‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’-এর গান আগেরটার থেকে কঠিন: জয়
RBN Web Desk: ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’-এর গান ‘তানসেনের তানপুরা’র থেকে কঠিন বলেই মনে করেন সুরকার জয় সরকার। আজ মুক্তি পেয়েছে ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’-এর দ্বিতীয় ভাগ। দুটি সিরিজ়েই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। দুটিতেই সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন জয়।
“‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’-এর গানগুলো তুলনামূলক কঠিন,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন জয়। “আসলে ভারতের মতো এত সমৃদ্ধ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত অন্য কোনও দেশে নেই। অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা বিশ্বে তৃতীয় হলেও, সঙ্গীতে প্রথম। ভারতীয় রাগসঙ্গীতের মতো এরকম বৈচিত্র্য আর কোথাও আছে বলে আমার অন্তত জানা নেই।”
আরও পড়ুন: এবার রাজেশ খান্নার বায়োপিক
গল্প হিসেবেও ‘তানসেনের তানপুরা’র থেকে ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’ অনেকটাই আলাদা। দুটিরই চিত্রনাট্যকার সৌগত বসু। ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’ পরিচালনা করেছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।
“অন্য কোনও ছবির ক্ষেত্রে রাগরাগিণী নিয়ে বিশেষ কাজ হয়তো হয় না। তবে এখানে আমাকে রীতিমত পড়াশোনা করতে হয়েছে। দিনে-দিনে সৌগত যেভাবে কঠিন গল্প লিখছে, আমি বলেছি পরের বার আমি আর পারব না,” হাসতে-হাসতে বললেন জয়।
প্রধান দুই চরিত্র নাদ (সৌরভ দাস) ও আলাপের (বিক্রম চট্টোপাধ্যায়) কণ্ঠে থাকা গানগুলি গেয়েছেন শোভন গঙ্গোপাধ্যায় ও জিমূত রায়। এত কঠিন গান এই শিল্পীদের কণ্ঠে সাধারণত শোনা যায় না। সেক্ষেত্রে শোভন আর জিমূতকে বেছে নেওয়ার কারণ কী? জয় বললেন, “দেখো, আমাদের দেশে প্রতিভার অভাব নেই। জিমূত ও শোভন এদের দুজনেই এমন একটি রিয়েলিটি শো থেকে উঠে এসছে যেখানে বিচারক হিসেবে আমি উপস্থিত ছিলাম। তাই এদের দুজনের গায়কী সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল। ওদের দিয়ে গান গাওয়ানোর ক্ষেত্রে আমি একটুও সন্দিহান ছিলাম না। আমি জানতাম ওরা পারবে।”
আড়ও পড়ুন: বাংলায় কমেডি ছবির সুদিন ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী বিশ্বনাথ, মানসী, প্রেমেন্দু
মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘যত কান্ড কাঠমান্ডুতে’ সিরিজ়টি। এখানেও সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন জয়। এছাড়া অঞ্জন কাঞ্জিলালের ছবি ‘সাজঘর’-এও কাজ করছেন তিনি। এই ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। “‘সাজঘর’ ছবিতেও গানের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আর এই কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং,” বললেন জয়।
ছবি: প্রতিবেদক