দুই দশক পর আবার এক ফ্রেমে সৌমিত্র-অপর্ণা
কলকাতা: শেষবার তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ২০০০ সালে ‘পারমিতার একদিন’ ছবিতে। প্রায় দুই দশক পর আবার এক ফ্রেমে দেখা যাবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও অপর্ণা সেনকে। পরিচালক সুমন ঘোষের ছবি ‘বসু পরিবার’-এ স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন সৌমিত্র-অপর্ণা জুটি।
সম্প্রতি শহরে এক অনুষ্ঠানে মুক্তি পেল এই ছবির ট্রেলার। সুমন, সৌমিত্র, অপর্ণা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী ও শ্রীনন্দা শংকর। বসু পরিবার-এ দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন সুদীপ্তা ও শ্রীনন্দা।
ছবির গল্পটা কিরকম?
বসু পরিবার কলকাতার বাসিন্দা। প্রবীণ বসু দম্পতি তাঁদের বিবাহের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে মেদিনীপুরে দেশের বাড়িতে আসেন। এই জমিদার বাড়ির সঙ্গে বসু পরিবারের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। পরিবারের সকলের একসঙ্গে জমায়েত হওয়া ও তার থেকে উঠে আসা পারিবারিক নানান টানাপোড়েনের কাহিনী নিয়েই এগোবে এই ছবির গল্প।
হারানো লেত্তি, হারানো লাট্টু
বসু দম্পতির এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমেরিকা থেকে আসে উড়ে আসে তাদের পুত্র ও পুত্রবধূ। মেয়ে আসে মুম্বই থেকে। এছাড়াও অন্যান্য আত্মীয়রাও আসেন বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে। গৃহকর্তা মিঃ বসুর ভাইয়ের স্ত্রী ও পুত্রও আসেন হলদিয়া থেকে। আসেন তার দিদির ছেলে ও স্ত্রীও। মিঃ বসুর এক বাল্যবন্ধুও আসেন নিমন্ত্রণ পেয়ে। সকলের উপস্থিতিতে আনন্দ করে কেক কেটে সান্ধ্য অনুষ্ঠান শুরু হয়। বসু দম্পতি তাঁদের পেরিয়ে আসা দীর্ঘ ও সফল বৈবাহিক জীবনের সুখস্মৃতি স্মরণ করতে থাকেন।
কিন্তু সন্ধ্যে গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নানান সম্পর্কের আসল রূপ বেরিয়ে আসতে থাকে। আনন্দ সন্ধ্যার আড়ালে উঠে আসে বহুদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা পারিবারিক গোপন সত্য ও সম্পর্কগুলোর নিজেদের মধ্যে বয়ে চলা রাগ ও ঘৃণার কদর্য রূপ।
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
অনুষ্ঠানের মাঝেই এক অনাহুত অতিথি এসে উপস্থিত হন যিনি জমিদার বাড়ির পাশেই থাকেন। এই অদ্ভূত মানুষটি কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন রেখে যান গৃহকর্তার সামনে। একটি সন্ধ্যার আনন্দ অনুষ্ঠান যেন গোটা পরিবারকে আয়নার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।
এই ছবির অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন, যীশু সেনগুপ্ত, শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবির সঙ্গীত হেঁসেল সামলেছেন বিক্রম ঘোষ।
৫ এপ্রিল মুক্তি পাবে বসু পরিবার।