‘অভিষেকের ছবিটা অবশ্যই দেখতে যাব’

বেশ কিছুদিন হলো তিনি খবরে নেই। কিছুদিন আগে ‘পার্সেল’ ছবির সূত্রে তাঁর নাম শোনা গেলেও ছবিটি এখনও শহরে মুক্তি পায়নি। সম্প্রতি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের দেখা পাওয়া গেল পরিচালক মুরারী রক্ষিতের ‘ছুটি’ ছবির ঘোষণার দিন। ‘পার্সেল’এর মতোই এখানেও তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বিপরীতে থাকছেন। সেদিন শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে বসে তিনি রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন নানান কথা।

এই ছবিতে তোমার চরিত্রটা কেমন? 

এখানে আমি একজন মেডিকেল রিপ্রেজ়েন্টেটিভ এবং ব্যস্ত বাবা। পেশার কারণে বাড়িতে একেবারেই সময় দিতে পারি না। ঋতুপর্ণা আমার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছে। ওরও ব্যস্ততার কারণে বাচ্চাদের খুব একটা সময় দেয়া হয় না। বাড়িতে দাদু ঠাকুমা থাকা সত্বেও বাচ্চারা চায় বাবা মা ছুটি নিয়ে তাদের সঙ্গে থাকুক। ছবির বিষয়টা আমার খুব প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। ছোটরা দিন দিন আরও বেশি একা হয়ে যাচ্ছে। পরিবার ছোট হয়ে গিয়ে ভাইবোনও কমে গেছে। এটা সত্যিই একটা সমস্যা। 

তুমি নিজে বাড়িতে কতটা সময় দাও? 

চেষ্টা করি দিতে। তবে এই ছবির যে বিষয় সেটা আমার নিজের ছোটবেলাকে খুব মনে করিয়ে দিয়েছে। বাবা তখন এতটাই ব্যস্ত থাকতো যে আমাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারতো না। আমি বেড়াতে যেতাম দাদামশায়ের সঙ্গে। সেই বাবাকে মিস করার স্মৃতিটা আবার এই ছবির গল্প শুনতে গিয়ে মনে পড়ে গেল। 

আরও পড়ুন: আইনী জটিলতায় বন্ধ শরদিন্দুর ব্যোমকেশ সিরিজ়ের কাজ

এখন ছুটি পেলে কি করো?

বেড়াতে চলে যাই। কিছুদিন আগেও জঙ্গলে গেছি। পুজোর ছুটিতে একাই বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমি কলকাতার ঠাকুর দেখি না, মানে দেখা সম্ভব নয়। এক তো গাড়ি পার্কিংয়ের সমস্যা, তার ওপর শান্তিতে ঘুরতে পারব না। তাই ওসব থেকে আমি দূরে থাকতে চাই। কিন্তু আমার স্ত্রী ও মেয়ে আবার ঠাকুর দেখতে খুব ভালোবাসে। ওরা পুজোয় কলকাতা ছেড়ে কোথাও যাবে না। তাই আমি একাই চলে গেলাম। 

এতরকম চরিত্রে তোমাকে অভিনয় করতে হয়, কোনও হোমওয়ার্ক প্রয়োজন হয় কি? 

সেরকম না। আমি একজন অভিনেতা, তাই নানারকম চরিত্র আমার কাছে আসবে সেটাই স্বাভাবিক। আমাদের আশেপাশে নানারকম মানুষ রয়েছেন। একটু চোখকান খোলা রাখলে অনেক কিছুই জানা যায়। তাই সেখান থেকেই মোটামুটি চরিত্রগুলোকে পেয়ে যাই। আলাদাভাবে হোমওয়ার্ক এর দরকার পড়ে না।

আরও পড়ুন: প্রকাশিত হলো পূর্ণাঙ্গ ‘শ্যামা’র অ্যালবাম

সৃজিত মুখোপাধ্যায় ফেলুদা ওয়েব সিরিজ় ঘোষণা করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তোমাকে মগনলাল মেঘরাজের ভূমিকায় দেখতে চেয়েছেন। এ ব্যাপারে তোমার প্রতিক্রিয়া কি?  

তাই নাকি! আমি আর মগনলাল? ওরে বাবা, খুব চাপ হয়ে যাবে। ওই চরিত্রটা করা অসম্ভব। আসলে উৎপল দত্ত যা করে দিয়ে গেছেন ওই চরিত্র আর যে কেউ করতে ভয় পাবে। এমনিতেই চরিত্রটা খুব কঠিন, তার ওপর একবার দর্শক যা দেখে নিয়েছেন তাতে আর কাউকে ওই জায়গায় সহজে মেনে নেবেন না।

দিয়া ঘোষের ‘বব বিশ্বাস’-এর নাম ভূমিকায় তো অভিষেক বচ্চন থাকছেন। কেমন লেগেছিল শুনে? এমন একটা আইকনিক চরিত্রকে তুমি জীবন্ত করলে, তারপর সেটা অন্য একজনের হাতে চলে গেল। খারাপ লাগেনি? 

কেন খারাপ লাগবে? বরং আমার তো ভালোই লাগছে যে আমি যে চরিত্রটাকে বিখ্যাত করেছি সেটায় কি না বচ্চন পরিবারের রাজকুমার অভিনয় করবে। এ তো গর্বের ব্যাপার। আর আমার যা করার ছিল আমি করে দিয়েছি, বলতে পারো ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করে গেছি। এবার অভিষেকের পালা (হাসি)। আমিও অপেক্ষায় থাকলাম। অবশ্যই দেখতে যাব ছবিটা।

ছবি: প্রতিবেদক

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Swati

Editor of a popular Bengali web-magazine. Writer, travel freak, nature addict, music lover, foody, crazy about hill stations and a dancer by passion. Burns the midnight oil to pen her prose. Also a poetry enthusiast.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *