বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন মহারাজ
লন্ডন: তাঁর আগে দুই, পরে তিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে ২০ জুন ১৯৯৬-এর আগে টেস্ট অভিষেকে শতরানের বিরল কৃতিত্ব মাত্র দুজনের। দুজনেই ইংল্যান্ডের। ১৮৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হ্যারি গ্রাহাম, আর ১৯৬৯-তে ওয়েস্ট ইণ্ডিজ়ের বিরুদ্ধে জন হ্যাম্পশায়ার। মাঝের ২৭ বছর এই কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি আর কেউই। ৯০ রানের কোঠায় এসে ফিরে গেছেন অনেকেই।

তাই ক্রিকেট সৃষ্টির দেশে তাঁর জীবনী ‘এ সেঞ্চুরি ইজ় নট এনাফ’ এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশের স্থান হিসেবে ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী যে লর্ডসের ঐতিহাসিক লং রুম-ই বেছে নেবেন, তা আর আশ্চর্যের কি। ৯ জুলাই এই ঘটনার সাক্ষী থাকল নির্বাচিত ১৫০ জন দর্শক।কলকাতা বইমেলা ২০১৮-তে প্রথম প্রকাশের পর, এই বই ইতিমধ্যেই বেস্টসেলার।
মেঘ ছেঁড়া আলোর পথে এক বন্ধুত্বের সফর
মঞ্চে তখন চাঁদের হাট। মহারাজের পাশে তিন প্রাক্তন আন্তর্জাতিক অধিনায়ক—ইংল্যান্ডের মাইক গ্যাটিং ও মাইক অর্থারটন এবং শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গাকারা—সঙ্গে বিশিষ্ট লেখক ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ জেফরি আর্চার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে।
আলাপচারিতায় উঠে এলো বিশ্ব ক্রিকেটের নানান প্রসঙ্গ। বর্তমান সময়ে টেস্ট ক্রিকেটের প্রাসঙ্গিকতা, টি-টোয়েন্টি-এর অবস্থান, নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ, বাদ গেল না কিছুই। খেলোয়াড় জীবন ও পরে প্রশাসকের ভূমিকায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন মহারাজ।

শেষে সৌরভকে নিয়ে একটি শর্ট ফিল্ম প্রদর্শিত হলো। ঠিক আগের দিনই জন্মদিন থাকার সুবাদে একটি কেকও কাটলেন মহারাজ।
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
লর্ডসের মাঠে শার্ট ওড়ানোর স্মৃতি উস্কে দিয়ে এখানে বই প্রকাশের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিলেন কলকাতারই এক বঙ্গসন্তান। তিনি শতদ্রু দত্ত, যাঁর হাত ধরে গতবছর কলকাতাবাসী পেয়েছিল কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনাকে। সহায়তায় লন্ডন শারদ উৎসব। অনুষ্ঠানের প্রধান প্রযোজক ধুলাইওয়ালা গ্রুপ। ছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম বাংলা ইন্টারনেট রেডিও স্টেশনের কর্ণধার সুরজয় ভৌমিকও।
রক্তবরণ মুগ্ধকরণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার জয়যাত্রা শুরু লর্ডসে। সেই মাঠেই দুই দশক পরে সৌরভ ফিরলেন ছাপা অক্ষরে তাঁর অভিজ্ঞতা শোনাতে। একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন মহারাজ।
ছবি: গৌতম মুখার্জি