সাইবার ক্রাইমের ফাঁদে ‘রাজার কীর্তি’

RBN Web Desk: জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই খেতে, শুতে, ইদানীং মহামারী পরিস্থিতিতে পড়াশোনা, সবকিছুতেই ছোটরা এখন অন্তর্জাল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। দেড় বছরের শিশু যখন মোবাইলের স্ক্রিনলক খুলে, লাল রঙের ছোট্ট বোতাম টিপে নিজের পছন্দসই কার্টুন চালিয়ে নেয় তখন আর পাঁচজনের চোখে সে ‘জিনিয়াস’ তো বটেই। বাবা-মার কাছেও তা কম গর্বের নয়। বড় হওয়ার সঙ্গে যেমন জ্ঞানের পরিধি বেড়ে ওঠে, তেমনই বাড়তে থাকে আকর্ষণ। বাড়িতে, বাইরে নিত্যদিনের কাজের চাপে ছোটদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ভাবার সময় বাবা-মায়েদের নেই বললেই চলে। তাই আজকের দিনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের বাড়িতে একটি শিশুর সবথেকে কাছেরজন হলো তার কম্পিউটার। কিন্তু সেই বাচ্চাটি কি সব বুঝে করছে? এর ফল কি আদৌ ভালো হবে? কিংবা কৌতূহলী মন নিয়ে সে না বুঝে নেটদুষ্কৃতীদের পাতা কোনও ফাঁদে পা দিচ্ছে না তো?

যৌথ পরিবার ও তার টানাপোড়েনের গল্প নতুন নয়। এই নিয়ে একাধিক ছবি তৈরি হয়েছে। তবে যৌথ পরিবারের পাশাপাশি শিশু মনস্তত্ব ও সাইবার ক্রাইমকে ঘিরে ছবির প্রায় নেই বললেই চলে।

দত্তবাড়ির কর্তা রমেশ চন্দ্র দত্ত ও মায়া দত্তের তিন সন্তান। বড়ছেলে মলয় বিদেশে থাকে। মেজ ছেলে রঞ্জন একটা বড় বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত। ছোটছেলে তথাগত একটি খুবই সাধারণ চাকরি করে। রঞ্জন ও তথাগত বাবার সঙ্গেই থাকে। রমেশবাবুর সহায় সম্পত্তি বলতে নিজের পেনশন ও একটি দোতলা বাড়ি, যা এখনও তার নিজের নামে। মলয় বহু আগেই বাড়ির কোনওকিছুতে থাকবে না জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে মেজছেলে আর ছোটছেলের বউদের নিয়ে বাড়িতে নিত্যদিনের অশান্তি।




রমেশবাবুর মেজনাতি রাজা কম্পিউটারে অসম্ভব দক্ষ। একদিন কম্পিউটার ঘাঁটতে-ঘাঁটতে রাজা এমন একটি ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়ে যেখান থেকে সে জানতে পারে কলকাতার বিভিন্ন জনবহুল জায়গায় কারা যেন বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। রাজা তখনই তার বন্ধুদের এ ব্যাপারে জানায়। খবরটা বাইরে চাউর হতেই গোয়েন্দা দপ্তরের অফিসার ইন্সপেক্টর কামাল রাজার বাড়ি এসে তাকে ও রঞ্জনকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। রাজা কিছুতেই সেই ওয়েবসাইটটা দেখাতে পারে না। সন্ত্রাসবাদী হামলার ভুয়ো খবর ছড়ানোর অপরাধে রঞ্জন ও রাজাকে গ্রেপ্তার করার উদ্যোগ নেয় পুলিশ। এসবের মধ্যে  রমেশবাবুর বাড়ির গায়ে জঙ্গী আঁতাতের কলঙ্ক লেগে যায়।

আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল

পারিবারিক জটিলতা ও সাইবার ক্রাইমের মতো বিষয় নিয়ে ২৭ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালক শঙ্কর রায়ের ছবি ‘রাজার কীর্তি’। ছবিতে অভিনয় করেছেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, রাজেশ শর্মা, পায়েল, অঙ্কুশ, সায়ন ও তন্ময়। সঙ্গীত পরিচালনায় সৌমিত্র কুন্ডু। ছবিতে গান গেয়েছেন কুমার শানু, রূপঙ্কর বাগচী ও সুজয় ভৌমিক।

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *