কোর্টরুম ড্রামায় অনন্ত, গীতিকা
RBN Web Desk: বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কন্যাসন্তানকে ছোট থেকে নানা সাবধানতার মধ্যে বড় করতে হয়। প্রতিদিন চারদিকে ঘটে যাওয়া কন্যা শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা যেন তাঁদের সন্তানের সঙ্গেও না ঘটে, সেই নিয়ে সদা সতর্ক থাকেন অভিভাবকরা। কিন্তু যদি রক্ষকই ভক্ষক হয়ে ওঠে তখন? যদি সেই শিশুকন্যার আতঙ্কের সবথেকে বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায় তার নিজের বাবা? এই বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে পরিচালক সইফ হায়দার হাসানের পরবর্তী হিন্দি ছবি ‘ইয়েস পাপা’। অভিনয়ে রয়েছেন গীতিকা ত্যাগী, অনন্ত মহাদেবন, নন্দিতা পুরী, তেজস্বিনী কোলাপুরে, সঞ্জীব ত্যাগী ও দিব্যা শেঠ।
ছবির কাহিনী একটি মেয়েকে ঘিরে যে বহু বছর ধরে তার বাবার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে চলেছে। এই কোর্টরুম ড্রামায় আক্রান্ত মেয়েটির ভূমিকায় অভিনয় করছেন গীতিকা। তিনি জানালেন, “এই ভয়ঙ্কর ও পাশবিক ঘটনাগুলোকে ঘিরে সমাজে যে নৈঃশব্দ্য কাজ করে, তাকে ভেঙে বেরোনো জরুরি। সইফ তাঁর ছবিতে এটাই বোঝাতে চেয়েছে।”
আরও পড়ুন: নেপথ্যে গাইলেন জলি, স্টেজে দাঁড়িয়ে ঠোঁট মেলালেন রাহুল দেব বর্মণ
মেয়েটির বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত। “এ এমন এক সমস্যা যা সাধারণত ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা হয়। সেভাবে কোনও ছবির গল্পে এই বিষয়কে আমরা পাইনি, যেটা সইফ ‘ইয়েস পাপা’ নিয়ে ভেবেছে। ছবির চিত্রনাট্য সহমর্মিতার সঙ্গে এরকম একটা ভয়াবহ সমস্যাকে সামনে আনে ও তার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করে,” জানালেন অনন্ত।
আরও পড়ুন: অভিনয়টুকুই প্রাপ্তি
“ছোট থেকেই মেয়েদের শেখানো হয় বাড়ির বাইরে সাবধানে চলাফেরা করতে,” বললেন সইফ। “কিন্তু মেয়েটির বাবা, যার তাকে রক্ষা করার কথা, সে নিজেই যদি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়? প্রতি সপ্তাহে এরকম অনেক খবর আমরা কাগজে পড়ি, অথচ এই নিয়ে কেউ কোনও কথা বলি না। ‘ইয়েস পাপা’ সেই সমস্যার কথাই তুলে ধরবে।”
ছবিটির সৃজনশীল উপদেষ্টা রামকমল মুখোপাধ্যায় জানালেন, “‘ইয়েস পাপা’ এমন একটি ছবি যা আমাদের নাগরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে। এই ছবির অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।”
ছবিটি সম্পাদনা করেছেন অভিজিৎ দেশপান্ডে। আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন রত্নেশ ভগৎ।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এ বছরেই মুক্তি পাবে ‘ইয়েস পাপা’।