অনিশ্চিতের দিকে তাকিয়ে সাত ভাই চম্পা
RBN Web Desk: টানা চতুর্থ দিনে পড়ল টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করা শিল্পীদের সংগঠন আর্টিস্ট্স ফোরাম-এর ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। গতকাল থেকেই প্রায় প্রত্যেকটি ধারাবাহিকেই পুরনো পর্ব দেখানো শুরু হয়েছে। কমবেশি সব প্রযোজকদের হাতেই এপিসোড ভাঁড়ার শূণ্য। এমতাবস্থায় অনেক দৈনিক ধারাবাহিকেরই ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় সবার ওপরে সাত ভাই চম্পা ও জয় কালী কলকত্তাওয়ালী।
সাত ভাই চম্পার নির্দেশক অমিত দাস সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, “আমার হাতে আর একটিও নতুন এপিসোড নেই। তাছাড়া এই ধারাবাহিকে গ্রাফিক্সের কাজও প্রচুর। ধর্মঘটের কোনও আশু সমাধান হলেও, নতুন এপিসোড শ্যুট করে সেটাকে সম্প্রচারের জন্য প্রস্তুত করতে যা সময় লাগে, সেটা এত তাড়াতাড়ি সম্ভব নয়।”
গান শেষ আর জান শেষ তো একই কথা রাজামশাই
প্রথা অনুযায়ী দৈনিক ধারাবাহিকের এক একটি পর্ব একই দিনে শ্যুট করা হয়। এতদিন সেটাই হয়ে আসছিল। জুলাই মাসের প্রথম দিকে আর্টিস্ট্স ফোরাম এক নির্দেশে জানিয়ে দেয় কোনও শিল্পীকে দিনে ১০ ঘন্টার বেশি কাজ করানো যাবে না। শিল্পীদের অভিযোগ, তা সত্ত্বেও তাদের দিয়ে ১৪-১৫ ঘন্টা কাজ করানো হয় এবং তার জন্য কোনও ওভারটাইম পারিশ্রমিকও দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদে শিল্পীরা ১৮ আগস্ট শ্যুটিং ফ্লোরে এসে মেকআপ নিয়ে বসে থাকেন কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি।
যে মৃত্যু আজও রহস্য
অমিত বললেন, “দৈনিক ১০ ঘন্টার মধ্যে কাজ শেষ করার নিয়ম যদি সত্যিই চালু হয়, তাহলে সমস্ত শিল্পী, কলাকুশলী, পোস্ট-প্রোডাকশন টিমের সীমিত সময়ে কাজ শেষ করার একটা সাংঘাতিক চাপ পড়বে। এতে ধারাবাহিকের গুণমান খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। সাত ভাই চম্পার ভবিষ্যৎ কি, তা আমার সত্যিই জানা নেই।”
নীরবতার মাঝে অন্য প্রেমের ছবি, মুক্তি পেল টিজ়ার
পরিস্থিতি যা তাতে প্রযোজকরা এবং শিল্পীদের সংগঠন, দুই পক্ষই তাদের অবস্থানে অনড়। আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার নজ়রুল মঞ্চে শিল্পীদের এক সভা ডেকেছে আর্টিস্ট্স ফোরাম। তাতে কোনও রফাসূত্র বেড়লেও, এই সপ্তাহে অন্তত কমবেশি ৩৩টি ধারাবাহিকের নতুন কোনও পর্ব দেখানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই। ব্যাতিক্রম ভূমিকন্যা ও বাজল তোমার আলোর বেণু। নতুন চালু হওয়া ধারাবাহিকের এপিসোড ভাঁড়ার স্বাভাবিক কারণেই অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে। তাই এই সপ্তাহে চাপে নেই এই দুটি ধারাবাহিক, দাবী প্রযোজকদের।