নিঃস্ব জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার, অর্থ সংগ্রহে শুভানুধ্যায়ীরা
RBN Web Desk: তাঁর সুরে গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলের মতো শিল্পীরা। শ্যাম বেনেগলের একাধিক ছবির—‘অঙ্কুর’, ‘মন্থন’, ‘জুনুন’, ‘মান্ডি’, ‘ত্রিকাল’, ‘ভূমিকা’—সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন তিনি। গোবিন্দ নিহালনির ছবি ‘তামস’-এর জন্য ১৯৮৮ সালে পেয়েছেন চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ সুরকারের জাতীয় পুরস্কার। বিশিষ্ট সেই সুরকার বনরাজ ভাটিয়া আজ নিঃস্ব, কপর্দকশূন্য।
সংবাদমাধ্যমকে বনরাজ জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একটি টাকাও আর পড়ে নেই। সবই খরচ হয়ে গেছে। ঘরের আসবাবপত্র ও দামী ক্রকারি বিক্রী করতে বাধ্য হয়েছেন ২০১২ সালে পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত এই সুরকার। হাঁটুর ব্যথা, ক্রমশ দুর্বল হতে থাকা শ্রবণ ক্ষমতা ও স্মৃতিভ্রমে আক্রান্ত বনরাজের এখন সঙ্গী বলতে শুধু একজন পরিচারক।
আরও পড়ুন: রণদীপের থ্রিলারে যশপাল, সুব্রত
শ্যাম বেনেগলের ছবি ছাড়াও অপর্ণা সেনের ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন’, শশী কাপুরের ‘অজুবা’ ও কুন্দন শাহর ‘জানে ভি দে ইয়াঁরো’র সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বনরাজ। ১৯৮৯ সালে পেয়েছেন সঙ্গীত নাটক আকাদেমী পুরস্কারও। দূরদর্শনের একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে—‘ওয়াগলে কি দুনিয়া’, ‘যাত্রা’, ‘ভারত এক খোঁজ’, ‘খানদান’—সুরসৃষ্টির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
নবতিপর এই সুরকারের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহে নেমেছেন তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা।