লক্ষ্মীলাভ এখনও অধরা, আশঙ্কাই সত্যি হলো?
RBN Web Desk: এক সপ্তাহও হয়নি। ইতিমধ্যেই ‘৮৩’-এর বক্স অফিসে ফ্লপ তকমা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে। অথচ ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম বিশ্বকাপ জয় নিয়ে এ ছবিকে ঘিরে দর্শকমহলে কম উন্মাদনা ছিল না। প্রায় সব চলচ্চিত্র সমালোচক ‘৮৩’-কে ভালো ছবি হিসেবে মান্যতা দিয়েছেন। তবু মুক্তির পাঁচ দিন পরেও এ ছবির লক্ষ্মীলাভের আশা ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ‘৮৩’ এখনও পর্যন্ত ₹৭০ কোটির ব্যবসা করেছে যা একটি সর্বভারতীয় পর্যায়ে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি ছবির ক্ষেত্রে একবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। এদিকে দক্ষিণী ছবি ‘পুষ্পা’র ব্যবসা ইতিমধ্যেই ₹২০০ কোটি অতিক্রম করেছে। তাই ₹১২৫ কোটি ব্যয়ে নির্মিত কবীর খানের ‘৮৩’ আদৌ ₹১০০ কোটির ব্যবসা করতে পারবে কিনা—আর করলেও তা কতদিনে—তাই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বক্স অফিস বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: বাংলায় কমেডি ছবির সুদিন ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী বিশ্বনাথ, মানসী, প্রেমেন্দু
‘৮৩’-এর এহেন ফলের পিছনে উঠে আসছে বেশ কয়েকটি কারণ। বিশ্বায়ন পূর্ববর্তী যুগের সঙ্গে বর্তমান ভারতের আকাশ-পাতাল ফারাক। তাই তথ্যনিষ্ঠ এবং অভিনয়গুণে সমৃদ্ধ হলেও, বহু সমালোচক আশঙ্কা করেছিলেন যে ‘৮৩’ হয়তো বর্তমান প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে পারবে না। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে বলে বনে করছেন বক্স অফিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এছাড়া এত বিপুল অর্থব্যয়ে নির্মিত, রণবীর সিংহ, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, বোমান ইরানি ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘৮৩’-এর টিকিট মূল্য একই সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত অন্য ছবিগুলির থেকে অনেকটাই বেশি। হলিউড ছবি ‘স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম’-এর দাপটও অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।
দ্বিতীয় সপ্তাহে ছোট শহরে সিঙ্গল স্ক্রিনে ‘৮৩’-এর শোয়ের সংখ্যাও কমতে চলেছে। ছবির গল্প বলার ধরণ কিছুটা তথ্যচিত্রধর্মী হওয়ার কারণে হয়তো বড় শহরের বাইরে ‘৮৩’ তেমন চলছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দিল্লির মতো এ-লিস্ট শহরে আংশিক লকডাউনের ঘোষণা। জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। সব মিলিয়ে ‘৮৩’-এর ব্যবসা নিয়ে একেবারেই আশাবাদী নয় বিশেষজ্ঞদের একাংশ।