পরিণত বয়সের ফেলুদা লিখবে কে, প্রশ্ন সৌমিত্রর
কলকাতা: অপু, ক্ষিদ্দা, ময়ূরবাহন বা ‘আতঙ্ক’র সেই মাস্টারমশাই। দীর্ঘ ছয় দশকরেও বেশি অভিনয় জীবনে তাঁর অভিনীত স্মরণীয় চরিত্রের সংখ্যা একাধিক। তবু আজও ফেলুদারূপী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কেই বোধহয় সবথেকে বেশি মনে রেখেছে বাঙালি দর্শক। চুরাশি পেরিয়েও যাঁর মধ্যে ফেলুদাসুলভ হাঁটাচলা এখনও প্রকট।
১৯৭৯ সালে ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এর পর বড় পর্দায় ফেলুদার ভূমিকায় আর দেখা যায়নি সৌমিত্রকে। তাঁর পরে সব্যসাচী চক্রবর্তী ও আবির চট্টোপাধ্যায় সেই চরিত্রে অভিনয় করলেও, সিংহভাগ দর্শক এখনও ফেলুদা হিসেবে সৌমিত্রকেই বোঝে।
পরিণত বয়সের ফেলুদা কি তাহলে পর্দায় আসতে পারে না? হয়তো তিনি হবেন অবসরপ্রাপ্ত একজন দুঁদে গোয়েন্দা যাঁর কাছে অন্যরা কোনও তদন্ত সম্পর্কে পরামর্শ নিতে আসছেন?
আরও পড়ুন: ঋত্বিক, মৃণাল, সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি সংরক্ষণের দাবি তুলল চলচ্চিত্র সংগঠন
“অসম্ভব নয়,” সম্প্রতি শহরে পরিচালক অনীক দত্তর বাড়িতে এক ঘরোয়া আড্ডায় রেডিওবাংলানেট-কে বললেন সৌমিত্র। “এরকমভাবে চরিত্রটাকে ভাবা যেতেই পারে। কিন্তু পরিণত বয়সের ফেলুদাকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরতে হলে তো সবার আগে সেই মাপের লেখক দরকার। সেরকম তো কেউ নেই।”
এই বয়সেও বাংলা চলচ্চিত্র ও মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সৌমিত্র। অনীকের পরবর্তী ছবি ‘বরুণবাবুর বন্ধু’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
ছবি: গার্গী মজুমদার