অভিনব প্রদর্শনীতে ফিরল সৌমিত্র-স্বাতীলেখার স্মৃতি
RBN Web Desk: ১৯৮৪ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’র একত্রিশ বছর পর ২০১৫-তে ‘বেলাশেষে’ ছবিতে ফের জুটি বাঁধেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। সেই রেশ রেখে ছবির বিশ্বনাথ ও আরতিকে আবারও পাওয়া গেল সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘বেলাশুরু’তে। কালের নিয়মে দুই অভিনেতার কেউই আজ বেঁচে নেই। গত দু’বছরে তাঁদের প্রয়াণ ভেঙে দিয়েছে এই জুটিকে। দুই অভিনেতার ব্যবহৃত ও অভিনীত চরিত্রের নানা স্মরণীয় জিনিস নিয়ে সম্প্রতি নবীনা প্রেক্ষাগৃহে হয়ে গেল দু’দিন ব্যাপী এক অভিনব প্রদর্শনী।
আরও পড়ুন: নব্বইয়ের ‘সত্যান্বেষী’, বাদ পড়লেন ব্যোমকেশ
১ জুন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রবীণ অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন ‘বেলাশেষে’ ও ‘বেলাশুরু’র পরিচালক নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ছিলেন পৌলমী বসু, সোহিনী সেনগুপ্ত ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
প্রদর্শনীতে ‘বেলাশুরু’ ছবিতে সৌমিত্র ও স্বাতীলেখার ব্যবহৃত পোষাক ছাড়াও ছিল সৌমিত্রর টাইপরাইটার, তাঁর অভিনীত ‘হোমাপাখি’ ও ‘রাজা লিয়র’ নাটকের স্ক্রিপ্ট, বিদেশ থেকে সংগৃহীত নানা ডিজ়াইনের পাইপ, একজোড়া চশমা, ডায়েরির পাতা, কন্যা পৌলমীকে লেখা চিঠি ও আরও নানা জিনিস। স্বাতীলেখার ‘নাচনি’ নাটকের পোশাক ছাড়াও ছিল তাঁর সবসময়ের প্রিয় সঙ্গী বেহালাটি। এছাড়াও ছিল তাঁকে লেখা অমিতাভ বচ্চনের চিঠি।
‘বেলাশুর’ মুক্তির আগেই ছবির নায়ক-নায়িকার মৃত্যু হয়। ছবির জগতে এরকম ঘটনা বিরলতম বলাই যায়। নন্দিতা জানালেন, “দুই প্রবীণ অভিনেতার শেষ কাজ হিসেবে এই ছবির তরফ থেকে আমরা এই শ্রদ্ধাঞ্জলি দেব বলে মনস্থ করি। তবে পৌলমী ও সোহিনীর সাহায্য ছাড়া এই প্রদর্শনী সম্ভব হতো না।”
প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল সৌমিত্র চ্যাটার্জী ফাউন্ডেশন ও নান্দীকার।
প্রদর্শনীর ছবি: স্বাতী চট্টোপাধ্যায়