মৃণাল সেনের ইউনিটের হিরো হয়ে ওঠাই উদ্দেশ্য ছিল সুপ্রভাতের
RBN Web Desk: “স্যার বলেছিলেন এই লোকটা মৃণাল সেনের ইউনিটের হিরো। সেই হিরোই হতে চেয়েছিলাম আমি,” বললেন অভিনেতা সুপ্রভাত দাস (Suprabhat Das)। অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutt) পরিচালিত ‘চালচিত্র এখন‘ (Chalchitra Ekhon) ছবিতে তিনি রয়েছেন চিত্রগ্রাহক কেকে মহাজনের চরিত্রে। ‘ভূবন সোম’ (Bhuvan Shome), ‘কলকাতা ৭১’ (Calcutta 71) থেকে শুরু করে মৃণাল সেনের একাধিক ছবির চিত্রগ্রাহক ছিলেন চারবারের জাতীয় পুরস্কার জয়ী কেকে।
মৃণাল ও অঞ্জনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঘিরে তৈরি ‘চালচিত্র এখন’-এ উঠে এসেছে সেই সময় ইউনিটের মানুষদের গল্পও। সেই ইউনিটের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন পঞ্জাব থেকে আসা এই চিত্রগ্রাহক। বাসু চট্টোপাধ্যায়, কুমার সাহনি ও রমেশ সিপ্পির ছবিতেও কাজ করেছেন কেকে।
আরও পড়ুন: হাতাহাতির গল্প শোনালেন অপরাজিতা
কেকে মহাজনের পুরোনো ভিডিয়ো ফুটেজগুলোই কি একমাত্র রেফারেন্স ছিল অভিনয়ের জন্য?
“ভিডিয়ো আমি যা দেখছি সবই ছিল ওঁর অনেকটা বেশি বয়সের,” বললেন সুপ্রভাত। “কাজেই সেখান থেকে খুব যে কিছু পাওয়ার ছিল তেমন নয় কারণ আমাকে তো কমবয়সের মহাজন হয়ে উঠতে হবে। তবে অসুবিধা হয়নি কারণ স্যার (অঞ্জন) সব ছবির আগেই চরিত্রটা নিয়ে একটা আলাদা ভোকাল টনিক দেন। এই ছবির সময় উনি বলেছিলেন, একটা জিনিস বুঝে নে, এই লোকটা ছিল প্রচণ্ড মেজাজি এবং রেলাবাজ। মৃণাল সেনের সেটে বসে সারাদিন বিয়ার খেত, সিগারেট টানত। ৩৬-৩৭ বছরের একটা লোক সে মৃণালবাবুর মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সারাক্ষণ তাঁর উল্টো কথা বলছে। দশটা কথা বললে একটার জবাব দিচ্ছে। আমার মাথায় ওটাই ঢুকে গেছিল যে ওই মেজাজি হিরোর মতো মানুষ হয়ে উঠতে হবে। তারপর আর খুব একটা অসুবিধা হয়নি।”
আরও পড়ুন: আবারও কানে ‘মন্থন’
মহাজনের মতো দাপুটে চরিত্র হয়ে উঠতে সমস্যা হয়নি সুপ্রভাতের, বরং আনন্দেই ছিলেন তিনি। “ছোটবেলা থেকে মৃণাল সেন, সত্যজিৎ রায়ের নাম শুনে আসছি। সে যুগে তো আর জন্মাইনি যে এদের ছবিতে সুযোগ পাব। এখন যখন অভিনেতা হয়েছি আর এই সব লেজেন্ডদের নিয়ে ছবি হচ্ছে তখন একটা সুপ্ত ইচ্ছে ছিলই যদি সে যুগের আইকনিক কোনও চরিত্র করতে পারতাম। স্যার বলেছিলেন এই চরিত্রে আমাকেই উনি ভেবে রেখেছিলেন। এর চেয়ে বেশি আনন্দ আর কীই বা হতে পারে! কোনও চরিত্রকে ছোট না করেই বলছি, মহাজনের ভূমিকায় অভিনয় করে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি,” বললেন সুপ্রভাত।