শঙ্কু হিসেবে কেন ধৃতিমানই প্রথম ও শেষ পছন্দ, জানালেন সন্দীপ

কলকাতা: শঙ্কুর নাম ভূমিকায় অভিনেতা হিসেবে তাঁর প্রথম ও শেষ পছন্দ ছিলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, জানালেন সন্দীপ রায়। সত্যজিৎ রায়ের লেখা ‘নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো’ অবলম্বনে ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল্‌ ডোরাডো’ পরিচালনা করেছেন সন্দীপ। সমকালীন বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় চরিত্রগুলির মধ্যে বিবেচিত হয়ে থাকে সত্যজিৎ সৃষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রোফেসর শঙ্কু।

অতীতে বহুবার শঙ্কুকে নিয়ে ছবি তৈরীর কথা হলেও, ভাষা, মাধ্যম ও খরচের কারণে সেই চেষ্টা বেশিদূর এগোয়নি।

ছবিতে নকুড়বাবুর চরিত্রে রয়েছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায় ও প্রহ্লাদের ভূমিকায় থাকছেন উদয়শঙ্কর পাল।

আরও পড়ুন: প্রকাশিত হলো পূর্ণাঙ্গ ‘শ্যামা’র অ্যালবাম

“শঙ্কুর চরিত্রে সুন্দরদা (ধৃতিমান) ছাড়া আমার আর কোনও অপশন ছিল না,” গতকাল শহরে এক অনুষ্ঠানে জানালেন সন্দীপ। “চেহারা, শারীরিক গঠন, উচ্চতা, পাণ্ডিত্য, সবদিক দিয়েই তিনি শঙ্কু হওয়ার যোগ্য। এমন এক শঙ্কু যিনি সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াতে পারেন ও অনেকগুলো ভাষা জানেন। সুন্দরদা নিজেও অনেক ভাষা জানেন। আগামীদিনে আবারও যদি শঙ্কু হয়, তাহলে এই একই অভিনেতারা থাকবেন।”

ছবিতে রোবু ছাড়া শঙ্কুর আরও দুটি আবিষ্কার, অ্যানাইহিলিন পিস্তল ও মিরাকিউরল বড়ির ব্যবহারও দেখা যাবে বলে জানালেন পরিচালক।

আরও পড়ুন: অবহেলিত হেমন্তের উদযাপন করবে কথাদের বায়স্কোপ

ধৃতিমান জানালেন, “এই ছবিটার জন্য এমন সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয়েছে যেখানে চট করে কেউ যাবে না। এর মধ্যে ব্রাজ়িল তো আছেই, এছাড়া আমাজ়নের জঙ্গলেও শুটিং হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা খুবই কঠিন ছিল। তাই অভিজ্ঞতার দিক থেকেও ছবিটা চিরকাল মনে থাকবে।”

শঙ্কুকে নিয়ে আরও অনেক কাহিনী থাকতে ‘নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো’ কেন? “এই গল্পটা বেছে নেওয়ার কারণ ছিল নকুড়বাবুর উপস্থিতি,” জানালেন সন্দীপ। “বিদেশে গেলেও পুরো ছবিটা জুড়ে একটা বাংলা কানেক্ট থাকছে, যেটা শঙ্কুকে নিয়ে অন্য গল্পগুলোয় নেই। সেখানে বিদেশে গেলেই পুরো গল্পটা ইংরেজিতে বলা ছাড়া উপায় থাকে না।”

আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল

এদিকে প্রযোজনা সংস্থা থেকে গত পাঁচ-ছ’বছর ধরে সন্দীপকে অনুরোধ করা হচ্ছিল যে অনেক তো ফেলুদা হলো, এবার একটা শঙ্কু হোক। “আসলে তখনও এখানে ভিএফএক্স ততটা শক্তিশালী ছিল না। এখন হয়েছে। তাই এতদিন বাদে শঙ্কুকে বড় পর্দায় আনা সম্ভব হলো,” জানালেন পরিচালক।

তবে ছবিতে ভিএফএক্সের কাজ যেন কখনওই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে না যায় তা নিয়েও সতর্ক ছিলেন সন্দীপ। যারা শঙ্কু কমিকস পড়ে বড় হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন যে এই ছবিটা একেবারেই সেই ধাঁচের নয়। “বেশ সিরিয়াস ছবি হতে চলেছে ‘এল্‌ ডোরাডো’,” দাবী তাঁর। 

২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল্‌ ডোরাডো’।

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *