শেষ অবধি লড়াইয়ের কথা বলে ‘মিছিল’: প্রচেত গুপ্ত
RBN Web Desk: তাঁর লেখা কাহিনী অবলম্বেন ‘চাঁদের বাড়ি’ ও ‘নেকলেস’-এর মতো ছবি হয়েছে আগেই। সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্তর ‘মিছিল’ গল্পটি নিয়ে এবার একই নামের ছবি আসছে বড় পর্দায়। অভিনয়ে রয়েছেন বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, সমদর্শী দত্ত, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায় ও রুমকি চট্টোপাধ্যায়।
ছবি হিসেবে কেমন লাগল ‘মিছিল’? তাঁর স্বভাবসিদ্ধ শান্ত গলায় প্রচেত রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন, “ছবিটা আমি এখনও দেখিনি। তবে ভালো লেগেছিল যখন সুরজিৎ (নাগ) ও উজ্জ্বল (বসু) এসেছিলেন এই গল্পটা নিয়ে ছবি করতে চেয়ে। ‘মিছিল’ আমার নিজের একটু বিশেষ প্রিয়। কারণ এর একটা সামাজিক প্রেক্ষিত আছে। আর শেষ অবধি গল্পটা একটা লড়াইয়ের কথা বলে। যেটা বেশ অনেকদিন আগে লেখা হলেও এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। তাই ওঁরা যখন এলেন তখন মনে হয়েছিল নতুন কেউ যখন বিশেষভাবে এই গল্পটা নিয়েই আগ্রহী হয়েছেন তাহলে নিশ্চয়ই ছবি হলে ভালোই হবে।”
আরও পড়ুন: ফাগুন লেগেছে বনে বনে
লেখার সময় কী কখনও মনে হয় ছবি হলে কোন ভূমিকায় কে থাকতে পারেন? “একেবারেই না,” বললেন প্রচেত। “গল্প লেখার সময় কখনওই কোনও মুখ মনে আসে না। সেটা হয়তো চিত্রনাট্য লেখার সময় আসতে পারে। তবে এই ছবির চরিত্রগুলোয় নির্বাচন আমার খুব পছন্দ হয়েছে। মনে হয়েছে এই অভিনেতারা চরিত্রগুলোর প্রতি সুবিচার করতে পারবেন।”
তবে ছবি করতে গেল অনেক সময় গল্প বদলে যায়। ‘মিছিল’-এর ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে। “ছবি করতে গেলে কিছু পরিবর্তন তো লাগবেই। গল্প যেভাবে লেখা হয় ছবি তো আর সেভাবে হতে পারে না। দুটো আলাদা জিনিস। ছবির ক্ষেত্রে যেটুকু বদল, সেটা ওঁরা আমাকে জানিয়েই করেছেন। এবং সেই বদলটার প্রয়োজনও ছিল।”
আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল
সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের মাধ্যম সম্পূর্ণ আলাদা তাই একে অপরের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না বলেই মনে করেন লেখক। “অনেক সময় বই পড়ে ছবিটি দেখার ইচ্ছে হয় বা উল্টোটাও হয়ে থাকে। ক্লাসিক সাহিত্য নিয়ে ছবি হওয়ার ফলে বহুক্ষেত্রে তা সাধারণ মানুষকে সেই মূল লেখাটা পড়ায় উৎসাহ জুগিয়েছে,” বললেন তিনি।
আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে ‘মিছিল’।
ছবি: উইকিমিডিয়া