‘তনুশ্রী ম্যাডামকে চড় মারতে বেশ খারাপ লেগেছিল’
বাঙালি দর্শক সাম্প্রতিককালে তাঁকে বিশিষ্ট শিল্প নির্দেশক বংশী চন্দ্রগুপ্তের ভূমিকায় দেখেছেন ‘অপরাজিত’ ছবিতে। অন্যদিকে সারা দেশের মানুষ ‘স্টেট অফ সিজ়’ সিরিজ়ের আজমল কাসভ চরিত্রে চিনেছে এই বাঙালি অভিনেতাকে। সেই শোয়েব কবীরকে সম্প্রতি দেখা গেল পরিচালক অঞ্জন দত্তের ছবি ‘রিভলভার রহস্য’-এর ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানে। ছবির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন তিনি। হেয়ার স্কুল ও স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র, মুর্শিদাবাদের গ্রামের ছেলে কবীর কথা বললেন রেডিওবাংলানেট-এর সঙ্গে।
বাংলা ও হিন্দিতে দুটো উল্লেখযোগ্য চরিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
হিন্দিতে বেশ কয়েকটি সিরিজ়ে কাজ করেছি। সেগুলো মুক্তি পাবে। তবে ২০২০-তে কাসভের চরিত্রটা সত্যিই কঠিন ছিল। আর ‘অপরাজিত’র কাজটার জন্য অনেক কিছু জানতে হয়েছে। খুব বেশিদিন আমি কাজ করছি না। তার মধ্যে এতগুলো ভালো প্রজেক্টে যুক্ত থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আজকাল রাস্তায় অনেকেই দেখলে চিনতে পারে, বা বলে খুব চেনা লাগছে, এই ব্যাপারটা আমার কাছে একটা প্রাপ্তি।
এই ছবিতে তোমার চরিত্রটা কেমন?
‘রিভলবার রহস্য’তে আমার চরিত্রটা কেমন বা কিসের সেটা এখনই বলা যাবে না, তবে এটুকু বলতে পারি যে আমি এই গল্পের একজন ধারক। আমাকে ঘিরে গল্পটা এগোবে। তনুশ্রী (চক্রবর্তী) ম্যাডামের বিপরীতে কাজ করতে গিয়ে খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। একটা দৃশ্যে ওঁকে চড় মারতে হয়েছিল আমায়। সেটা বেশ খারাপ লেগেছে করতে।
বাংলায় প্রথমে অনীক দত্ত তারপর অঞ্জনদার পরিচালনায় কাজ করতে গিয়ে কী শিখলে?
একটা ছবির টেকনিকাল ব্যাপারগুলোর ক্ষেত্রে অনীকদা একজন ইনস্টিটিউশন। অভিনয়ের অজস্র কিছু শিখেছি আমি অনীকদার থেকে। আর অঞ্জনদা এমন একজন যিনি হৃদয় দিয়ে কাজ শেখান। অঞ্জনদাকে কেউ যদি বুঝতে পারে, ওঁর কাজ করার ধরণটা রপ্ত করতে পারে, তাহলে শেখার কোনও শেষ নেই। শুধু অঞ্জনদার সঙ্গে সময় কাটানোটাই অনেক পাওয়া, কাজ করা তো অনেক দূরের ব্যাপার। এত কিছু শিখেছি যে বলে শেষ করা যাবে না। কিছুদিন আগে ‘ধারাভি ব্যাংক’ সিরিজ়ে সুনীল শেট্টি, বিবেক ওবেরয়ের মতো অভিনেতাদের সঙ্গেও কাজ করেছি।
আরও পড়ুন: ‘অসতী’র খোঁজে পোল্যান্ডে
পরপর হিন্দি সিরিজ়ে কাজ করছ তুমি। এরপর বাংলায় কতটা সময় দিতে পারবে বলে মনে হয়?
আসলে আমি অভিনয়টা ভালোবাসি। রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে আমি। নিজেও সক্রিয় রাজনীতি করি। কিন্তু অভিনয়টা আমি ভালোবেসে করি। আমার প্রচুর হিন্দিভাষী বন্ধু আছে। তাই বেশ কিছু কাজ আমি হিন্দিতে করতে পেরেছি। তবে এখন এখানেও কাজ পাচ্ছি। আরবসাগর আর বঙ্গোপসাগর, দুটোই আমার কাছে প্রিয়। আমি নিজেকে দু’ভাগে ভাগ করেই সবরকম কাজ করতে চাই। হিন্দি ও বাংলা ছাড়া দক্ষিণের কাজও করছি। সাই পল্লবীর সঙ্গে একটা কাজ করলাম কিছুদিন আগে। এছাড়া দেবদার (দেব) সঙ্গে ‘বাঘা যতীন’ ছবিতে আছি। দেবালয়দার (ভট্টাচার্য) সঙ্গে ‘পিআই মিনা’তে কাজ করলাম। এছাড়া সৌরভ চক্রবর্তীর ‘সাড়ে সাইত্রিশ’ করলাম যেটা খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে।