মাত্র দুটি চরিত্র নিয়ে একটা গোটা সিরিজ় এর আগে হয়নি: ধ্রুব
১৯৭০ সালে ব্রিটিশ নাট্যকার অ্যান্থনি শ্যাফর লিখেছিলেন দুই চরিত্র বিশিষ্ট নাটক ‘স্লিউথ’। তারপর কেটে গেছে পঞ্চাশ বছর। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে, একাধিক ভাষায়, নানা আঙ্গিকে মঞ্চস্থ হয়েছে ‘স্লিউথ’। ছবিও হয়েছে এই নাটক অবলম্বনে। সেই গল্প নিয়ে এবার বাংলায় ওয়েব সিরিজ় পরিচালনা করতে চলেছেন ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম ‘টিকটিকি’। একই নামের নাটকে এক সময় অভিনয় করতেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও কৌশিক সেন। তবে এই নাটক নিয়ে সিরিজ় এই প্রথম। দুই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এটি ধ্রুবর প্রথম ওয়েব সিরিজ়ও বটে। আপাতত ‘গোলন্দাজ’-এর প্রচারে ব্যস্ত ধ্রুব। এরই মাঝে ‘টিকটিকি’ নিয়ে রেডিওবাংলানেট-এর সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
নাটকের গল্প নিয়ে সিরিজ় করার কথা কেন ভাবলেন?
কারণ এটা একটা আইকনিক গল্প। এছাড়া আর একটা কারণ হলো যখন কলেজে পড়ার সময় যখন ‘স্বপ্নসন্ধানী’তে ছিলাম, তখন এই নাটকের সেট সাজাবার কাজ করতাম। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল কোনওদিন যদি সুযোগ পাই, এটা নিয়ে অডিও ভিস্যুয়ালে কাজ করব। এই সময়ের অন্যতম সেরা দুই অভিনেতাকে একই স্ক্রিনে পাওয়াটাও একটা বিরাট ব্যাপার তো বটেই। গল্পটার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এখানে চরিত্র মাত্র দুটি। শুধুমাত্র দুটি চরিত্র নিয়ে একটা সিরিজ় সম্ভবত এর আগে কখনও হয়নি। বহুদিন ধরে ইচ্ছে ছিল এই কাজটা করার।
আরও পড়ুন: বাইপোলার ডিসঅর্ডার থেকে চরম অবসাদ, হোমসে ‘ডুবে’ গিয়েছিলেন জেরেমি
‘গুপ্তধন’ সিরিজ়ের দুটি ছবি ও ‘গোলন্দাজ’-এর মত বিরাট মাপের কাজের থেকে ‘টিকটিকি’ একেবারেই আলাদা হতে চলেছে। সম্পূর্ণ আলাদা একটা ফরম্যাটে কাজের ক্ষেত্রে কতটা ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন?
যখন ‘গোলন্দাজ’ নিয়ে কাজ শুরু করি তখন বাংলা ছবিতে এত বড় মাপের কোনও কাজ করার কথা আর কেউ ভাবেনি। আর প্রযোজনা সংস্থাও জানে চ্যালেঞ্জ ছাড়া আমি কাজ করি না। আর এই সিরিজ়ে আমার মনে হয় পর্দায় যে দুজন অভিনেতা থাকবেন, তাঁরাই ছবিটাকে ম্যাগনাম ওপাসের পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি
শ্যুটিংয়ের ফরম্যাটও তার মানে এখানে সম্পূর্ণ আলাদা হবে? এটা কি পুরোটাই ইনডোরে হবে? কতগুলো পর্বে আসবে ‘টিকটিকি’?
ফরম্যাট অবশ্যই আলাদা, আর সেটাই এই কাজটার বৈশিষ্ট্য বলে আমি মনে করি। যে কোনও কাজের ক্ষেত্রেই নতুন কিছু দিতে পারছি কিনা, সেটাই আমার কাছে আসল কথা। যেদিন দিতে পারব না, সেদিন নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করার সময় আসবে। এমনকি পরবর্তীকালে যা-যা কাজ করব সেখানেও এই নতুন কিছু করার চেষ্টাটা থাকবেই। শ্যুটিং কোথায় হবে বা কতগুলো পর্ব থাকবে সেসব এখনও ঠিক হয়নি। কোন সময়ে শ্যুট করলে ভালো হবে, সেটাও এখন আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে সবটা শুট ইনডোরে হবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।