উজ্জ্বয়িনী, মনোময়, রূপঙ্করের ইউএমআর
কলকাতা: একক শিল্পী হিসেবে তাঁরা প্রত্যেকেই জনপ্রিয়। এবার তাঁরাই গলা মেলাবেন একসঙ্গে। নতুন ব্যান্ড তৈরি করতে হাত মেলালেন উজ্জ্বয়িনী মুখোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্য ও রূপঙ্কর বাগচী। তিনজনের নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে ব্যান্ডের নাম রাখা হয়েছে ইউএমআর। গতকাল শহরের এক ক্যাফেতে মুক্তি পেল ব্যান্ডটির প্রথম মিউজ়িক ভিডিও ‘যব বর্সে সোনা’। এরই মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করল ইউএমআর। এই উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন উজ্জ্বয়িনী, মনোময় ও রূপঙ্কর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী ঊষা উত্থুপ ও সুরকার জয় সরকার।
তিন শিল্পীর একসঙ্গে আসা নিয়ে রূপঙ্কর রেডিওবাংলানেট-কে বললেন, ”যে কোনও শিল্পে বা আর্ট ফর্মে এই কোলাবরেশন বা সমন্বয় দরকার। আমি আগেও এরকম কাজের কথা ভেবেছি, করেওছি কয়েকটা। তবে সেগুলো টেকেনি। ইউএমআর হয়তো থেকে যাবে। আপনারা সবাই পাশে থাকুন।”
আরও পড়ুন: বছরের শেষে দুই ফেলুদা?
গান গাওয়ার পাশাপাশি ‘যব বর্সে সোনা’র মিউজ়িক ভিডিওতে অভিনয়ও করেছেন রূপঙ্কর, মনোময় ও উজ্জ্বয়িনী। শ্যুটিং হয়েছে কলকাতারই এক বাগানবাড়িতে। গানটির কথা লিখেছেন উজ্জ্বয়িনী। ইউএমআর-এর সব গানই হবে হিন্দিতে। নতুন ছাড়াও পুরোনো গান গাইবেন তাঁরা।
বাংলা গানের জগতে ব্যান্ডের পরম্পরা বহুদিনের। তবে বহু জনপ্রিয় ব্যান্ডের সদস্যরাই দলের পাশাপাশি এককভাবে গান গাইছেন, শো করছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে তিন শিল্পী হঠাৎ ব্যান্ড গড়ার কথা ভাবলেন কেন?
আরও পড়ুন: অলৌকিক, না বিক্রমের অতীত?
”শিল্পীদের আমৃত্যু চ্যালেঞ্জ নিতে হয়,” বললেন মনোময়। “ইউএমআর-ও একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা এতদিন বাংলা গান গেয়েছি, এবার হিন্দিতেও গাইব। রূপঙ্কর এই ভাবনার রূপকার, ওর এক কথাতেই আমরা রাজি হয়ে যাই। তবে আজকাল সহজেই অনেক কিছু ভাইরাল হয়। এটুকু বলতে পারি, ওরকম সস্তা গান ইউএমআর গাইবে না।”
উজ্জ্বয়িনী বললেন, ”লকডাউন শিল্পীদের জীবন স্তব্ধ করে দিয়েছিল। সেই দুর্দিনে সবরকমের ভাষা নিয়ে কাজ করতে চাওয়ার ইচ্ছেটা তৈরি হয়। সেই ভাবনাটা আমি আর রূপঙ্করদা মিলে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করেছি মাত্র। হিন্দি গান গাওয়া আমাদের কারও কাছেই নতুন কোনও বিষয় নয়। মনোময়দাকে সঙ্গে পেয়ে দলটা সম্পূর্ণ হলো। জীবনে এই প্রথম এরকম কোনও কাজ করলাম। ভালো সুর মানুষ নিশ্চয়ই ভালোবাসবেন। আমি আশাবাদী।”
১৫ মে শহরে ইউএমআর–এর প্রথম কনসার্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।