‘ডক্টরবাবু’ শুনে সবাই হেসেই খুন: আয়ুশী

প্রথম ছবি অস্কার সবেমাত্র মুক্তি পেয়েছে। জনপ্রিয় বাংলা মিউজ়িক চ্যানেলের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা থেকে একেবারে নায়িকার ভূমিকায়। একান্ত সাক্ষাৎকারে আয়ুশী তালুকদার RBN-কে জানালেন তার অভিনয় জীবন শুরুর কথা।

কেমন আছ?

ভালো (হেসে)।

টেনশন?

না ঠিক তা নয়। এক্সাইটমেন্ট বলতে পারো। প্রথম ছবি তো, সেই জন্যই। যা হয় আর কি (হেসে)।

এখনও অবধি দর্শকের প্রতিক্রিয়া কি?

ভালো বলেছে সবাই। আমার অভিনয়ের প্রশংসাও করেছে।

যে জন থাকে মাঝখানে

অস্কার-এর অফারটা পেলে কিভাবে?

এই ছবির একজন সহপরিচালকের কাছে শুনেছিলাম যে পরিচালক (পার্থসারথি মান্না) এই চরিত্রটার জন্য নতুন মুখ খুঁজছেন। তারপর অডিশন দিই। সেখান থেকেই নির্বাচিত হই।

টেলিভিশনে তো আর ফিরছ না?

না। আমি গতবছর আগস্টেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। অভিনয়ই করতে চেয়েছিলাম সবসময়। ওটাই ফুলটাইম করব এখন থেকে। সত্যি কথা বলতে কি, আমি তো সেই অর্থে টেলিভিশন ইণ্ডাস্ট্রির লোক নই। তাই কোনও ধারাবাহিকে অভিনয় করার চিন্তাভাবনা ছিল না কোনওদিনই। জ়ি অরিজিনালস্‌-এর একটা ছবিতে অভিনয় করেছিলাম মাঝখানে।

তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে

অস্কার-এ তো অনেক পোড় খাওয়া অভিনেতার ভিড়। খরাজ মুখোপাধ্যায়, অপরাজিতা আঢ্য, প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়, সাহেব ভট্টাচার্য, এরা সবাই প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। প্রথম ছবিতেই এদের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার ভয় হয়নি?

ভয় যে একদম ছিল না, তা নয়। কিন্তু আমি সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি। তাছাড়া এত বড় মাপের অভিনেতাদের সাথে কাজ করে অনেক কিছু শিখতে পারব। সেটাই আমার মূল লক্ষ্য ছিল। অস্কার আমার কেরিয়ারের প্রথম ধাপ বলতে পারো।

কাজ করার সময় সাহায্য পেয়েছ এদের কাছে?

ভীষণ। আমার প্রথম শটই ছিল অপরাজিতাদির সাথে। আমি বেশ একটু ঘাবড়ে গেছিলাম ওঁর সামনে দাঁড়িয়ে। কিন্তু অপরাজিতাদি যে এত বড় স্টার সেটা উনি কখনও বুঝতে দেন না। ওই শটে দারুণ ভরসা দিয়েছিলেন আমাকে। অসম্ভব সাহায্য করেছেন বাকিরাও। খরাজদার কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখেছি। খব ভালো মানুষ এরা প্রত্যেকেই। এরকম মানুষজন ফ্লোরে থাকলে আমাদের মত নতুনদের কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যায়। গোটা ইউনিটটাই এক মুহূর্তের জন্যও বুঝতে দেয়নি যে এটা আমার প্রথম ছবি।

রক্তবরণ মুগ্ধকরণ

অস্কার তো পার্থরও প্রথম ছবি। কোনও অভিজ্ঞ পরিচালকের সাথে ডেবিউ করলে আরও ভালো হত না কি?

আমি সেরকম কখনও ভাবিনি জানো। পার্থদা ছবিতে আমার চরিত্রটা খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিল। ওর বেশ কয়েকটা শর্ট ফিল্মও দেখেছিলাম আমি। খুব ভালো লেগেছিল।

ইদানিং ওয়েব সিরিজ় ভীষণভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। বড় পর্দার ছবিও লোকে স্মার্টফোনে দেখছে। তোমার কি কখনও মনে হয় যে দর্শক ভবিষ্যতে ফোনেই সিনেমা দেখবে?

একদম তাই। বড় শহর তো বটেই, আজকাল ছোট শহরের দর্শকও স্মার্টফোনে সিনেমা দেখছে। সবাই মিলে যে একই ছবি দেখতে হবে তার কোনও মানে নেই। যার যেটা ইচ্ছে সে সেটাই দেখবে। মুম্বইয়ের অনেক বড় তারকাই ওয়েব ফিল্মে কাজ করছেন। বিভিন্ন রকমের গল্প নিয়ে এই ফরম্যাটে কাজ করা যায় যা প্রথাগত ফিল্ম বলতে যা বোঝায়, তাতে দেখান সম্ভব নয়। যত দিন যাবে বিনোদন আরও ব্যক্তিগত হয়ে যাবে বলেই আমার মনে হয়।

তাশি গাঁওয়ে একদিন

এই ছবির একটা দৃশ্যে তোমার উচ্চারণ নিয়ে বেশ মজা হয়েছে শুনলাম

আর বলো না (হেসে)। ওটা সাহেবই রাষ্ট্র করেছে। একটা দৃশ্য ছিল যেখানে আমি একজন ডাক্তারকে ডাকতে যাচ্ছি। টেক শুরু হল, আর আমি পুরো শহুরে উচ্চারণে, ডাক্তারবাবুবলার বদলে ডক্টরবাবু, ডক্টরবাবুবলে ডেকে উঠলাম। ইউনিটে সবাই হেসেই খুন। আমি বুঝতেই পারিনি ভুলটা কি করলাম। তারপরে বুঝলাম, গ্রাম্য উচ্চারণে ডাক্তারবাবু বলাটাই স্বাভাবিক, ডক্টরবাবু নয়। আবার শট দিলাম। এবার ঠিক উচ্চারণে।

আগামীদিনের কাজ?

মুম্বইতে কিছু কাজ করছি। তার পাশাপাশি এই ছবিটা করলাম। আরও কয়েকটা প্রজেক্ট নিয়ে কথাবার্তা চলছে। দেখা যাক, কি হয়।

ছবি: সৌরভ দত্ত

Amazon Obhijaan

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
1

Prabuddha

Foodie, lazy, bookworm, and internet junkie. All in that order. Loves to floor the accelerator. Mad about the Himalayas and its trekking trails. Forester in past life. An avid swimmer. Also an occasional writer and editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *