টোগ্রাফার ও লেখিকাও। খুব শিক্ষিত, মার্জিত এবং লড়াকু একটা চরিত্র। আমাকে চরিত্রটার জন্য যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করতে হয়েছে।”
আরও পড়ুন: বিলুপ্তির পথে টোটো, ঢাকায় রাজাদিত্যর নতুন তথ্যচিত্র
বর্তমান সময়ের ছবিতে কাহিনী বা চিত্রনাট্যই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন নুসরত। তাই চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে পর্দায় পাল্টে নিতে তাঁর কোনও অসুবিধা হয় না বলে জানালেন তিনি। সায়ন্তনের সঙ্গে এটাই তাঁর প্রথম কাজ। সেই অভিজ্ঞতা থেকে নুসরত জানালেন, “সায়ন্তন এই সময়ের খুব প্রতিভাবান একজন পরিচালক। ওকে দেখে বোঝা যায় না ও কতটা সিরিয়াসলি কাজ করতে পারে। ও জানে কীভাবে গল্পটা বলতে হয়। এই গল্পটায় এতরকম ঘটনা আর এতগুলো টাইমলাইন আছে, হিটলার, নেতাজী, ভাইরাস, রহস্য, ইতিহাস এই সবকিছু নিয়ে এত জটিল একটা প্লট, সায়ন্তন খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে কাজটা করেছে। সবরকম ডিটেলিংয়ের দিকে ওর খুব নজর। ও জানে প্লেটে কীভাবে সাজিয়ে পরিবেশন করলে দর্শকের ভালো লাগবে।”
এই ছবিতে নুসরতের বিপরীতে প্রিয়ম চরিত্রে অভিনয় করেছেন গৌরব চক্রবর্তী। এর আগে ‘ক্রিসক্রস’ ছবিতে তাঁরা থাকলেও, একসঙ্গে খুব বেশি দৃশ্যে অভিনয় করেননি ।
আরও পড়ুন: বেহিসেবী জীবনযাপন, আজ স্মৃতির অতলে সৌমিত্র
“রুদ্রাণী আর প্রিয়মের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব আছে,” বললেন নুসরত। “ওরা একসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তো। ওরা আগে বন্ধু, পরে স্বামী-স্ত্রী। সেই রসায়নটা আমরা তৈরি করে নিয়েছিলাম। দুজনে দৃশ্য নিয়ে আলোচনা করেছি, চিত্রনাট্য সঙ্গে নিয়েই ঘুরতাম। তবে খুব গম্ভীর হয়ে বসে সিরিয়াসলি আলোচনা করেছি তেমন নয়। আড্ডা, গল্প সারাক্ষণই চলতো। ফলে একসঙ্গে কাজ করাটা এমনিই সহজ হয়ে গিয়েছিল।”
রুদ্রাণী আর প্রিয়ম একে অপরকে বোঝে ও একজনের বিপদে অন্যজন তাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, এমনটাই জানালেন নুসরত।
রুদ্রাণী ও প্রিয়মকে নিয়ে দেবারতির আরও তিনটি উপন্যাস রয়েছে। এর মধ্যে কোনও গল্প নিয়ে যদি কাজ হয়, নুসরত কি আগ্রহী হবেন আবারও রুদ্রানীর চরিত্রে অভিনয় করতে?
“অবশ্যই, রুদ্রাণীর উপর এখন আমার অধিকার জন্মে গেছে। আমি নিশ্চয়ই চাইব রুদ্রাণীকে নিয়ে আরও ছবি হোক। আর ক’টা রহস্যের সমাধান করতে হবে বলো, আমি তৈরি। মানে রুদ্রাণী তৈরি,” হাসতে-হাসতে বললেন সাংসদ-অভিনেত্রী।
ছবি: প্রতিবেদক