প্রৌঢ়ত্বের নবজীবন নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসবে অশোকের ‘হেমন্তের অপরাহ্ন’
RBN Web Desk: ষাট বছর বয়স মানেই কি সব শেষ হয়ে যাওয়া? চাকরি থেকে অবসরের বয়স হলেও মানুষ কি সত্যিই ষাটে বিশ্রামে যেতে চায়? না, এ কথা ঠিক নয়। বরং নতুন এক জীবনের শুরুও করা যায় এই বয়সেই। এই কথাই বুঝিয়েছেন অশোক বিশ্বনাথন তাঁর ‘হেমন্তের অপরাহ্ন‘ ছবিতে। অভিনয়ে রয়েছেন সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায ও অনুষা বিশ্বনাথন। ৬ ডিসেম্বর নন্দন-২ প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের তুমুল উৎসাহে প্রদর্শিত হয় ছবিটি। চলচ্চিত্র উৎসবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন অশোক, সত্যপ্রিয়, অনুষা ও ছবির সম্পাদক অর্ঘ্যকমল মিত্র।
অশোক তাঁর ছবিকে হাইড্রা-হেডেড বা ইন্টারটেক্সচুয়াল বলে বর্ণনা করলেন। অর্থাৎ, অর্থের অন্তর্নিহিত অর্থ ছবিটিকে জটিল করে তোলে। “এই ছবিতে আমরা একটা পরীক্ষামূলক জায়গাকে ধরার চেষ্টা করেছি,” বললেন তিনি। “আপাতভাবে এটি সম্পর্কের ছবি। বয়স আসলে একটা সংখ্যামাত্র, এটাই ছবির মূল বক্তব্য বলা যায়। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিপত্নীক মানুষকে নাটকের দলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সেখান থেকেই সেই মানুষটা নানারকম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কীভাবে তার জীবন পাল্টে যায় সেটাই দেখা যাবে ছবিতে।”
(বাঁদিক থেকে) অনুষা, অর্ঘ্যকমল, অশোক, সুদেষ্ণা রায় ও সত্যপ্রিয়
অর্ঘ্যকমল শুধুমাত্র এ ছবির সম্পাদক নন, বরং তাঁর নতুন সম্পাদনার ধরণের মাধ্যমে তিনি ছবি নির্মাণেও অনেক অবদান রেখেছেন, এমনটাই মনে করেন অশোক। “এই ছবিটা এমন একজন মানুষকে নিয়ে যার মধ্যে একটা স্থবিরতা ছিল। কিন্তু ছবিটা যেন স্থবির না হয়ে যায় সেটা শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি। এখন মানুষের মনোযোগের সময় কমে আসছে। তাই ছবিটার গতি যেন কমে না যায় সেটা খেয়াল রাখতে হয়েছে,” জানালেন অর্ঘ্যকমল।
আরও পড়ুন: ডেভিড হেয়ারের জীবনী প্রকাশ
তাঁর নিজের একটা ঘোড়া ছিল। পঁচিশ বছর বাদে আবার এই ছবির জন্য তিনি ঘোড়ায় চড়লেন বলে জানালেন সত্যপ্রিয়। “আমার নিজের জীবনের সঙ্গে এই ছবির গল্পটা কেমন যেন মিলে যায়। অশোকের ছবির সঙ্গে আমি শুরু থেকেই রয়েছি। ও বরাবরই ঝুঁকি নিয়ে ছবি করতে ভালোবাসে, এবারেও তাই করেছে। সেটা যে মানুষ গ্রহণ করেছেন সেটা দেখে খুব ভালো লেগেছে,” বললেন তিনি।
ছবি: সুফল ভট্টাচার্য ও স্বাতী চট্টোপাধ্যায়