ভিন্ন লুকে টোটা, জুটিতে ঋতুপর্ণা
RBN Web Desk: মহাবিশ্বকে জানতে হলে আগে মানুষকে বুঝতে হবে। কারণ মহাবিশ্বেরই নিয়ম খেলা করছে এই মানবশরীরে। তবে একটা বিষয়ে মহাবিশ্বের থেকে প্রাণীকূল আলাদা। মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে তার কেন্দ্র। অন্যদিকে শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে মাথা, যার অবস্থান দেহের একপ্রান্তে।
মাথারই এক জটিল রোগে আক্রান্ত ঝুমকি। পরনির্ভরশীল জীবনে হুইলচেয়ারই তার ভরসা। ঝুমকির স্বামী রাহুল একজন শিল্পী। স্ত্রীর চিকিৎসায় সে কোনও খামতি রাখে না।
এদিকে অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদের মতো চিকিৎসাশাস্ত্রের কিছু উপাদানের সঙ্গে মিউজ়িক থেরাপিকে একত্রিত করে নতুন এক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারে মত্ত বিজ্ঞানী শিবশঙ্কর, সেরিব্রাল অ্যাট্রোফিতে আক্রান্ত ঝুমকির চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়।
আরও পড়ুন: সিনেমা থাকছেই, মত সব প্রজন্মের
শিবশঙ্করের মেয়ে বর্ণালী পেশায় ভাস্করশিল্পী। দুই শিল্পীর শিল্পসত্তা এবং সেখান থেকে তাঁদের নিজেদের মতো করে খুঁজে নেওয়া জীবনের সংজ্ঞা, সম্পর্কের নানান জটিলতা নিয়ে পরিচালক রাজু দেবনাথ তৈরি করেছেন তাঁর প্রথম ছবি ‘বিউটিফুল লাইফ’। মূল চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও টোটা রায়চৌধুরী। এই ছবিতে টোটাকে একেবারে ভিন্ন লুকে দেখা যাবে। এছাড়া দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন পরাণ বন্দোপাধ্যায় ও শ্রীলা মজুমদার।
“রাজু নিজেও একজন চিত্রকর। এই ছবিটা করার সবথেকে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে চোখের সামনে এরকম একজন চিত্রকরকে দেখা,” বললেন টোটা। “ছবিতে আমার চরিত্রটাও একজন শিল্পীর। তাই সবকিছু খুব সামনে থেকে দেখতে পেলাম। অনেককিছু শিখতে পারলাম। অনেক নতুন ধরণের অভিজ্ঞতা হলো যা আগে হয়নি।”
এই ছবি দিয়েই রাজুর পরিচালক হিসেবে হাতেখড়ি হচ্ছে।
“এমন অনেক পরিচালক আছেন যাঁদের ছবি সম্পর্কে ধারণাটা খুব স্পষ্ট নয়। তারা নিজেরাই জানেন না আমাদের থেকে ঠিক কী চাইছেন। রাজু একেবারে বিপরীত মেরুতে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি যাতে কাজটা পরিচালকের মনের মতো হয়। বাকিটা দর্শক বলবেন,” বললেন টোটা।
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার আগে, সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হলো ১০৮ মিনিটের ছবি ‘বিউটিফুল লাইফ’।