স্মার্টফোনেই পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি, মুক্তির অপেক্ষায় ‘চরৈবেতি’
RBN Web Desk: স্মার্টফোন হাতে আসায় মানবসভ্যতার যে উন্নতি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। দূরের মানুষকে কাছে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে বিনোদনের হাজারো সম্ভার আজ একেবারে হাতের মুঠোয়। বাস্তবেই অঙ্গুলিহেলনে মিটে যাচ্ছে একের পর এক সমস্যা। অনেকের রোজগারের সংস্থানও এখন এই স্মার্টফোন।
এতদিন মোবাইল ফটোগ্রাফি বা মজার ভিডিও বানানোর সঙ্গী ছিল স্মার্টফোন। এবারে স্মার্টফোনে গোটা একটা ছবি বানিয়ে চমকে দিলেন পরিচালক অমৃতাংশু চক্রবর্তী। মাত্র দুটি স্মার্টফোন, তিনটি এলইডি লাইট এবং একটি ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে অমৃতাংশু পরিচালনা করেছেন তাঁর প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘চরৈবেতি’।
ছবির গল্প শুভময়কে ঘিরে। মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া শুভময় স্বপ্ন দেখে একজন স্বাধীন চিত্র পরিচালক হওয়ার। নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য পরিবার এবং চলচ্চিত্র জগতের দুর্নীতির বিরূদ্ধে শুভময়ের লড়াইয়ের যাত্রার কথাই থাকছে ‘চরৈবেতি’তে শুভময়ের চরিত্রে দেখা যাবে নবাগত তথাগত মুখোপাধ্যায়কে। ছবির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বরুণ চন্দ। এছাড়াও রয়েছেন সমীর বিশ্বাস, মধুছন্দা ঘোষ, সুস্মিতা চক্রবর্তী, সুচন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রেয়সী চক্রবর্তী এবং অমৃতাংশু নিজে।
আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল
২০১৪ থেকে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি বানানো শুরু করেন অমৃতাংশু। ২০১৯-এর মাঝামাঝি শুরু করেন ‘চরৈবতী’র কাজ। “আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই একটি নিজস্ব গল্প আছে,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন অমৃতাংশু। “কিন্তু অনেকেই সেই গল্পকে ছবির ভাষায় বলতে জানেন না। বর্তমানে প্রযুক্তি এতটাই উন্নত হয়ে গেছে যে সামান্য ব্যবস্থাতেই স্মার্টফোনে গোটা একটা ছবি বানানো সম্ভব।”
ছবির কালারিস্ট অরিত্র দত্ত বণিক। ‘চরৈবেতি’র কালার কারেকশনের ক্ষেত্রে ম্যাটল্যাব অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করেছেন তিনি। “এই প্রযুক্তিটি সাধারণত নাসা ব্যবহার করে থাকে,” জানালেন অমৃতাংশু।
‘চরৈবেতি’র আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন মেঘ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে অভিরূপ ঘোষের ‘জ়ম্বিস্তান’ ছবির আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন তিনি।
শীঘ্রই অনলাইনে মুক্তি পাবে ‘চরৈবেতি’।