সেটেই দৃশ্য লিখতেন পরিচালক: মাধুরী
RBN Web Desk: নব্বই দশকের মাঝামাঝি অবধিও সেটে বসেই দৃশ্য লিখতেন পরিচালক। ছবির গল্পের ধারণা অন্য কারুর থাকত না। কেউ জানতও না কোন দৃশ্য কখন শ্যুট করা হবে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি একথা বললেন মাধুরী দীক্ষিত।
তিন দশকেরও বেশি সময়ের অভিনয় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মাধুরী দীক্ষিত বলেন, আমাদের সময়ে ছবির চুক্তিপত্র বলে কিছু ছিল না। মুখের কথার ভিত্তিতেই কাজ হতো। ছবির সাথে যুক্ত সব অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীরা এইভাবেই কাজ করতেন। ছবিটা শেষ অবধি কেমন দেখতে হবে, যাকে ফাইনাল কাট বলা হয়, তার ধারণা পরিচালকেরও থাকত না। এমনও হয়েছে শ্যুটিং শেষ হওয়ার পরেও ছবি বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে ছিল দীর্ঘদিন, কারণ সম্পাদকরা তখন অন্য কাজে ব্যস্ত, বললেন মাধুরী।
ভুল প্রশ্নেই অর্থলাভ?
আশি-নব্বই দশকের এই দাপুটে অভিনেত্রী বলেন, প্রকাশ ঝা-এর মৃ্তুদণ্ড ছবিতেই আমি প্রথম বাঁধাই করা চিত্রনাট্য পাই। ১৯৯৭ সালের এই ছবির পর থকেই আমি পরবর্তী প্রত্যেক ছবিতে বাঁধানো চিত্রনাট্যের ওপর জোর দিতাম। তাতে সবারই সুবিধা হতো। একটি ছবি শুরুর আগেই তার সাথে যুক্ত সবাই বুঝতে পারতেন তাদের করণীয় কি, আর তাতে কাজটাও ভালো হতো, বললেন মাধুরী।
পদ্মশ্রী অভিনেত্রী বলেন, এখন ফিল্ম ইণ্ডাস্ট্রি অনেক প্রফেশনাল। ছবি লেখাও আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প লেখার সাহস দেখাতে পারছেন চিত্রনাট্যকার, নির্দেশকরা। যেমন নারীকেন্দ্রিক ছবি তখনকার সময়ে ভাবাই যেত না। তাছাড়া পারিশ্রমিকও বেড়েছে অনেকটাই, বললেন তিনি।
হঠাৎ বরকর্তা হিসেবে হাজির উত্তমকুমার: মাধবী
অভিষেক ভর্মন-এর আগামী ছবি কলঙ্ক-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন মাধুরী। এই চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল শ্রীদেবীর, যার সাথে একসময় তার রেষারেষি নিয়ে কম নিউজ়প্রিন্ট খরচা হয়নি। কেমন সম্পর্ক ছিল দুই নায়িকার?
ঘনিষ্ট বন্ধু বলতে যা বোঝায় তা আমরা ছিলাম না, বললেন মাধুরী। আলাপ ছিল। এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে যাওয়ার সময় দেখা হতো, দাঁড়িয়ে কথাও হতো। অনেকেই এর সাক্ষী। এছাড়া অনেক অনুষ্ঠানে আমাদের হামেশাই দেখা হতো। কাজের জগতে একে অপরকে সম্মান করতাম। ওর অকস্মাৎ চলে যাওয়াটা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না, বললেন একসময়ের হার্টথ্রব নায়িকা।