আর্টিস্টস ফোরামের সৌমিত্র স্মরণ
RBN Web Desk: ‘মোর লাগি করিও না শোক/ আমার রয়েছে কর্ম, আমার রয়েছে বিশ্বলোক/মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই/শূন্যেরে করিব পূর্ণ, এ ব্রত বহিব সদাই…’ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রিয় একখানি কবিতা এক নিশ্বাসে বলে যাচ্ছিলেন কন্যা পৌলমী বসু। সম্প্রতি কলকাতার টেকনিশিয়ন্স স্টুডিওতে সদ্যপ্রয়াত সভাপতি এবং প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা, নাট্যকার, নাট্য নির্দেশক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করল ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার আর্টিস্টস ফোরাম।
সৌমিত্রর কাজ, জীবনকে উদযাপন করতে এসে স্মৃতিচারণায় পৌলমী বললেন, “আমরা ছাড়াও বাপির একটা পরিবার ছিল। আমরা সেটা মেনেও নিয়েছিলাম। বুম্বাদা (প্রসেনজিত), অরিন্দমদা (গঙ্গোপাধ্যায়) এদের কোনওদিন আমার দাদার থেকে আলাদা কিছু মনে হয়নি। কাজ ছাড়া বাপি থাকতে পারত না। হাসপাতালে যাওয়ার দিনও আমাদের কাছে কাগজ, কলম চেয়েছিল।”
আরও পড়ুন: যন্তর মন্তর কক্ষের নেপথ্যে
আর্টিস্টস ফোরামের ‘মায়ানগরের ময়ূরবাহন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন জগতের বহু বিশিষ্ট মানুষ। ছিলেন আর্টিস্টস ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন দুই সহসভাপতি পরাণ বন্দোপাধ্যায় এবং জিৎ। প্রবীণদের মধ্যে দেখা গেল দুলাল লাহিড়ী, অনামিকা সাহাদের। গানে-গানে শ্রদ্ধা জানালেন শ্রীকান্ত আচার্য, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, নীল সুজন মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন কৌশিক সেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন জুন মালিয়া এবং ঋতা দত্ত চক্রবর্তী।
অভিনয় ধ্যানজ্ঞান হলেও সমাজের সর্বত্র ছিল ‘ময়ূরবাহন’-এর অবাধ বিচরণ। ছোটবড় সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ছিল তাঁর সখ্যতা। চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, থিয়েটার জগত ছাড়াও সৌমিত্র স্মরণে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহু বিশিষ্ট মানুষ।