১০০ দিনে ₹৬ কোটি, অতিমারীর মাঝেই নজির ‘টনিক’-এর
কলকাতা: বক্স অফিসে ১০০ দিন অতিক্রম করল ‘টনিক’। গতকাল এ উপলক্ষে দক্ষিণ কলকাতার এক প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত হয়েছিল টিম ‘টনিক’। ছিলেন পরিচালক অভিজিৎ সেন, উপস্থাপক অতনু রায়চৌধুরী, দেব, পরান বন্দোপাধ্যায়, শকুন্তলা বড়ুয়া ও আরও অনেকে। ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী, মনোময় ভট্টাচার্য, সিদ্ধার্থ (সিধু) রায় ও নীলাঞ্জন ঘোষ। কেক কেটে ‘টনিক’-এর ১০০ দিনের যাত্রা উদযাপন করলেন তাঁরা।
গত বছর বড়দিনে মুক্তি পেয়েছিল ‘টনিক’। অতিমারীর মাঝেই ঝুঁকি নিয়ে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে নিয়ে এসেছিলেন অতনু ও অভিজিৎ। সেই সময় করোনা অতিমারীর তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা ছিল পুরোমাত্রায়। মানুষ কতটা হলমুখী হবেন, তাই নিয়ে সন্দেহ ছিল। তা সত্ত্বেও বহু প্রেক্ষাগৃহে হাউজ়ফুল হয়েছে টনিক।
আরও পড়ুন: নব্বইয়ের ‘সত্যান্বেষী’, বাদ পড়লেন ব্যোমকেশ
স্বাভাবিক কারণেই আপ্লুত অতনু। রেডিওবাংলানেট–কে জানালেন, ”‘টনিক’-এর সেঞ্চুরি অভাবনীয়। ইতিমধ্যে ওটিটি রিলিজ়ও হয়ে গেছে। তবু প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখতে দর্শক আসছেন। এখনও পর্যন্ত এই ছবির বক্স অফিস আয় ₹৬ কোটির কাছাকাছি। আমার পরবর্তী ছবিতেও দেব রয়েছে। শুটিং শীঘ্রই শুরু হবে।”
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে এই ছবি ঘোষণা করেছিলেন অভিজিৎ। সে বছর মে মাসে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। করোনার প্রকোপে তখন মানুষের জীবন বিপর্যস্ত, প্রেক্ষাগৃহও সব বন্ধ ছিল।
করোনার দাপট কমার পরেও মানুষ ছবি দেখতে হলে আসবেন কিনা, তাই নিয়ে অভিজিতের সংশয় ছিল। “সেই সংশয় দূর করে দর্শক যে ‘টনিক’ দেখতে এসেছেন, ১০০ দিন ধরে ছবিটা চলছে, এটা সত্যিই আমাদের কাছে স্বপ্নপূরণ। অতনুদা বরাবর পারিবারিক ছবির কথা বলেন। প্রায় এক বছর ধরে প্ল্যান করে ছবিটা তৈরি হয়েছে।”
ছবির অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরান। কেক কাটতে-কাটতে এই ছবির সংলাপ ”নো প্যানিক ওনলি টনিক” বললেন তিনি। ”অনেকদিন পরে বাংলা ছবি এমন সাফল্য অর্জন করল। মনে হচ্ছে ওভারের লাস্ট বলে ছয় মেরে সেঞ্চুরি হয়েছে,” বললেন তিনি। একইরকম আনন্দিত শকুন্তলা।
আরও পড়ুন: নেপথ্যে গাইলেন জলি, স্টেজে দাঁড়িয়ে ঠোঁট মেলালেন রাহুল দেব বর্মণ
”এটা শুধু ‘টনিক’ নয়, বাংলা সিনেমার সেঞ্চুরি, বাংলা সিনেমা ভালোবাসেন এরকম অগণিত দর্শকের সেঞ্চুরি। ‘টনিক’ মূলত ইচ্ছেপূরণের গল্প। আর সেই গল্প আমজনতা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন,” বললেন দেব।
এই ছবির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী, সুজন নীল মুখোপাধ্যায়, কনিনীকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিস্থিতির ভয় কাটিয়ে মানুষ বাইরে বেরোচ্ছেন, হলে গিয়ে বাংলা ছবি দেখছেন, এর থেকে আনন্দের আর কীই বা হতে পারে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ‘টনিক’ একটা মাইলস্টোন বলে মনে করেন দেব।
ছবি: অঙ্গনা ঘোষ