বাবুদাকে বলেছিলাম, মনে রাখবেন: ইন্দ্রনীল
RBN Web Desk: বড়পর্দায় নতুন ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। সত্যজিৎ রায়ের কাহিনী অবলম্বনে সন্দীপ রায় পরিচালিত ‘হত্যাপুরী’ ছবিতে ইন্দ্রনীলকে দেখা যাবে মূল চরিত্রে। এর আগে সন্দীপের পরিচালনায় ফেলু সিরিজ়ের ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী ও আবির চট্টোপাধ্যায়। ইন্দ্রনীল ছাড়াও ‘হত্যাপুরী’তে থাকছেন আয়ুষ দাস, অভিজিৎ গুহ, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভরত কল, সাহেব চট্টোপাধ্যায় ও শুভাশিস মুখোপাধ্যায়।
“বেনুদা (সব্যসাচী) যখন ফেলুদা করবেন না বলে জানিয়ে দেন,” বললেন ইন্দ্রনীল, “তখন আমি ঠিক করেছিলাম বাবুদাকে গিয়ে বলব যে এরপর ফেলুদা করলে আমাকে যেন মাথায় রাখেন। এটা তো আমি বলতে পারি না যে আমাকে নিন। বড়জোর বলতে পারি, আমাকে মনে রাখবেন। সেটাই করেছিলাম। আমি কোনওদিনই কারও কাছে কাজ চাইতে পারি না। ফেলুদার চরিত্র ছিল একমাত্র ব্যতিক্রম।”
আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি
এখনও পর্যন্ত কলকাতায় দু’দিন শ্যুটিং হয়েছে। সন্দীপ রায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
“বাবুদার (সন্দীপ) ইউনিটের মতো খোলামেলা পরিবেশ খুব কম ছবির ক্ষেত্রে পাওয়া যায়। তার মধ্যে বাবুদা ও বুনিদি (ললিতা রায়) এতবার করে অভিনেতার সবরকম স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে নজর রাখেন যে অবাক হতে হয়। সারাক্ষণ গরম লাগছে কিনা বা ঠিকমতো খাওয়া হলো কিনা সবসময় খেয়াল রাখেন ওঁরা। এটা খুব বড় পাওয়া। তাছাড়া শ্যুটে একটু দেরি হলেই বাবুদা এতবার ‘সরি’ বলেন যে রীতিমত অস্বস্তি হয়। এখানে তো কেউ কোনওদিন সরি বলে না,” জানালেন ইন্দ্রনীল।
আরও পড়ুন: সিনেমার মতোই ছিল যে জীবন
এর আগে গোয়েন্দা কিরীটি রায়ের চরিত্রে অভিনয় করলেও ফেলুদা করার অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা বলে মনে করেন ইন্দ্রনীল। “দুটি চরিত্রের মধ্যে কোনও মিল নেই। বাবুদা যে আমাকেই ফেলুদা হিসেবে নির্বাচন করবেন, সেটা জানতাম না। তবে আলাদা করে এই চরিত্রটার জন্য কোনওরকম চাপ নিচ্ছি না। সেটা হলে কাজটা ভালো করে করতে পারব না,” বললেন ইন্দ্রনীল।
২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ‘হত্যাপুরী’।
ছবি: প্রবুদ্ধ নিয়োগী