আমার এখনকার কাজ দেখলে খুশি হতো ঋতুপর্ণ: প্রসেনজিৎ
কলকাতা: তাঁর এখনকার কাজ দেখলে খুশি হতেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, এমনটাই বিশ্বাস করেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ঋতুপর্ণর ছবিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন ১৯৯৪ সালে ‘উনিশে এপ্রিল’-এ। এরপরে পরিচালকের ‘উৎসব’, ‘দোসর’, ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’, ‘খেলা’, ‘চোখের বালি’ ও ‘নৌকাডুবি’তে অভিনয় করেন প্রসেনজিৎ। ২০১৩ সালের ৩০ মে ৫০ বছর বয়সে মারা যান ঋতুপর্ণ।
“আমি বরাবরই বলে এসেছি ঋতুর হাত দিয়ে আমার এক নতুন জন্ম হয়েছে,” সম্প্রতি শহরে এক অনুষ্ঠানে রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন প্রসেনজিৎ। “আর এই নতুন প্রসেনজিৎকে যত্নসহকারে লালন-পালন করছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অতনু ঘোষ, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়ের মতো পরিচালকেরা। যদিও আমার জীবনে দুটো প্রসেনজিতেরই সমান গুরুত্ব। বাণিজ্যিক ছবি আজ আমাকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বানিয়েছে। কিন্তু গত দশ বছর ধরে যে নতুন প্রসেনজিৎকে দর্শক দেখছেন সেটা আমার মধ্যে জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে ঋতু। এখন ঋতু আর নেই কিন্তু আমি যে নতুন আমিকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি এটা দেখলে ও খুব খুশি হতো বলে আমার বিশ্বাস।”
আরও পড়ুন: নির্বাক, ব্যতিক্রমী ভাবনার নাটক ‘কনডেমড সেল’
উল্লেখ্য, একবার এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণ বলেছিলেন, তিনি প্রসেনজিতের থেকে বুম্বাকে বেশি পছন্দ করেন। নায়ক প্রসেনজিতের সব ছবি যে তাঁর ভালো লাগে তা নয়, কিন্তু বুম্বা ছিলেন তাঁর বন্ধু। এতটাই গভীর ছিল সেই বন্ধুত্ব যে প্রসেনজিৎ নিজের বাড়ির নাম রাখেন ‘উৎসব’।
গতবছর মুক্তিপ্রাপ্ত সৃজিতের ‘গুমনামী’ ছবিতে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রসেনজিৎ। “ঋতু যদি আমাকে নিয়ে অন্যধারার ছবি না বানাতো, তাহলে আমি যে নেতাজীর চরিত্রে অভিনয় করতে পারি এটা কেউই ভাবতে পারত না,” বললেন প্রসেনজিৎ।