ডেকেছিলেন সত্যজিৎ, কিন্তু কাজটা আর করা হয়ে ওঠেনি: অঞ্জন দত্ত
কলকাতা: নব্বইয়ের দশক। গোটা পৃথিবী জুড়েই সমাজতন্ত্রের সাজানো বাগান তখন ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বে কমিউনিজ়মের আদর্শে অনুপ্রাণিত মানুষ ক্রমশ বিশ্বাস হারাচ্ছেন তৎকালীন সমাজব্যবস্থার প্রতি।
সেই সময় এক মধ্য তিরিশের যুবক যে আজীবন তার বাবার শিক্ষায় সততাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছে, সে মেনে নিতে পারে না দুর্নীতির সর্বগ্রাসী থাবাকে। দাদা তাকে ব্যঙ্গ করতে ছাড়ে না, “তুই কি এখনও নিজেকে মার্ক্সিস্ট বলিস?” ভয়ঙ্কর দোলাচলে সেই মধ্য তিরিশ যুবকের আদর্শবোধ। “চায়নায় যা হল, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, জার্মানি, চেকোস্লোভাকিয়া…এখন আমি যে কিসে বিশ্বাস করি নিজেই জানি না,” বলে সে।
বিচ্ছেদের বছর পঁচিশ পর
১৯৯০ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘শাখা প্রশাখা’ ছবিতে, নিজের অর্জিত নীতিবোধ নিয়ে বিভ্রান্ত এই যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক।
কিন্তু এই চরিত্রটির জন্য সত্যজিৎ প্রথমে অঞ্জন দত্তর কথা ভেবেছিলেন।
পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অঞ্জন রেডিওবাংলানেট-কে বললেন, “উনি ডেকেছিলেন। প্রতাপের চরিত্রে কাজ করা নিয়ে কথাও হয়েছিল। খুব ইচ্ছে ছিল ওঁর ছবিতে অভিনয় করার। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য কাজটা আর করা হয়ে ওঠেনি।”
সংলাপ ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়, শট নেব: রত্না ঘোষাল
সত্যজিতের সঙ্গে অন্য এক সূত্রেও যোগাযোগ করেছিলেন অঞ্জন। “মাঝে মধ্যে ওঁর বাড়িতে যেতাম। একবার একটা ফেলুদার গল্পের টেলিভিশন স্বত্ব উনি আমাকে দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় প্রযোজক না পাওয়ায় কাজটা করা হয়নি আমার। ভীষণ শ্রদ্ধা করি ওঁকে। সন্দীপের সঙ্গেও আমার খুব ভালো সম্পর্ক,” জানালেন অঞ্জন।