মুক্তি পেল ‘গুমনামী’র দ্বিতীয় গান
কলকাতা: মুক্তি পেল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘গুমনামী’র দ্বিতীয় গান ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’। ১৯৪২ সালে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু প্রতিষ্ঠিত আজ়াদ হিন্দ ফৌজের কুচকাওয়াজের সময় সৈন্যদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই গানটি রচনা করেন বংশীধর শুক্ল। সুর করেছিলেন রাম সিং ঠাকুরী। সেই গানটিই সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত নতুনভাবে সাজিয়ে ব্যবহার করেছেন এই ছবিতে।
ছবি মুক্তির আগে নেতাজীর স্মৃতি জড়িত অথবা তাঁর নামাঙ্কিত বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত হচ্ছেন সৃজিত সহ ছবির কলাকুশলীরা। ১১ সেপ্টেম্বর উত্তর কলকাতার সিমলা ব্যায়াম সমিতির দুর্গাপূজা প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা। এই সংগঠনের সঙ্গে এক সময় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল নেতাজীর। দু’বারের সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর ইন্দ্রদীপের সুরে ও সোনু নিগমের কণ্ঠে, সল্টলেকে নেতাজী মূর্তির পাদদেশে এক অনুষ্ঠানে মুক্তি পায় ‘গুমনামী’র প্রথম গান ‘সুভাষজী’।
আরও পড়ুন: গান শেষ আর জান শেষ তো একই কথা রাজামশাই
সেই ধারা বজায় রেখেই আজ নেতাজী ভবন মেট্রো স্টেশনে প্রকাশিত হল ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’। ছবিতে গানটি গেয়েছেন ইশান মিত্র।
“এই গানটা গাওয়া আমার কাছে খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু ইন্দ্রদীপদা এত সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন যে কোনও অসুবিধাই হয়নি,” জানালেন ঈশান।
আরও পড়ুন: তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’ ছাড়া ‘সুভাষজী’ গানটিও আজ়াদ হিন্দ ফৌজের। গানদুটিকে ঠিক কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ছবিতে? “‘সুভাষজী’ গানটিকে আমরা একটু ধীর লয়ে রেখেছি। দ্বিতীয় গানটির লয় একই থাকছে,” জানালেন সৃজিত।
১৯৯৯ সালে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্য তদন্তের জন্য গঠিত মুখার্জী কমিশনের রিপোর্ট অবলম্বনে ‘গুমনামী’ পরিচালনা করেছেন সৃজিত। ছবির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তনুশ্রী চক্রবর্তী ও বিপ্লব দাশগুপ্ত।