চিরন্তন সম্পর্কের ছবিতে রুক্মিণী
RBN Web Desk: কিছুদিনের মধ্যেই বিনোদিনী রূপে দেখা দেবেন তিনি। তবে এর মধ্যেই আগামী বছরের ছবির খবর দিলেন রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। পরিচালক অর্ণব মিদ্যার (Arnab Midya) ছবির মুখ্য চরিত্ররূপে দেখা যাবে তাঁকে। ছবির নাম ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। এক চিরন্তন সম্পর্কের গল্প নিয়ে এই ছবি।
ভালোবাসা বলতে বেশিরভাগ মানুষ নতুন গড়ে তোলা মানসিক বন্ধনকেই বোঝেন। অথচ যে সম্পর্ক চেষ্টা করে তৈরি করতে হয় না, যা যুগ-যুগ ধরে আমাদের অস্তিত্বে মিশে গিয়েছে তার কথা আমরা মনে রাখি না। আসলে ভালোবাসা মানেই তা নারী-পুরুষের হতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। সেই প্রেমের বাইরেও আছে একটা আস্ত ভালোবাসার পৃথিবী। প্রত্যেক সম্পর্কের মধ্যে থাকে কিছু দায়িত্ববোধ, কিছুটা শ্রদ্ধা এবং একে অন্যের প্রতি টান। যে সম্পর্ক সেই প্রাচীনকাল থেকে আমাদের ভেতরে আপনিই নির্মিত হয়েছে সেই ভালোবাসার কথা শোনাবে এই ছবি। যেমন গাছকে অবহেলা করলেও সে মানবাজাতিকে আগলে রাখে, ছায়া দেয়, ফুল দেয়, ফল দেয়। মানুষ আর কতটুকু তার অবদান মনে রাখে! তেমনই কিছু সম্পর্কও আজীবন নিরুচ্চারে সঙ্গ দিয়ে যায়, ভালোবেসে জড়িয়ে থাকে। তাদের ভালোবাসার যোগ্য প্রতিদান কি সকলে দিতে পারে? এই সব থেকেও না থাকা সম্পর্কগুলো নিয়েই অর্ণবের ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ফারুকী, তৈরি করবেন তথ্যচিত্র
ছবি প্রসঙ্গে রুক্মিণী জানালেন,”এই ছবির গল্পটা যখন শুনি তখন সেটা আমাকে ভীষণভাবে ছুঁয়ে গিয়েছিল। তারপর চিত্রনাট্য, সংলাপ এইসব তৈরি হতেও সময় লাগল। অর্ণবের সঙ্গে এটা আমার প্রথম ছবি। ওর সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি ও একজন খুব সংবেদনশীল মানুষ। যেহেতু আমাদের ছবির গল্পটা সম্পর্ক নিয়েই তাই আমার বিশ্বাস ছবিটা ও খুব ভালো বানাবে।”
অর্ণব জানালেন, “এই গল্পটা আসলে রুক্মিণীকে ভেবেই লেখা। সম্পর্কের গল্পে যেমন হাসি, কান্না, ভালোলাগা, ভালোবাসা থাকে এই গল্পটা তারই সংবেদনশীল মিশ্রণ বলা চলে। গল্পটা যখন রুক্মিণীকে শোনাতে যাই ওঁর চোখেমুখে সেই অভিব্যক্তি দেখেছিলাম যা একজন পরিচালক ছবির শেষে দর্শকের মুখে দেখতে চান। রুক্মিণী যেভাবে ভেঙেচুরে নিজেকে বারবার মেলে ধরছে, এই ছবিতে সেটার জন্যও দর্শক অপেক্ষায় থাকবেন।” এছাড়াও ছবিতে আরও চমক রয়েছে হলে জানালেন পরিচালক।
আগামী বছর মুক্তি পাবে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’।