আমাকে দিয়ে অভিনয় করিয়ে নিয়েছিলেন সত্যজিৎ: কুশল
কলকাতা: ‘সোনার কেল্লা’ ছবিতে মুকুলের চরিত্রে তিনি অভিনয় করেননি, বরং তাঁকে দিয়ে অভিনয় করিয়ে নিয়েছিলেন পরিচালক সত্যজিৎ রায়, বললেন কুশল চক্রবর্তী। ১৯৭৪-এ মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কুশল। সত্যজিতের সঙ্গে এটিই তাঁর একমাত্র কাজ। ছবির অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সন্তোষ দত্ত ও সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়।
‘সোনার কেল্লা’ ছবির সময় কুশলের বয়স ছিল ছ’বছর। সেই সময়ের সব কথা কি এখনও তাঁর মনে আছে? “সাধারণ কথা হলে হয়তো মনে থাকতো না,” সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রেডিওবাংলানেট-কে বললেন কুশল। “কিন্তু এই কথাগুলো এতবার এত জায়গায় বলেছি যে বার বার বলতে গিয়ে মাথার মধ্যে ওটার একটা ছবি হয়ে গেছে যেন।”
কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যের টক শো ‘অচেনা মানিক’-এর প্রথম পর্ব। এই পর্বে ‘সোনার কেল্লা’ নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে দেখা যাবে কুশলকে।
আরও পড়ুন: পুরোনো প্রথায় ফিরতে চেয়ে ইমনের নতুন গান
বড় হওয়ার পরে সত্যজিতের ছবিতে কাজ করার সুযোগ আসেনি বলে আক্ষেপ থেকে গেছে বলেও জানালেন তিনি। “তবে বড় হয়ে কাজ করতে গেলে নিশ্চয়ই খুব ভয় পেতাম। ছোটবেলায় তো সেই ভয়টা তৈরিই হয়নি। উনি কে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। বড় হয়ে তো ভয় পেতাম রীতিমতো,” জানালেন কুশল।
সত্যজিতের অন্যতম বাণিজ্যসফল ছবি ‘সোনার কেল্লা’। সেই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকতে পেরে গর্ববোধ করেন বলে জানালেন কুশল। “যতদিন সত্যজিতকে নিয়ে চর্চা হবে ততদিন ‘সোনার কেল্লা’কে মানুষ মনে রাখবেন। আর ততদিন মুকুলও থেকে যাবে,” বললেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুজোয় রবীন্দ্র সদনে বাংলা ছবি, সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের
তবে এত বছরে থিয়েটার, ধারাবাহিক, ছবি সব মিলিয়ে সোনার কেল্লার মুকুলকে তাঁর সব থেকে প্রিয় চরিত্র বলে মানতে নারাজ কুশল। “প্রিয় চরিত্র তো তখনই হবে যখন আমি সচেতনভাবে সেখানে অভিনয় করব। যেটা বলছিলাম, ‘সোনার কেল্লা’তে তো আমাকে অভিনয় করতে হয়নি। অবশ্যই দর্শকের বিচারে ওটা আমার সেরা কাজ, কারণ পরিচালকও তো সেরা। সময়ের বিচারেও ওটাই মানুষ মনে রাখবেন। তবু ওইভাবে প্রিয় চরিত্র হিসেবে মুকুলকে বলা যায় না। মুকুল তার থেকে বেশি কিছু,” মনে করেন কুশল।