সহবাস কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর? জানা যাবে শীঘ্রই

কলকাতা: বিয়ের পর একসঙ্গে থাকা নাকি বিয়ে ছাড়াই এক ছাদের তলায় বসবাস, এই প্রজন্ম কোনটায় বিশ্বাসী? ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেই কি দুজনের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধন তৈরি হয়? পুরোনো প্রজন্মই বা এ বিষয়ে কী মনে করে? এইসব প্রশ্ন নিয়ে হয়ত কোনও সামাজিক সমীক্ষা করা যেতে পারে। তবে সে পথে না গিয়ে পরিচালক অঞ্জন কাঞ্জিলাল তৈরি করেছেন ‘সহবাসে’। লকডাউনের জেরে প্রায় একবছর বাক্সবন্দী থাকার পর অবশেষে ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইশা সাহা, অনুভব কাঞ্জিলাল, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, তুলিকা সাহা ও দেবলীনা দত্ত। গতকাল শহরে ছবির ট্রেলার মুক্তি উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

‘সহবাসে’র গল্প টুসি আর নীলকে কেন্দ্র করে। চাকরি করতে মফস্বল থেকে কলকাতায় এসে থাকার জায়গার অভাবে ও আর্থিক সমস্যা মেটাতে দুজনে একইসঙ্গে থাকা শুরু করে। আর সেখান থেকেই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপ্রাত। দুই বাড়ির লোকজন বা সমাজ দুটি অবিবাহিত ছেলেমেয়ের একসঙ্গে থাকাকে কি মেনে নেবে?

আরও পড়ুন: দেশজুড়ে বাংলা ধারাবাহিকের রমরমা

প্রথম ছবিতেই এরকম একটা বিষয় কেন? অঞ্জন জানালেন, “আমাদের সমসাময়িক সমাজে অনেক সমস্যা রয়েছে। আমরা সারাক্ষণই সেসব নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এসব করতে গিয়ে বাড়ির সমস্যাগুলো আমরা মনে রাখি না। অথচ এই যে মানসিক সমস্যাগুলো, এগুলোকে কাটিয়ে উঠে আমাদের আরো একটু বেঁধে-বেঁধে থাকার অভ্যাস করার দরকার। তাহলে বাইরের সমস্যার সমাধান আর কঠিন হবে বা। আজকাল অনেক সম্পর্কেরই দ্রুত মানে বদলে যাচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মের এই জিনিসগুলো আমাকে খুব ডিস্টার্ব করে। গোটা প্রজন্মটাই যেন একটা কমিটমেন্ট ফোবিয়ায় ভোগে। আর আমরা যাঁরা আগের প্রজন্মের, তাঁরা ছেলের একটা মেয়ে বন্ধু হলেই ভাবি ও বুঝি আমার বৌমা হবে। এসব নিয়েই এই ছবিটা, যাতে দুই প্রজন্মের চিন্তাভাবনাগুলো সুস্থ রাস্তায় এগোয়।”




ছবিতে নতুন মুখের প্রয়োজন ছিল বলেই তিনি তাঁর ছেলে অনুভবকে নিয়েছেন বলে জানালেন অঞ্জন। “এছাড়া তিস্তা বা টুসি চরিত্রের জন্য শুরু থেকেই ইশা আমার পছন্দ ছিল। ওর মধ্যে একটা পাশের বাড়ির মেয়ের মতো ইমেজ আছে। ও ব্যস্ত ছিল বলে দু’মাস শুটিং পিছিয়ে দিয়েছিলাম,” বললেন পরিচালক।

“এটা প্রাপ্তমনস্কদের ছবি,” দাবি শুভাশিসের। “ছবিতে আমি টুসির বাবা, মফস্বলে থাকি। মেয়ে শহরে গেছে চাকরি করতে। অঞ্জন ওর প্রথম ছবিতে যে বিষয় নিয়ে কাজ করেছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।”

নীলের বাবার চরিত্রে রয়েছেন বিশ্বজিৎ। তিনি জানালেন, “অঞ্জন দিল্লীতে থাকে। ওখানে থেকেও ও নিয়মিত বাংলা নাটকের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এটা ওর প্রথম ছবি। কাজ করতে গিয়ে কোথাও ওকে নতুন পরিচালক বলে মনে হয়নি। যথেষ্ট প্রস্তুত ও অভিজ্ঞ পরিচালকের মতোই কাজ করেছে ও। ছবিটা সকলে দেখলে ভালো লাগবে।”


টুসির মায়ের চরিত্রে রয়েছেন তুলিকা। কোভিডের ভয় কাটিয়ে যখন সকলেই সব করছেন তাহলে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটাও দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। “অঞ্জনদা থিয়েটারের মানুষ। তাই কাজটা করার সময় একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে যেটা আর পাঁচটা ছবির থেকে আলাদা। আমরা সকলে খেটে একটা ভালো ছবি তৈরি করেছি। সেই খাটনিটা কীভাবে এবং কোথায় কাজে লেগেছে সেটা জানার জন্য দর্শককে হলে আসতে হবে,” বললেন তুলিকা।

ছবির গল্প লিখেছেন সুমনা কাঞ্জিলাল। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন মধুরা পালিত। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সৌম্য ঋত।

১২ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘সহবাসে’। 

ছবি: অঙ্কিতা দাশ

 

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *