সৌমিত্রদা ও স্বাতীলেখাদির রেকর্ড ভাঙা কঠিন হবে: শিবপ্রসাদ
কলকাতা: এখনও পর্যন্ত ছ’ লাখেরও বেশি মানুষ ‘বেলাশুরু’ দেখেছেন বলে জানালেন পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। গতকাল বক্স অফিসে ৫০ দিন পূর্ণ করল তাঁর ও নন্দিতা রায় পরিচালিত ছবিটি। এই উপলক্ষে দক্ষিণ কলকাতার এক প্রেক্ষাগৃহে কেক কাটলেন পরিচালকদ্বয় এবং ছবির সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীরা। প্রায় পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে তখন এই ছবিই দেখানো হচ্ছে।
২০ মে মুক্তি পায় ‘বেলাশুরু’। এই ছবিতেই শেষবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন শঙ্কর চক্রবর্তী, ইন্দ্রানী দত্ত, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সুজয়প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অপরাজিতা আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, মনামী ঘোষ ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: নেপথ্যে গাইলেন জলি, স্টেজে দাঁড়িয়ে ঠোঁট মেলালেন রাহুল দেব বর্মণ
তাঁদের ছবি আবার ৫০ দিন পূর্ণ করায় উচ্ছ্বসিত নন্দিতা-শিবপ্ৰসাদ। “প্রায় দু’বছর পর আমাদের ছবি বড়পর্দায় মুক্তি পেল। আমরা ভাবিনি এই কোভিড পরবর্তী সময়েও দর্শকরা এভাবে হলে এসে ছবিটা দেখবেন। প্রায় সাড়ে ছ’ লক্ষ মানুষ প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবিটি দেখেছেন। এরকম রেকর্ড বাংলা ছবির ক্ষেত্রে বিরল। বড়পর্দায় সৌমিত্র-স্বাতীলেখা ম্যাজিকটা দর্শকরা মিস করতে চাননি। সৌমিত্রদা ও স্বাতীলেখাদির এই রেকর্ডটা ভাঙা কঠিন হবে,” বললেন শিবপ্রসাদ।
এর আগে, ২০১৯ সালে নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ‘কণ্ঠ’ ও ‘গোত্র’ ১০০ দিনের ওপর চলেছিল প্রেক্ষাগৃহে। এদিকে এখনও ১৯টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে ‘বেলাশুরু’।
বক্স অফিসে ৫০ দিন উদযাপনে টিম ‘বেলাশুরু’
২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বেলাশেষে’ ছবির সিক্যুয়েল ‘বেলাশুরু’। ছবির পাশাপাশি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে এর গান। উপালী চট্টোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী এবং অনন্যা ভট্টাচার্যের গাওয়া ‘টাপা টিনি’ গানটি বিপুল সংখ্যক মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছে।
“শিবুদা, নন্দিতাদি জানে কোন গানের ক্ষমতা কতটা। ফলে সব ছবিতেই তাঁরা এমন কিছু গান ব্যবহার করেন যেগুলো ছবিকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে,” বললেন ইমন।
আরও পড়ুন: নব্বইয়ের ‘সত্যান্বেষী’, বাদ পড়লেন ব্যোমকেশ
‘বেলাশুরু’তে বাড়ির ছোটজামাই পলাশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনিন্দ্য। তাঁর কথায়, “আমার মতো ট্যাটুওয়ালা ভীষণ শহুরে কিন্তু খুব ভালো বাংলা বলতে পারে এমন একটা ছেলেকে যে পলাশ চরিত্রটা দেওয়া যেতে পারে, সেটা ভাবার জন্য আমি পরিচালকদ্বয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আশা করি দর্শকদের ভালোবাসায় এই ছবি আরও অনেকদিন প্রেক্ষাগৃহে থাকবে।”
যাদবপুর থেকে ‘বেলাশুরু’ দেখতে এসেছিলেন তমালী দে ও সৌরীন্দ্র বসাক। “ছবিটির গল্প ভীষণ প্রাসঙ্গিক ও আজ থেকে পাঁচ বছর পরেও তাই থাকবে। শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষদের নয়, আমাদের মত নবীন প্রজন্মের দর্শকদেরও খুব ভালো লেগেছে। আর তার সঙ্গে সৌমিত্র ও স্বাতীলেখার অভিনয় তো আছেই। তাই এই ছবি হলে এসে দেখতেই হতো,” বললেন তাঁরা।
ছবি: গার্গী মজুমদার