পদবী পরিবর্তন সমর্থন করেন না মধুমিতা

RBN Web Desk: বিয়ের পর মেয়েদের পদবী অপরিবর্তিত রাখার পক্ষেই মত দিলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। সম্প্রতি কলকাতায় ‘কুলের আচার’ ছবির ট্রেলার মুক্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি ও ছবির অন্যান্য কলাকুশলীরা। ছবিতে মধুমিতার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী হালদার ও নীল মুখোপাধ্যায়। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুদীপ দাস। ছবির কাহিনীকারও তিনি।

একজন পুরুষ নামকরণের আগেই তাঁর পদবী নিয়ে জন্মায়। কিন্তু একজন নারী জন্মায় এক পদবী নিয়ে, মারা যায় আরেক পদবী নিয়ে। কেন এই বিভাজন? একজন বিবাহিতা মেয়ে কেন সারাজীবন তাঁর পিতৃদত্ত পদবী বহন করতে পারবে না? এমন বেশ কিছু বাস্তব এবং যৌক্তিক প্রশ্নই উঠে আসবে ‘কুলের আচার’-এ।

আরও পড়ুন: নেপথ্যে গাইলেন জলি, স্টেজে দাঁড়িয়ে ঠোঁট মেলালেন রাহুল দেব বর্মণ

ছবির গল্প প্রায় সকলেরই জানা। একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করে মিঠি (মধুমিতা) ও প্রীতম (বিক্রম)। বিয়ের পর তার পূর্ব পদবীই রাখতে চায় মিঠি। এদিকে মিঠির গোঁড়া শ্বশুরবাড়ি তার এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। তবে মিঠির এই দাবি সমর্থন করে তার শাশুড়ি মিতালি (ইন্দ্রাণী)। পদবী পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মিঠির এই লড়াই মিতালির কাছে যুক্তিপূর্ণ মনে হয়। বিয়ের পর পদবী পরিবর্তন করেছিল মিতালি। এখন সে নিজের পূর্ব পদবী ফিরিয়ে আনতে চায়। আর তখনই ঘুরে যায় গল্পের মোড়।

বর্তমানে এমন অনেকে মহিলাই আছেন যাঁরা বিয়ের পরেও তাঁদের পদবী বদলাননি। আবার কেউ-কেউ পূর্ব পদবীর সঙ্গে জুড়ে নিয়েছেন নতুনটিকে। তাহলে সত্যিই কি পদবীর সঙ্গে ব্যক্তি স্বাধীনতার কোনও সম্পর্ক আছে?



“দেখুন এমন নয় যে পদবী পবিবর্তন করলেই নিজের পূর্ব পরিচিতিকে অসম্মান করা হয়,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন সুদীপ। “আবার কেউ যদি পদবী পবিবর্তন করতে না চান, তার মানে এই নয় যে তিনি তার নতুন পরিবারকে আপন করতে অক্ষম। আমার ছবিতে কে ঠিক বা ভুল, পদবীর গুরুত্ব, এগুলো কিছুই বলতে চাইনি। আমি মনে করি, একজন মহিলার যেমন নিজের জন্য সবকিছু বেছে নেওয়ার অধিকার আছে তেমনই তাঁর নামের সঙ্গে কোন পদবী সে রাখতে চায় সেটাও তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”

তবে মধুমিতা বললেন, “আমার পদবী আমার বাবার পরিচয়। সেখানে  আমি মনে করি বাবার সম্মান রক্ষার্থে নিজের পদবী অপরিবর্তিত রাখা উচিত।”

আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ

অন্যদিকে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা কোনও পদবীই ব্যবহার করেন না। তাঁদের মধ্যে অনেকেই শুধুমাত্র নিজের নামটুকু নিয়েই সমাজে প্রতিষ্ঠিত। তাহলে কি সেখানে তাঁদের পরিবারের সম্মান বজায় থাকছে না?

“কে কীভাবে নিজের নাম ব্যবহার করবে সেটা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আজ আমি মধুমিতা সরকারের পরিবর্তে শুধুমাত্র মধুমিতা ব্যবহার করব কিনা সেটাও একান্ত আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমাদের ছবির বক্তব্যও সেটাই,” বললেন মধুমিতা।

আরও পড়ুন: ফাগুন লেগেছে বনে বনে

প্রায় পাঁচ বছর পর বড়পর্দায় ফিরলেন ইন্দ্রাণী। ছবির নামকরণ নিয়ে তিনি বললেন, “ছোটবেলায় আমরা সমোচ্চারিত ও ভিন্নার্থক শব্দ পড়েছি। কুল যেমন একটি টকমিষ্টি ফলের নাম, তেমনই কূলের অর্থ বংশ। আচার কথাটি আমরা আচার-বিচারের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে থাকি। অর্থাৎ আমাদের ছবির গল্প একদিকে যেমন টকমিষ্টি কুলের আচারের মতোই সুস্বাদু, তেমনই আবার বংশের বহমান রীতিনীতির কথাও বলে।”

ছবির সৃজনশীল পরিচালকের ভূমিকায় রয়েছেন মৈনাক ভৌমিক। সঙ্গীতের দায়িত্বে আছেন প্রসেন ও তাঁর দলবল। ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে মাহতিম শাকিব এবং মধুমন্তী বাগচীর কণ্ঠে ‘ভুল করেছি ভুল’। এছাড়াও ইমন চক্রবর্তীর কণ্ঠে ‘আমি আমার মধ্যে তোমায় খুঁজে পাই’ এবং তৈশী ও মৈনাকের কণ্ঠে ‘কিছুটা আমি আছি’ গানদুটি থাকছে বলে জানালেন প্রসেন।

১৫ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে ‘কুলের আচার’।




Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *