পালাল সোহম, নুসরত তাকেই ভাবল পুলিশ
RBN Web Desk: হোটেলের সিঁড়ি দিয়ে উর্ধশ্বাসে দৌড়ে নামছে অনীশ, সুজয় আর মিলি। তবে খুব একটা ভয় পেয়ে নয়, বরং মজা করেই যেন পালাচ্ছে তিনজন। ওই তো, পিছনে আবার কেউ যেন তাড়া করেছে। প্রথমে একটু গা ছাড়া ভাব থাকলেও, পরে পড়ি কী মরি করে দৌড়ে নীচে নেমেই প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয় তিনমূর্তি। আরও একজন দৌড়ে এসে তাদের বাধা দিতে যায়। পিছনে পালাবার পথ নেই। উল্টোদিকের দরজাটা খোলা, অথচ তার মাঝে দুটো লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে তিনজনের পথ আটকে। কী করবে ভেবে না পেয়ে অগত্যা অনীশ ওই দুটি লোকের মধ্যে একজনের লুঙ্গিটা টেনে খুলে দিয়েই দৌড়। আচমকা হামলায় সেই দুটো লোক বোকা বনে যায়, সেই ফাঁকে চম্পট দেয় তিনমূর্তি। লুঙ্গি সামলাতে ব্যস্ত লোকটা পা পিছলে পড়ে গিয়েও আবার উঠে তিন চোরকে ধরার উদ্দেশ্যে দৌড় লাগায়।
হ্যাঁ, এই তিনমূর্তিকে দেখতে যেমনই হোক, আসলে এরা চোর। তবে চোর ছাড়াও এদের অন্য পরিচয়ও আছে। উচ্চশিক্ষিত হলেও চাকরি পায়নি অনীশ। সুজয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। বেশিদূর পড়াশোনা না করলেও সে ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু পুঁজি নেই। মিলি এই শহরে এসেছিল অভিনেত্রী হবার উদ্দেশ্যে। তবে চাইলেই তো আর অভিনেত্রী হওয়া যায় না। অগত্যা কোনও কাজ জোগাড় করতে না পেরে তিন বন্ধুতে লোক ঠকিয়ে টাকা রোজগার করার সিদ্ধান্ত নেয় । যদিও সাংঘাতিক খারাপ কিছু করার মতো মানুষ এরা কেউই নয়। তাই ছোটখাটো চুরি করেই এদের দিন কাটে।
সুস্মিতা ও সোমরাজ
কলকাতার উপকন্ঠে এক অভিজাত ক্লাবে এই তিনজনের পালানোর সাক্ষী থাকল রেডিওবাংলানেট। শ্যুটিং চলছিল সুদেষ্ণা রায় ও অভিজিৎ গুহর আগামী ছবি ‘জয় কালী কলকত্তাওয়ালি’র। ছবিতে অভিনয় করছেন নুসরত জাহান, সোহম চক্রবর্তী, সোমরাজ মাইতি, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ চক্রবর্তী, প্রিয়াঙ্কা রতি পাল, সুমিত সমাদ্দার, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, শ্রীকান্ত মান্না ও সিলভিয়া দে। সেদিন শ্যুটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সোহম, সোমরাজ, সুস্মিতা, সুমিত ও বুদ্ধদেব।
আরও পড়ুন: নব্বইয়ের ‘সত্যান্বেষী’, বাদ পড়লেন ব্যোমকেশ
“সোহম, সোমরাজ ও সুস্মিতা, এরা তিনজন চোর,” জানালেন সুদেষ্ণা। “একটি মন্দির থেকে ছোট্ট সোনার কালীমূর্তি চুরি হয়ে যায়। ঘটনাচক্রে সেটা রাকা অর্থাৎ নুসরতের হাতে এসে পড়ে। রাকার সঙ্গে আবার অনীশের যখন আলাপ হয় তখন ও নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল। তাই রাকা সেই মূর্তিটা অনীশের হাতে তুলে দেয়। এদিকে দুই বাংলাদেশি ক্রেতা, যারা একটু আগে তিন চোরকে তাড়া করছিল, সেই সুমিত আর বুদ্ধদেবও মূর্তিটা চায়। এইসব কিছু নিয়েই জমজমাট মজার ছবি ‘জয় কালী কলকত্তাওয়ালি’।”
কবে মুক্তি পেতে পারে ‘জয় কালী কলকত্তাওয়ালি’?
সুদেষ্ণা জানালেন, “সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। ছবির ৮০ ভাগ শ্যুটিং হয়ে গেছে। আজকের কাজটা হয়ে গেলে আর তিনটে দৃশ্য তোলা বাকি থাকবে। এছাড়া দুটো গানের শ্যুট বাকি আছে। তবে এখন মানুষ প্রেক্ষাগৃহে আসছেন, আর পরিস্থিতিও অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আশা করছি যতদিনে ছবিটা মুক্তি পাবে, হয়তো হল পুরোপুরিই খুলে যাবে।”
ছবির চিত্রগ্রহণে আছেন বাসুদেব চক্রবর্তী, সম্পাদনায় সুজয় দত্ত রায়। সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন স্যাভি।