প্যাক আপ বলার পরেও তাপসী অনুশীলন করতো: সৃজিত
কলকাতা: একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৩২টি ম্যাচে তাঁর রান সংগ্রহ ৭,৮০৫। এছাড়াও খেলেছেন ১২টি টেস্ট ও ৮৯টি টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। প্রতিটি ফরম্যাটেই তাঁর ব্যাটিং গড় ইর্ষণীয়। ২০০৫-এ তাঁর নেতৃত্বে একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল ভারত। একাধিক রেকর্ড তাঁর ঝুলিতে। সেই মিতালি রাজের জীবনী অবলম্বনে ‘শাবাশ মিঠু’ তৈরি করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। নামভূমিকায় রয়েছেন তাপসী পন্নু। আজ ইডেন গার্ডেন্সে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা।
ছবিতে কতটা মিতালি হয়ে উঠতে পারলেন তাপসী?
“ভোর ছ’টার সময় প্যাড পরে নেটে চলে যেত তাপসী,” জানালেন সৃজিত। “আমিও প্যাড পরে নামতাম ওর সঙ্গে। রাজ্য স্তরের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ও অনুশীলন করতো। তাঁরা তাঁদের স্বাভাবিক গতি ও বাউন্স বজায় রেখেই বল করতো। দিনের পর দিন এভাবেই ও অনুশীলন করেছে। তারপর একদিন যখন নিখুঁত কভার ড্রাইভ মারল, বুঝলাম ও তৈরি।”
তাপসী বললেন, “২০১৯-এ মিতালি যখন বিশ্বকাপের ক্যাম্পে ব্যস্ত ছিল, আমি তখন ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটানোর চেষ্টা করছিলাম। আমাদের হাতে প্রস্তুতির জন্য দু’ মাস মতো সময় ছিল। তবে কোভিডের কারণে সেটা প্রায় ছ’ মাসে গিয়ে দাঁড়ায়। তাই চরিত্রটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা এবং ক্রিকেট অনুশীলনের জন্য অনেকটা সময় পেয়েছিলাম। সৃজিত স্যারকে বলেছিলাম, আপনার সামনে মনিটর আছে, হাতে মাইক রয়েছে। যতক্ষণ না আপনি সন্তুষ্ট হবেন, শট ওকে বলবেন না।”
আরও পড়ুন: নেপথ্যে গাইলেন জলি, স্টেজে দাঁড়িয়ে ঠোঁট মেলালেন রাহুল দেব বর্মণ
অবসর গ্রহণের পর এই প্রথম শহরে পা রাখলেন মিতালি।
“তাপসীকে বলেছিলাম, শুধু খেললে হবে না, খেলাটাকে ভালোবাসতে হবে। অনেকদিন প্যাক আপ বলার পরেও ও অনুশীলন করে যেত,” বললেন সৃজিত।
দীর্ঘ ২৬ বছর পর কমনওয়েলথ গেমসে ফিরছে ক্রিকেট। ২৮ জুলাই থেকে বার্মিংহ্যামে বসছে এবারের আসর। ক্রিকেটের ফের অন্তর্ভুক্তি খুবই ভালো বিষয় বলে মনে করেন মিতালি। “হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে ভারত ভালো খেলছে। কমনওয়েলথ ক্রিকেটে ভারতের পদক জেতার ব্যাপারে আমি আশাবাদী,” বললেন তিনি।
ছবির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিজয় রাজ ও মুমতাজ সরকার।
১৫ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে ‘শাবাশ মিঠু’।
ছবি: গার্গী মজুমদার