নিষিদ্ধ সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে ভালবাসা খোঁজার ছবি
কলকাতা: “ভালবাসা নিয়ে একটা ভালো ছবি,” নিজের নতুন ছবি ফাইনালি ভালবাসা সম্পর্কে এমনটাই জানালেন পরিচালক অঞ্জন দত্ত। গতকাল শহরে এই ছবির এক সাংবাদিক সম্মেলনে অঞ্জন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও কলাকুশলীরা।
তিনটি আলাদা গল্প—ইনসমনিয়া, আরথ্রাইটিস ও এইচআইভি পজ়িটিভ—নিয়ে গড়ে উঠেছে এই ছবি। সমাজের চোখে কিছু দুর্বোধ্য বা নিষিদ্ধ সম্পর্কের গল্প বলে ফাইনালি ভালোবাসা। ছবির কাহিনী অনুযায়ী কখনও আসানসোলে, কখনও কলকাতায় আবার কখনও দার্জিলিঙে ঘুরেছে ক্যামেরা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে করেছেন রাইমা সেন, সৌরসেনী মৈত্র, অরিন্দম শীল, অর্জুন চক্রবর্তী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সুপ্রভাত দাস, সৌরভ দাস ও অঞ্জন।
আবার বছর সাতেক পর, আসছে চন্দ্রবিন্দুর নতুন অ্যালবাম
প্রথম গল্পে রাইমা সেন ও অরিন্দম শীলকে দেখা যাবে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায়। ব্যবসায়ী অরিন্দমের স্ত্রীর প্রতি অধিকারবোধ প্রবল, তার জেরে চলে শারীরিক অত্যাচারও। অরিন্দমের সহকারী হিসেবে কাজ করেন অর্জুন। রাইমার প্রতি সহানুভূতি-বশত তাকে পালাতে সাহায্য করেন অর্জুন।
রাইমা জানালেন, “এই ছবিতে আমার চরিত্রের নাম মালবিকা। অত্যাচারী স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে করতে মালবিকার জীবনে অন্য একজন আসে। এরকম চরিত্রে আগে কখনও অভিনয় করিনি।”
নায়ক শহর কলকাতা
অরিন্দম জানালেন, “ওপর থেকে শুনে যতই মনে হোক তার চরিত্রটি এক অত্যাচারী স্বামীর, আসল ঘটনা জানা যাবে ছবি দেখার পর।”
দ্বিতীয় গল্পে সৌরসেনী একটি মেয়ের ভূমিকায় রয়েছেন যার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে নানান অশান্তির ভেতর দিয়ে। এই মেয়েটি অবশেষে ভালবাসার আশ্রয় খুঁজে পায় তার চেয়ে বয়সে অনেকটাই বড় এক পুরুষের মধ্যে, যে নিজের শর্তে তার জীবনটা কাটাতে চায়।
সৌরসেনী জানালেন, “এই ছবির তিনটি অধ্যায় তিনটি রোগের নামে। আর সেই গল্পের কোনও এক চরিত্র এই রোগে আক্রান্ত। তাদেরকে ঘিরেই গড়ে উঠছে সম্পর্কের গল্প। আমার অভিনীত চরিত্রটির নাম আহিরি।”
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
তৃতীয় গল্পে সমকামী প্রেম ধরা পড়ে অনির্বাণ ও সুপ্রভাতের সম্পর্কের মধ্যে। অসুস্থ শরীরে তার অভিনেতা হবার স্বপ্ন যখন ভেঙে যাওয়ার মুখে তখনই অনির্বাণের জীবনে বন্ধু হয়ে আসেন সুপ্রভাত। দুজনের বন্ধুত্ব কোনদিকে মোড় নেয়, তাই নিয়েই গল্প।
অঞ্জন জানালেন, “ছবিতে নানান নিষিদ্ধ সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে তিনি শুধু ভালবাসাকে খুঁজতে চেয়েছেন। এতগুলো জটিল চরিত্র শেষে গিয়ে তাদের ভালবাসাকে খুঁজে পেল কিনা সেটাই উঠে আসবে এই ছবিতে।”
ছবির সঙ্গীত হেঁসেল সামলেছেন নীল দত্ত।
৮ ফেব্রুয়ারী মুক্তি পাচ্ছে ফাইনালি ভালবাসা।